পশ্চিম মেদিনীপুর: ধীরে ধীরে জল বাড়ছে ঘাটালে। টানা কদিনের বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল ঘাটালের ঝুমি নদী। কচুরিপানার চাপে এবং জলের প্রবল বেগের কারণে ভেঙে যায় ঝুমি নদীর উপরে থাকা অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো।
স্বাভাবিকভাবে দুই পাড়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তবে শুক্রবার রাত থেকে ক্রমশ জল বাড়াতে শুরু করে। শনিবার ঘাটালের মনসুকা এলাকায় জল প্রবেশ করে। তবে ধীরে ধীরে ঘাটালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করছে জল।
রাস্তার উপর কোথাও হাঁটু সমান জল, কোথাও বইছে স্রোত। স্বাভাবিকভাবে ফের বন্যা পরিস্থিতি রূপ নিচ্ছে ঘাটালে। প্রসঙ্গত ঘাটাল এবং বন্যা সমার্থক। বর্ষাকাল এলেই ঘাটালের বন্যা হবে এটা ধরাবাঁধা রুটিন।
ঘাটালবাসী দীর্ঘদিন দাবি করেছিল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান-এর বাস্তবায়ন। তবে সেই কাজ চলছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। অন্যদিকে, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া থেকে জল ছাড়ার কারণে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্রমশ জলমগ্ন হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন- মহিলা রেঞ্জারকে হুমকি! মমতার নির্দেশে কারামন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ অখিল গিরির
ঘাটালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশ করেছে জল। গৃহস্থের ঘরে প্রায় গোড়ালি সমান জল। বর্তমানে যোগাযোগের মাধ্যম ডিঙি নৌকো।
ঘাটাল মহকুমায় রয়েছে একাধিক নদী। শিলাবতী জমি এবং কংসাবতী নদীতে জল বাড়লে প্লাবিত হয় ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিবছর ঘাটালে বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রচুর।
স্বাভাবিকভাবে বন্যা পরিস্থিতি রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। তবে সম্প্রতি জল বাড়ছে। ফের ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় মানুষজন। ক্রমশ ভয় বাড়ছে। নদীতে বাড়ছে জল। আরও প্লাবনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষজন। তবে বর্তমানে সবকিছু ভুলে নিজেদের বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারে বের হতে গেলে ভরসা ডিঙি নৌকো।
রঞ্জন চন্দ