প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কমবেশি ডাল সবসময় উপস্থিত থাকে। এটি রান্না করা যেমন সহজ, তেমন খেতেও সুস্বাদু। ভাত, রুটি, দুইয়ের সঙ্গেই ডাল খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু জানেন কি, এর প্রচুর উপকারিতাও আছে? বিস্তারিত জানাচ্ছেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ললিত তিওয়ারি।তাঁর কথায়, মুসুর ডাল প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা কোলেস্টেরল কমায়। এতে ২৬ শতাংশ প্রোটিন পাওয়া যায়। পাশাপাশি সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, ফ্যাট এবং ফাইবার পাওয়া যায়।মুসুর ডালে আয়রন, সালফেট, অ্যালুমিনিয়াম-সহ অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়। যা রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের জন্য খুবই কার্যকরী। এতে অনেক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী।খাদ্য বিশেষজ্ঞ এবং পরামর্শক, নীলাঞ্জনা সিংহের মতে, এই মসুর ডাল রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়ায়, যা রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয়। এই ডালে ফোলেটের উপস্থিতি ভিটামিন বি এর একটি রূপ, যা লোহিত কণিকার সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে।এটি হৃৎপিণ্ডের ধমনীর দেওয়াল রক্ষায়ও সাহায্য করে এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের লাল মুসুর ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এতে উপস্থিত প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে।ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও মুসুর ডাল ভাল। এটি হৃৎপিণ্ডের ধমনীর দেয়াল রক্ষায়ও সাহায্য করে এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের লাল মুসুর খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এতে উপস্থিত প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে।অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মুসুর ডালের ব্যবহার খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) প্রতিরোধে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোটিনের উপস্থিতি পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই ডালের খনিজ পদার্থ স্নায়ুতন্ত্র এবং মস্তিষ্ককে ভাল। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে বলেও জানা যায়।মুসুর ডালের ভিটামিন এবং মিনারেল ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে। খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ফেসপ্যাক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এটিকে হেয়ার প্যাক হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। মুসুর ডাল মাথার ত্বক পরিষ্কার এবং হাইড্রেটেড রাখবে। প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি চুলকে রাস্তা থেকে মজবুত করবে এবং চুল পড়া কম করবে।
