বর্ষায় ইনফ্লেম্যাশন এবং আর্থ্রাইটিস বেড়ে যায়৷ অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে জয়েন্ট পেন তীব্র হয়৷ পেশির আড়ষ্টতা, ফোলা ভাব বেড়ে যায় যন্ত্রণার সঙ্গে৷
বর্ষায় জয়েন্ট ফ্লুইড বেড়ে যায়৷ তার জেরে মরশুম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইনফ্লেম্যাশন তথা গাঁটের ব্যথা বেড়ে যায়৷
যাঁদের গাঁটের ব্যথার সমস্যা আছে, তাঁদের বর্ষায় সাবধানতা নিতে হবে৷ শরীরচর্চা করতে হবে৷ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে৷ নজর দিতে হবে ডায়েটে৷
কিছু খাবার প্রাকৃতিক ভাবে জয়েন্ট পেন কমায়৷ সেগুলি রাখতে হবে ডায়েটে৷ বলছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা৷
কাঁচা হলুদের কারকিউমিন অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি উপাদান৷ ইনফ্লেম্যাশন কমিয়ে গাঁটের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে কাঁচা হলুদ৷ রান্নায় মশলা হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি ঈষদুষ্ণ দুধে মিশিয়েও পান করুন৷
আদায় আছে জিঞ্জেরল৷ এই উপাদানটি শক্তিশালী অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি৷ গাঁটের ব্যথা এবং শরীরের কোনও অঙ্গ ফুলে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে৷
রসুনের সালফার যৌগ গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি উপাদান৷ রোগপ্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি গাঁটের ব্যথা কমায়৷ বর্ষায় সুস্থ থাকতে রসুন খান৷
স্যামন, ম্যাকারেল, সার্ডিনের মতো সামুদ্রিক মাছে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে৷ এই অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি উপাদান আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ রোধ করে৷ সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার সামুদ্রিক মাছ খান৷
সবুজ শাকসবজিতে ভরপুর আছে ভিটামিন ও মিনারেলস৷ ইনফ্লেম্যাশন কমাতে এই খাবারগুলি খেতে ভুলবেন না৷ ফলের মধ্যে খান স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ও রাফসবেরি৷ কমবে ইনফ্লেম্যাশন ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস৷
আমন্ড, ওয়ালনাট, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়াসিডে প্রচুর পরিমাণে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট৷ তাই ডায়েটে রাখুন নিয়মিত৷
ব্রাউন রাইস, কিনোয়া, ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেলস আছে৷ এগুলি ইনফ্লেম্যাশন কমাতে সাহায্য করে৷
গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনলে অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য আছে৷ তাই ব্যথা কমাতে খেতেই হবে এই উপাদান৷
প্রচণ্ড দাবদাহর মোকাবিলা করার পর বর্ষার জলধারার স্পর্শ অনেকটা স্বস্তি এসেছে মানুষের। এর পাশাপাশি আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে অনেক মানুষই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকেই সর্দি এবং কাশির সমস্যায় ভুগছেন, তবে এটি প্রতিরোধ করার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা শীঘ্রই উপশম দিতে পারে।সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া শীতল হলেও তাপমাত্রা এখনও অনেকটাই বেশি, যে কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এই ৫টি ঘরোয়া উপায় গ্রহণ করলে আমরা তাৎক্ষণিক সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাব।লোকাল ১৮-এর সঙ্গে কথা বলার সময়, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. কবিতা মহেশ্বরী জানান যে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে সর্দি, ঠান্ডা, কাশি ইত্যাদি সমস্যা শুরু হয়েছে। এটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট একটি রোগ। এই সংক্রমণ দ্রুত একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।একজন অসুস্থ ব্যক্তি কাশি বা হাঁচি দিলে এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু ভাইরাসের কারণে হয়, তবে মানুষ ঘরে বসেই ঠান্ডা-কাশি থেকে মুক্তি পাবেন এই ঘরোয়া উপকরণ আদা, রসুন, বাষ্প, সরষের তেল এবং হলুদ ব্যবহার করে।ডা. কবিতা মহেশ্বরী বলেন, রসুন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। রসুনে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা সংক্রমণ দূরে রাখতে সাহায্য করে।রসুন পুষ্টিগুণে ভরপুর। রসুন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদরোগ এবং ফুসফুসের অন্যান্য সমস্যায় রসুন খুবই উপকারী। রসুনে উপস্থিত অ্যালিসিন নামক রাসায়নিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। এটি সর্দি-কাশির সংক্রমণ দূর করে। এর জন্য ৬-৮টি রসুনের কুচি ঘিতে ভেজে খেতে হবে।ডা. কবিতা মহেশ্বরী বলেন, সর্দি কমানোর অন্য পদ্ধতি হল স্টিম। জল গরম করে তাতে ভিক্স যোগ করে, কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে বাষ্প নিলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।আদার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ১-২টি আদা, ২টি গোলমরিচ, ৪টি লবঙ্গ এবং ৫-৭টি তাজা তুলসি পাতা পিষে এক গ্লাস জলে ফুটিয়ে নিতে হবে, জল শুকিয়ে আধা গ্লাস হয়ে গেলে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে হবে।দেশি ঘিয়ে ছোট ছোট আদা ভেজে নিয়ে দিনে ৩-৪ বার খেতে হবে। এটি নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।ডা. কবিতা মহেশ্বরী বলেন যে, এই ৫টি সহজ এবং সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া প্রতিকার, যা ব্যবহার করে ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এটি প্রতিদিন বাড়িতে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা:জয়নগর ও কুলতলি, সুন্দরবনের এই দুই অঞ্চলের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে পিয়ালী নদী৷ যে নদী পারাপার করতে দুই পাড়ের মানুষজনের ভরসা দাঁড়বিহীন ডিঙি নৌকা। নদীর দুই পাড়ে বাঁধা দড়িতে টান দিয়ে নদীর একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে নৌকা পারাপার করে৷ এতে কোনও মাঝি থাকে না ৷
পিয়ালী নদী পারাপারের ক্ষেত্রে ভরসা যাত্রীরাই। তাঁরাই মিলেমিশে দড়ি টেনে নৌকা এক পার থেকে আরেক পারে নিয়ে যান৷ গোটা বিষয়টা এই ঝুঁকি নিয়ে হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি৷
পিয়ালী নদীর একপ্রান্তে রয়েছে জয়নগর থানা এলাকার চন্দনেশ্বর পঞ্চায়েত৷ আর অন্যপ্রান্তে কুলতলি থানার মেরিগঞ্জ-১ গ্রাম পঞ্চায়েত৷ এই দুই পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজনকে এইভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিয়ালী নদী পারাপার করতে হয়। মূলত, কুলতলির মেরিগঞ্জ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের এই দড়ি টানা ডিঙি নৌকা ব্যবহার করতে হয় ৷ প্রতিদিন প্রায় চারশো মানুষ এইভাবে নদী পারাপার করেন৷ কেউ অসুস্থ হলে বা গর্ভবতীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে এভাবেই নদী পাড় হতে হয়৷
বর্ষাকালে এইভাবে নদী পার হওয়াটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে৷ এই পরিস্থিতিতে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা পিয়ালী নদীর উপর একটি স্থায়ী কংক্রিটের সেতু তৈরির দাবি তুলেছেন।
উত্তর ২৪ পরগনা: জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় বর্ষার বৃষ্টি এখন আর বর্ষাকালে ততটা হচ্ছে না। বরং শরৎকাল আগের থেকে অনেক বেশি বৃষ্টিস্নাত হয়ে উঠেছে। এদিকে এই বছর অক্টোবর মাসের প্রথম দিকেই পড়েছে দুর্গাপুজো। তাছাড়া এবার এমনিতেই দেরিতে বর্ষা প্রবেশ করেছে দক্ষিণবঙ্গে। ফলে বর্ষা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর আগে বেশি বৃষ্টি হলে প্রতিমা সময়ে তৈরিতে সমস্যা হতে পারে। তাই চলতি বছর অগ্রিম প্রতিমা তৈরিতে হাত দিয়েছেন সুন্দরবনের মৃৎশিল্পীরা।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর মাত্র তিন মাস সময় রয়েছে হাতে। তার মধ্যেই আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে এবার বর্ষাকাল একটু দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তা শুনেই সুন্দরবনের মৃৎশিল্পীরা এখন থেকেই দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উল্লেখ্য গত বছর টানা বৃষ্টিতে প্রতিমা তৈরি করতে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিমা তৈরি থেকে রৌদে শুকানো, একাধিক কাজে বারে বারে ব্যাঘাত ঘটেছিল। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
সুন্দরবনের প্রতিমা শিল্পীরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে এঁটেল মাটি দিয়ে স্ট্রাকচার বানিয়ে মাটি লাগানোর কাজ চলছে। এসময় তেমন কোনও অর্ডার না এলেও ভবিষ্যতে অর্ডার এলে যাতে সময়ে প্রতিমা ডেলিভারি করা যায় তার জন্যই আগেভাগে কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই কাজ আরও জোরকদমে হবে বলে তাঁরা জানান।
স্ট্রিট ফুড হিসেবে মোমো ইদানীং খুবই জনপ্রিয়। সস্তায় পেট ভরানোর মুখরোচক খাবার হিসেবে মোমো জুড়িহীন।কিন্তু জানেন কি বর্ষায় মোমো খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে যদি রাস্তায় বিক্রি হওয়া মোমো খান, তাহলে সংক্রমণের একাধিক আশঙ্কা থাকে। বলছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা।
স্টিমড বা ফ্রায়েড-যে রকম মোমোই হোক না কেন, বর্ষায় খেলে বিপত্তি দেখা দিতে পারে।বর্ষায় আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেড়ে যায়। ফলে একাধিক জীবাণু এবং ছত্রাকের সক্রিয়তা তীব্র হয়। ফলে সহজেই খাবার সংক্রমিত হয়ে পড়ে।
বর্ষায় সহজেই দূষিত হয়ে যায় পানীয় জল। টাইফয়েড, কোলেরা, হেপাটাইটিস এ-সহ একাধিক জলবাহিত রোগের আশঙ্কা বাড়ে। রাস্তার ধারে খাবার বিক্রেতারা অনেক সময়েই পরিস্রুত জল ব্যবহার করেন না। ফলে সেই জলে তৈরি থুকপা মোমোর সঙ্গে খেলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রাস্তায় যাঁরা খাবার বিক্রি করেন, তাঁরা অনেক সময়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাঁধেন না। তাই বায়ুবাহিত জীবাণুতেও সংক্রমিত হতে পারে মোমো।
বর্ষায় ই কোলি এবং সালমোনেলা-র মতো জীবাণু সহজেই সংক্রমিত করতে পারে মোমো-র মতো ফাস্ট ফুডকে। ফলে ক্র্যাম্প, ডায়ারিয়া, বমি, জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
বর্ষাকালে ছত্রাক সংক্রমণের জেরে মোমো খেলে ফুড পয়জনিং-এর আশঙকা থাকে।বর্ষাকালে মোমো খেতে ইচ্ছে হলে বাড়িতে তৈরি করে খাওয়াই ভাল। নয়তো এমন কোনও দোকান থেকে কিনে খান, যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি করা হয়। তাহলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।
আবহাওয়ার পরিবর্তনে মানুষ এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। বৃষ্টির কারণে গরম থেকে অনেকটা স্বস্তি মিলেছে। কিন্তু আমরা সবাই জানি, বর্ষাকাল সঙ্গে নিয়ে আসে নানা রোগব্যাধি। এই সময়ের মধ্যে, ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।এমন পরিস্থিতিতে আপনার স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। বর্ষাকালে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে আমাদের খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যকর খাওয়া অনাক্রম্যতা বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলি খাওয়া বর্ষাকালে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। এখানে জেনে নিন বর্ষাকালে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।সবুজপত্র শাকসবজি বর্ষাকালে শাক-সবজি যেমন পালং শাক, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ বর্ষাকালে এসব সবজিতে খুব দ্রুত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মায়। এগুলো খেলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।রাস্তার খাবার খাবেন না বৃষ্টির দিনে রাস্তার ধারে পাওয়া চাট-পকোড়া ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এলে এগুলি খুব দ্রুত দূষিত হয় এবং আমাদের অসুস্থ করে তুলতে পারে।কাঁচা খাবার এই সময়কালে, স্যালাড আকারে কাঁচা শাকসবজি খাওয়া এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। রান্নার মাধ্যমে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে গেলেও কাঁচা খাবারে অক্ষত থাকে।মূল শাকসবজি গাজর, মূলো, মিষ্টি আলু ইত্যাদির মতো বর্ষাকালেও অনেক মূল শাকসবজি রয়েছে যা মানুষ প্রচুর পরিমাণে খায়। কিন্তু তাদের সেবন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এই সবজি মাটির নিচে জন্মায়। যখন বৃষ্টি হয়, অনেক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া আর্দ্রতা এবং মাটির সঙ্গে তাদের উপর জমা হয়।সামুদ্রিক খাবার বর্ষার দিনে সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাওয়াও নিরাপদ বলে মনে করা হয় না। এগুলিতে দূষিত জলে ঢুকে যায়। এটি আপনাকে খুব দ্রুত অসুস্থ করে তুলতে পারে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
বর্ষাকালে অনেক ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, তবে খাবারের প্রতি যত্ন নিলে এই ঋতুটি পুরোপুরি উপভোগ করা যায়। এই মৌসুমে অনেক চমৎকার ফল পাওয়া যায়, যা খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হল Plum যাকে আমরা আলুবোখারা বলে চিনি।আলুবোখারাকে পুষ্টির ভান্ডার হিসেবে বিবেচিত করা হয়। এই ফলটি কয়েক মাস বাজারে পাওয়া যায়। এটি খেলে বর্ষাকালে অনেক মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করা যায়। শুধু তাই নয়, এটি অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলুবোখারাকে ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কার্যকর। SAAOL হার্ট সেন্টারের ডাঃ বিমল ছাজের (MBBS, MD) কথায়, এই ফলটিতে অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।শুকনো আলুবোখারা স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন। আলুবোখারা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে এবং বিপজ্জনক ফ্রি র্যাডিক্যালের প্রভাব নিরপেক্ষ করতে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এই ফলটি খেলে শরীরের ফোলাভাব কমে যায়, যা অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় আলুবোখারা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। যাদের পেট পরিষ্কারের সমস্যা আছে তাঁরা যদি আলুবোখারা খায় তাঁরা পেটের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও আলুবোখারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে রয়েছে ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সুগারের রোগীরাও অল্প পরিমাণে এই ফলটি উপভোগ করতে পারেন।আলুবোখারা খেলে হাড় মজবুত থাকে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে আলুবোখারা অস্টিওপরোসিসের মতো বিপজ্জনক হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি ক্ষতি থেকে হাড় রক্ষা করতে পারে।উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য আলুবোখারা খুবই উপকারী। এটি খেলে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। হার্টের স্বাস্থ্য বাড়াতে পারে আলুবোখারা।ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়ায়, আলুবুখোরা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে খুব কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। এটি খেলে ফিটনেস উন্নত হতে পারে।
বৃষ্টিভেজা দিনে মুখরোচক এই খাবার খেতে খুবই ভাল লাগে৷ বিশেষ করে সন্ধ্যা হলেই মনে হয় ফুচকা, আলুকাবলি বা চাট হলে মন্দ হত না৷
কিন্তু জানেন কি বর্ষায় ফুচকা খাওয়া মানে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনা৷ এই সময় কেন ফুচকা খাবেন না, সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷
বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায়৷ ফলে জীবাণু অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ খাদ্যে সংক্রমণ ও বিষক্রিয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ তাই বদহজম বা পেটের গণ্ডগোল হওয়া বিচিত্র নয়৷
চাট বা ফুচকার সঙ্গে টকদই দেওয়া হয়েই থাকে৷ বর্ষায় টক দই বা কাটা পেঁয়াজ খোলা অবস্থায় পড়ে থাকলে দ্রত সংক্রমিত হয়ে যেতে পারে৷
বর্ষায় আর্দ্রতা বেড়ে যায় বলে ফুচকা-সহ অন্য নোনতা খাবারের স্বাদ কমে যায়৷ দ্রুত নেতিয়ে যায়৷
বর্ষায় জলবাহিত অসুখ বেড়ে যায়৷ বিশেষ করে টাইফেয়েডের মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ে নোংরা জল থেকে৷ ফুচকার টক জল যদি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিস্রুত না হয়, তাহলে রোগের কারণ হতে পারে৷
রাস্তায় যাঁরা খাবার বেচেন, তাঁরা অনেক সময়ই স্বাস্থ্যবিধি মানেন না৷ সেক্ষেত্রে সহজেই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ তাই বর্ষায় মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছে হলে সেটা বাড়িতে বানিয়ে খাওয়াই ভাল৷
আপাতত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির থামার সম্ভাবনা কম।সকালে রোদ উঠেছে বটে। কিন্তু বিকেলের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। আগামী সাতদিন সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তারই সঙ্গে মিশেছে আরও একটি ঘুর্নাবর্ত। এর জেরেই রাজ্যের বেশ কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।সোমবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। যে কারণে হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ ভারী বৃষ্টি হতে পারে।বুধবারও জেলাগুলিতে একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মধ্যে মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। এর মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলায়।আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে রাজ্য। সতর্কতা জারি করল হাওয়া অফিস।আগামী কয়েক দিন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে সোমবার থেকে। দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া জেলায়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।মৌসুমী অক্ষরেখা জয়সলমির, চারু হিসার, কার্নাল, জলন্ধর, তাড়ানের উপর দিয়ে বিস্তৃত। আগামী দুই তিন দিনে মৌসুমী বায়ু পশ্চিম রাজস্থান, হরিয়ানা, চন্ডীগড়, পঞ্জাবের আরও কিছু অংশে পৌঁছে যাবে।ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে গুজরাত, অসম, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশে। একটি অক্ষরেখা রয়েছে অসম থেকে ওড়িশা পর্যন্ত। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে গুজরাত থেকে বিহার পর্যন্ত, যেটি মধ্যপ্রদেশের উপর দিয়ে এসেছে।মঙ্গলবার মূলত আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কয়েক পশলা বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।