বর্ষাকাল আসলেই সাপের আতঙ্ক অনেকটাই বেড়ে যায়। আসলে, বর্ষাকালেই বিষাক্ত সাপ তাদের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। যখন তাদের গর্ত জলে ভরে যেতে শুরু করে, তখন সাপগুলো বেরিয়ে আসে।বিশেষত যাদের বাড়ি নিচতলায় বা প্রথম তলায় তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। তবে, এই বিষাক্ত প্রাণীটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক, কারণ এটি একবার ছোবল দিলে এবং সময়মতো চিকিৎসা না হলে ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু জানেন কি, পৃথিবীতে এমন কিছু জিনিস আছে যা একবার দেখলে সাপও ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়।জানলে অবাক হবেন সাপ আগুনের কাছে যেতে ভয় পায়৷ সাপের চামড়া নরম। যদি একটি সাপ আগুনের কাছে আটকে যায় তবে উচ্চ তাপের কারণে সাপের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হয়তো এই কারণেই সাপরা ঠান্ডা জায়গায় থাকতে পছন্দ করে।সাপ বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন কিছু প্রজাতির সাপ রয়েছে, যারা অনেক ধরণের প্রাণীকে ভয় পায়। বেজি সাপের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। অনেক সময় বেজি সাপকে মেরেও ফেলে। এর পাশাপাশি বাজপাখি, কুকুর, বিড়াল, ইত্যাদিও সাপের জন্য ভয়ঙ্কর।রিপোর্ট অনুসারে, সাপ বিশেষ কিছু তীব্র গন্ধও সহ্য করতে পারে না। যেখানে তীব্র গন্ধ থাকে সেখানে সাপ সহজে তাদের খাবার খুঁজে পায় না। একই সময়ে, তারা যে দিকে যেতে চায় তা নির্ধারণ করার ক্ষমতাও প্রভাবিত হয়। তাই বলা হয়ে থাকে যে আপনি যদি ঘরে তুলসী, রসুন, পেঁয়াজ, দারুচিনি স্প্রে করতে থাকেন, বিশেষ করে বর্ষাকালে, তাহলে আপনার ঘরে সাপ প্রবেশ করবে না। সাপ এসবের গন্ধ পছন্দ করে না।কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, সাপ খুব বেশি শব্দ পছন্দ করে না। তারা শান্তি পছন্দ করে, তাই তারা অতিরিক্ত শব্দে ভয় পায়। বিকট শব্দ হলে তারা ছুটতে থাকে নিরিবিলি ও নিরাপদ স্থানে।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে সাপ খুব বেশি আলো পছন্দ করে না। তারা আলোর প্রতি খুব সংবেদনশীল। সম্ভবত এই কারণেই তারা আলোতে থাকার পরিবর্তে গর্তে বাস করে। উজ্জ্বল সূর্যালোক তাদের চোখের জন্য ক্ষতিকর। সাপের চোখ রাতে ভালো দেখতে পায়, তাই দিনের আলোতে তারা ভয় পায়।
