অলিম্পিক্সে লিঙ্গ বিতর্ক

Paris Olympics 2024: উত্তাল অলিম্পিক্স, জিনগতভাবে পুরুষ কিনা মহিলাদের বিভাগে! মাত্র ৪৬ সেকেন্ডে ম্যাচ শেষ

প্যারিস: জিনগতভাবে পুরুষ। কিন্তু মানসিকভাবে নারী। তাই প্যারিস অলিম্পিক্সে মহিলাদের বক্সিংয়ে নেমেছিলেন আলজেরিয়ার ইমানে খেলিফ। তাঁর পুরুষালি শক্তির সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ইতালির অ্যাঞ্জেলা ক্যারিনি। এমন ‘অসম’ লড়াই নিয়ে ক্ষুব্ধ গোটা বিশ্ব। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, টেসলার মালিক ইলন মাস্ক, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিরা।

খেলিফের দুটো ঘুঁষিতেই কুপোকাত হয়ে যান ক্যারিনি। মাত্র ৪৬ সেকেন্ডের মধ্যে শেষ হয়ে যায় লড়াই। অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ইতালির বক্সার। খেলিফকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ম্যাচের পর থেকে লিঙ্গ বিতর্ক নিয়ে অলিম্পিক্স কমিটিকে তুলোধনা করছে গোটা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীরা। প্রশ্ন উঠছে, শারীরিক দিক থেকে একজন পুরুষকে কেন মহিলাদের বিভাগে নামার ছাড়পত্র দিল অলিম্পিক্স কমিটি?

আরও পড়ুন: পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, যাদের পুরুষরা সন্তানের জন্ম দেয়! বলুন তো কোন প্রাণী, শুনে কিন্তু চমকে উঠবেনই

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলছেন, “আলজেরিয়ান অ্যাথলিটের রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেশি থাকায় শুরু থেকেই অসম লড়াই মনে হয়েছে। বৈষম্য যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ক্যারিনির আত্মসমর্পণ আমাকে সবচেয়ে বেশি দুঃখ দিয়েছে।’’ একই সুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, “মহিলাদের বিভাগে পুরুষদের নামার অধিকার নেই।’’ তবে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় অলিম্পিক্স কমিটি। হ্যারি পটারের স্রষ্টা জেকে রাউলিং এবং টেসলার মালিক ইলন মাস্কও অসন্তুষ্ট। মহিলাদের বিভাগে ‘পুরুষ’ বক্সারের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তাঁরা। প্রাক্তন সাঁতারু রিলি গেইনস বলেছেন, “মহিলাদের বিভাগে পুরুষরা নামতে পারে না।’’

ম্যাচের পর হতাশা চেপে রাখতে পারেননি অ্যাঞ্জেলা ক্যারিনি। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, “এটা অন্যায়।’’ তাঁর কোচ ইমানুয়েল রেনজিনি জানিয়েছেন, ম্যাচের আগে অনেকেই খেলিফের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে ক্যারিনিকে সতর্ক করেছিল। প্রসঙ্গত, লিঙ্গ বিতর্কের কারণেই ২০২৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপ থেকে বাদ পড়েছিলেন ইমানে খেলিফ। কিন্তু ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সে তিনি কীভাবে জায়গা পেলেন বুঝতে পারছেন না ক্যারিনির কোচ রেনজিনি। ইউটিউবার কাম বক্সার লোগান পল বলেছেন, “একজন পুরুষকে বিশ্বমঞ্চে এক মহিলাকে মারধর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর থেকে জঘন্য বিষয় আর কী হতে পারে! মৃত বাবার জন্য লড়াইয়ের স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল ক্যারিনির। এই বিভ্রান্তির অবসান হওয়া উচিত।’’