Tag Archives: Boxing

Alipurduar News: রাজ‍্যস্তরের বক্সিংয়ে হেডকোচ হিসেবে যোগ জয়গাঁর রোশন লামার

আলিপুরদুয়ার: রাজ‍্যস্তরের বক্সিং প্রতিযোগিতায় হেড কোচ হিসেবে অভিষেক হয়েছে প্রত‍্যন্ত এলাকার যুবক রোশন লামার। চা বলয়ের শিশু,কিশোরদের বক্সিং-এর ট্রেনিং দিয়ে রাজ‍্যস্তর ও জাতীয় স্তরের জন‍্য প্রস্তুত করার স্বপ্ন দেখে রোশন। সম্প্রতি রাজ‍্যস্তরের বক্সিং প্রতিযোগিতা হেড কোচ হিসাবে অংশ নিয়েছিলেন জয়গাঁর যুবক রোশন লামা। তাঁর অধীনে ছিল ১৫ জন ছেলে-মেয়ে।

গ্রেটার নয়ডাতে আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা।রোশন লামা জানান,  হাওড়া ও দুর্গাপুর থেকে দুজন ব্রোঞ্জ জিতেছেন।ছোট জায়গা জয়গাঁ থেকে তিনি এই প্রতিযোগিতায় হেড কোচ হিসাবে গিয়েছিলেন যা তার কাছে বড় পাওনা। চা বাগান এলাকার ছেলে মেয়েরা সুযোগ পেলে বেড়ে উঠবে বলে আমার ধারণা।

আরও পড়ুন – Surya Grahan 2024: ৮ এপ্রিল হবে মেগা ধামাকা, সূর্যগ্রহণে ভাগ্যের তালা খুলবে এই রাশিদের, তোলপাড় করা সুদিন সামনে

তাঁদেরকেও প্রতিযোগিতার জন‍্য তৈরি করতে চান রোশন লামা।ছোট থেকে ক‍্যারাটে শিখতেন রোশন লামা।হঠাৎই মাথায় চেপে বসে বক্সিং।এরপর দুবছর ধরে বক্সিং চর্চা নিজেও করছেন এবং ছেলেমেয়েদের শেখাচ্ছেন।চা বাগান এলাকাতে বক্সিং প্রচার পাক চাইছেন তিনি।

বক্সিং ব‍্যয়বহুল খেলা না বলে জানিয়েছেন রোশন। তিনি জানান,বক্সিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে জেলা ও রাজ‍্য ক্রীড়া দফতরের পক্ষ থেকেই খরচ করা হয়। একজন ছেলে অথবা মেয়েকে পুরোপুরি প্রশিক্ষণ না দিয়ে বক্সিং রিং-এ পাঠানো হয় না। অন‍্যান‍্য খেলার থেকে বক্সিংয়ে নাম করা অনেক সহজ।
Annanya Dey

Paschim Medinipur News: ভাঙা ঘরে সঙ্গী অভাব, এক বেলা জোটে পান্তাভাত, সব বাধা নক আউট করে বক্সিংয়ে সাফল্য শুভ্রর

পশ্চিম মেদিনীপুর: মাথার ওপর নেই পাকা ছাদ। একচালা কুঁড়েঘর। ভাঙা বেড়ার দেওয়াল ভেদ করে ঢোকে উত্তুরে ঠাণ্ডা হাওয়া। দুবেলা তো ছার, একবেলাও ঠিকমত জোটে না খাবার। মুড়ি কিংবা বেশিরভাগ দিন পান্তাভাত খেয়েই দিনযাপন। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের সেই স্কুলছাত্রই সম্প্রতি মুই থাই চ্যাম্পিয়নশিপে বক্সিংয়ে সোনা জয় করেছে। কয়েক বছর আগে হারিয়েছে তার বাবাকে। পরিবারে রয়েছে মা, বোন এবং শুভ্র।

শুভ্র পাতরের মা কখনও দিনমজুর, আবার কখনও লোকের বাড়িতে কাজ করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার চালাতে শুভ্রকেও যেতে হয় কাজ করতে। পড়াশোনা, রাজমিস্ত্রি কিংবা টাইলসের কাজ করে যেটুকু সময় থাকে তখনই চলে তাঁর অনুশীলন। বেলদায় প্রশিক্ষক শিবু ভৌমিকের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেয় সে। পাশাপাশি বাড়িতে নিজের চেষ্টায় চলে তার বক্সিংয়ের প্রশিক্ষণ। সম্প্রতি কলকাতায় রাজ্যস্তরের মুই থাই বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব ২৩ বছর বয়সী, অনূর্ধ্ব ৫০ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছে শুভ্র।

প্রসঙ্গত বাখরাবাদ ভারতী বিদ্যাপীঠের একাদশ শ্রেণির ছাত্র শুভ্র পাতর। শুভ্রর বোন নবম শ্রেণীতে পড়ে। করোনার সময় বাবা মারা যাওয়ায় সংসারে ভার এসে পড়েছে তার উপর। তবে বাবা-মার ইচ্ছেকে সফল করতে মরিয়া বছর ১৮-র ছেলে। বাবা মায়ের ইচ্ছে বড় হয়ে বক্সিংয়ে নাম-ডাক করুক তাদের ছেলে। সেই স্বপ্নকে সফল করতে কখনও একবেলা খেয়ে প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছেন শুভ্র।

আরও পড়ুনঃ Viral Video: রাস্তার ধারে দোকানে এগ-চিকেন রোল ভাজছেন স্বয়ং মন্ত্রীমশাই, মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিও

শুভ্রর ইচ্ছে আগামীতে দেশের হয়ে জাতীয় স্তরে বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া। কিন্তু সঠিক প্রশিক্ষণ, পুষ্টিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে সামান্য পান্তাভাত খেয়ে স্বপ্ন সফল হতে পারে কি? সে প্রশ্ন সকলের। কিন্তু হাল ছাড়তে নাপা শুভ্র।

রঞ্জন চন্দ

Nikhat Zareen : আমি গর্বিত ভারতীয় মেয়ে! দেশের জন্য প্রাণ দিতেও পারি, বলছেন বক্সার জারিন

#হায়দারাবাদ: কেউ তাকে বলছেন ভবিষ্যতের মেরি কম। কেউ তাকে বলছেন ভারতীয় মহিলা বক্সিং এর পরবর্তী সুপারস্টার। কিন্তু তিনি নিজে এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। অতিরিক্ত প্রশংসা ক্ষতি করে বিলক্ষণ জানেন নিখাত জারিন। সদ্য মহিলা বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন ভারতীয় বক্সার নিখাত জারিন। গত মাসেই থাইল্যান্ডের জিটপঙ্গ জুটামাসের বিরুদ্ধে ৫-০ ফলে ফাইনালে জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নিখাত।

আরও পড়ুন – Sourav Ganguly on Indian football : ভারতীয় ফুটবল দলকে কুর্নিশ সৌরভের! সুনীলকে দিলেন বিশেষ বার্তা

তুরস্কের সেই ফাইনালে জয়ের মুহূর্ত প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে এক অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। সম্প্রতি তেলেঙ্গানা রাজ্যে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন নিখাত জারিন। যেখানে তার স্পষ্ট বক্তব্য আমি কোন‌ সম্প্রদায় নয়। আমি আমার দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি।

তাকে অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার অ্যাচিভমেন্টকে ছাপিয়ে তার ধর্মের যে ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে তা সামনে চলে আসে। সেই প্রসঙ্গে তার স্পষ্ট জবাব একজন অ্যাথলিট হিসেবে আমি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। আমার কাছে হিন্দু-মুসলমান এই বিষয়টির আলাদা কোন গুরুত্ব নেই। আমি কোনও সম্প্রদায় নয় আমি আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করি।

২৫ বছর বয়সি বক্সার আরও জানান আমি আমার দেশের হয়ে মেডেল‌ জিততে পেরে খুব খুশি। আমাদের ভারতীয় বক্সাররা অত্যন্ত প্রতিভাবান। অন্য কারুর থেকে কোন অংশে আমরা পিছিয়ে নেই। আমাদের কাছে গতি, শক্তি এবং ক্ষমতা রয়েছে। তবে বিশ্ব পর্যায়ে যখন কোন বক্সার পৌঁছচ্ছে তখন তাকে কীভাবে মানসিক চাপকে হ্যান্ডেল করতে হয় তা শেখানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ বড় প্ল্যাটফর্মে অনেক বড় বড় অ্যাথলিট নার্ভাস হয়ে গিয়ে নিজের সেরাটা দিয়ে পারফরম্যান্স করতে পারে না। উল্লেখ্য জুলাই মাসের ২৮ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের মূলপর্বের টিকিট নিখাত ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করে ফেলেছেন। জারিন মনে করেন তিনি একজন গর্বিত ভারতীয় মেয়ে। এটাই তার পরিচয়। দেশ তার কাছে শেষ কথা।

সবচেয়ে বড় পরিচয়। বাবা নিজে ফুটবলার ছিলেন। মেয়েদের এই শিক্ষা দিয়েছেন ছোটবেলা থেকে। সম্প্রতি দেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় ঘটনা ঘটছে। জারিন মনে করেন এতে অবশ্য বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে। তার একটাই লক্ষ্য। বক্সিং রিংয়ে নেমে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করা।

Nikhat Zareen : মহিলা বক্সিংয়ে বিশ্বজয় ভারতের! ৫২ কেজিতে সোনা জিতলেন নিখাত জারিন

#নয়াদিল্লি: তিনি ভবিষ্যতের ভারতের বক্সিং সুপারস্টার হতে চলেছেন তাতে সন্দেহ ছিল না কারো। মেরি কম যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে ভারতের। কিংবদন্তি মেরির জায়গা তিনি নিতে পারবেন কি না উত্তর দেবে সময়। কিন্তু নিখাত জারিন সোনা জিতে বুঝিয়ে দিলেন তিনি তৈরি। বক্সিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে থাইল্যান্ডের জিতপিং জুতামাসকে ৫-০ হারিয়ে দিলেন তেলেঙ্গানার মেয়ে।

৫২ কেজি বিভাগে তিনি বিশ্বসেরা। স্বর্ণ পদক জয়ের পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি নিখা। কেঁদে ফেললেন। গ্যালারিতে উপস্থিত ভারতীয় সমর্থক এবং দলের বাকিদের থেকে তখন প্রচুর সমর্থন পাচ্ছেন নিখাত। একদিন আগেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিলেন নিখাত জারিন।

বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় বক্সার। মেয়েদের ৫২ কিলোগ্রাম বিভাগে বিরাট সুযোগ ছিল তার সামনে। হারিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলের ক্যারোলিন ডি আলমেইডাকে। হেরে গিয়েছেন ভারতের মনীষা মোন এবং পরভিন হুডা। যুব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জারিন।

এবার তাঁর কাছে সুযোগ ছিল বড়দের বিভাগেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। বুধবার ঠান্ডা মাথায় ব্রাজিলের প্রতিপক্ষকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেন জারিন। এর আগে মেরি কম, সরিতা দেবী, জেনি আরএল এবং লেখা সি এই প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন। ২০০৬ সালে এই প্রতিযোগিতায় আটটি পদক জিতেছিল ভারত।

সেটাই দেশের সেরা সাফল্য। চারটি সোনা, একটি রুপো এবং তিনটি ব্রোঞ্জ জিতেছিল সেবার। নিখাত জারিন ভারতের পঞ্চম মহিলা যিনি এই প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেলেন। যখন স্বর্ণপদক গলায় নিয়ে পোডিয়ামে দাঁড়িয়েছিলেন নিখাত, তখন পেছনে ভারতের জাতীয় সংগীত বাজছে। এই মুহূর্ত প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে গর্বের।

Tokyo Olympics 2020: ব্রোঞ্জেই খুশি হতে হবে ভারতীয়দের, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের কাছে লড়ে হার Lovlina Borgohain

#অসম: টোকিও অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে অসমের ছোট্ট গ্রামের মেয়ে লাভলীনা৷ কিন্তু সেমিফাইনালে বিশ্বের এক নম্বরের কাছে ৫-০ তে হারলেন তিনি৷ খেলার ফল ৩০-২৬, ৩০-২৫, ৩০-২৫, ৩০-২৫, ৩০-২৫ এ৷ বুসেনাজ সুরমেনেলি এদিন রিংয়ে কার্যত অপ্রতিরোধ্য ছিলেন৷ তবুও অসমের তরুণী লড়াই করেন কিন্তু বুসানেজের কাছে পৌঁছতে আরও বেশি স্ট্র্যাটেজিক ও আগ্রাসী হতে হত৷

এদিকে লাভলিনার রিংয়ের লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সকলেই অনুরাগ ঠাকুর লিখেছেন নিজের সেরাটা দিয়েছেন লাভলিনা৷

এদিকে আগেই ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছেন পদক নিশ্চিত করে সেমিফাইনালে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই, এবার আরও বড় চ্যালেঞ্জ৷ টোকিও অলিম্পিক্সের (Tokyo Olympics 2020) ৬৯ কেজি বিভাগে তাঁর প্রতিপক্ষ বর্তমানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বুসেনাজ সুরমেনেলি (Busenaz Surmeneli)৷ অলিম্পিক্সে পদক নিশ্চিত করা লাভলিনা এই মুহূর্তে প্রতিপক্ষ কে তা নিয়ে ভাবতে চান না, তিনি চাইছেন এই মেগা সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে৷ ২০০৮ সালে বিজেন্দর সিং . ২০১২ সালে মেরিকম ইতিমধ্যেই বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন৷ লাভলীনার পদক ৯ বছরে অলিম্পিক্সের মঞ্চে বক্সিংয়ে ভারতের প্রথম পদক হবে৷ তবে ফাইনালে পৌঁছনোর লক্ষ্য এই অসমিয়া তরুণী দেখছেন যা আজ অবধি কোনও ভারতীয় বক্সার করতে পারেননি৷ কিন্তু সেই লাভলীনাও  ব্রোঞ্জেই সন্তুষ্ট রইলেন৷ এদিকে লাভলীনার ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার দেখতে অসম বিধানসভার কাজ স্থগিত রাখা হয়েছিল ২০ মিনিটের জন্য৷

এদিকে লাভলীনার বাবা জানিয়েছিলেন তিনি মেয়ের ঐতিহাসিক সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখবেন না৷ অসম বিধানসভা স্থগিত রাখার বিষয়ে জানিয়েছেন মন্ত্রী পীযূষ হজারিকা৷ সমস্ত বিধায়ক যাতে বক্সিং রিংয়ে লাভলীনার লড়াইয়ের সাক্ষী হতে পারেন৷ এদিকে এর আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব লাভলীনার সাফল্য কামনায় পুজোর আয়োজন করেছিলেন৷

পুজো আয়োজিত হয়েছিল নেহেরু স্টেডিয়ামে, প্রদীপ জ্বেলে হয়েছিল পুজো, এছাড়া প্রদেশের বিভিন্ন মন্দির, মসজিদ ও চার্চেও লাভলীনার জন্য প্রার্থনা করা হয়৷  কারণ লাভলীনা অসমের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে পদক জিতবেন৷

২৩ বছরের লাভলীনা অলিম্পিক্সে এখনও অবধি নিজের সহজাত খেলা ধরে রেখেই একের পর এক বাধা টপকেছেন৷ তিনি এবছরেই অনুর্ধ্ব ২৩ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সোনা জিতেছেন৷

পেট চালাতে গেলে লড়তে হবে,তাই বক্সিং রিংয়ে নেমে পড়লেন নিকারাগুয়ার বক্সাররা, দেখুন ভিডিও

#মানাগুয়া: করোনা অতিমারির জেরে সারা পৃথিবীর অর্ধেকটাই বন্ধ ৷ সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে পাশাপাশি খেলার দুনিয়ার সমস্ত ধরণের ইভেন্টও বন্ধ ৷ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে অলিম্পিক্সের মতো বড় ইভেন্টও ৷ কিন্তু এরই মধ্যে বক্সিং রিংয়ে নেমে পড়লেন নিকারাগুয়ার বক্সার-রা ৷

করোনার মারণ ভয় থাকলেও বক্সিং রিংয়ে না নামলে পেট চলবে না তাই ফের শুরু হয়ে গেল এই খেলা ৷ এদিকে ইতিমধ্যেই সেখানে ফুটবলও চালু হয়ে গেছে ৷ শনিবার প্রথম লাইভ খেলা হয় ৷ সেই লড়াই দেখতে হাজির ছিলেন দর্শকরাও ৷ তবে তাঁদের দূরে দূরে বসানো হয়েছিল ৷ প্রথমে বডি টেম্পারেচার পরীক্ষা করার পর তাদের হাত স্যানেটাইজ করে ও জুতো খুলে ভিতরে দর্শকাসনে যেতে দেওয়া হয়েছিল ৷

Photo- Reuters
Photo- Reuters

এদিকে বক্সারদের আবার গায়েই জীবাণুনাশক রাসায়নিক স্প্রে করা হয় ৷ মাস্ক পরেছিলেন রিং গার্লরা,রেফারি এমনকি বক্সাররাও ৷ তবে পরে খেলার সময় বক্সাররা মাস্ক সরিয়ে নিয়েছিলেন ৷ মানাগুয়ার এই বক্সিং ইভেন্ট এখন সারা বিশ্বে চর্চার মুখে ৷

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের হিসেব অনুযায়ি করোনায় নিকারাগুয়ায় তিনজন মারা গিয়েছেন। জানা গেছে, তিনজনই বাইরে থেকে এসেছিলেন। এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে কেউ আক্রান্ত নন। তবে ৮ হাজার দর্শকাসন বিশিষ্ট স্টেডিয়ামে হাজির ছিল হাতেগোনা কিছু দর্শক।চারটি ছ’‌য় রাউন্ডের ম্যাচের বাউট হয়। অংশ নেন লাইট হেভিওয়েট দুই প্রতিপক্ষ রামেরো ব্লাঙ্কো ও রবিন জামোরো। এই বাউট টেলিভিশনেও সম্প্রচার হয় ৷

এদিকে বক্সিং রিংয়ের পাশেই হাজির ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ৷ এছাড়াও চিকিৎসকের একটা বড় দলও হাজির ছিলেন ৷