বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গ্রামে জেলা পরিষদের সভাধিপতি 

Birbhum flood situation: বীরভূমের লাভপুরে বন্যার পরিস্থিতি, দেখুন সেই ভয়ঙ্কর ভিডিও

বীরভূম: অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ফুলে ফেঁপে উঠছে লাভপুরের কুয়ে নদী।নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার কারণে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত ঠিবা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসীরা।

শুক্রবার, কাঁদরকুলা গ্রামে কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। তড়িঘড়ি বাঁধ নির্মাণের কাজে নেমে পড়েন স্থানীয় গ্রামবাসী ও সেচ দফতরের কর্মীরা।কান্দরকুলা গ্রাম থেকে বাগসিনা যাওয়ার রাস্তার উপর দিয়ে জল বইতে দেখেন স্থানীয়রা। ফলে লাভপুরের ১৫টি গ্রামের সঙ্গে কীর্ণাহারের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকলকেই প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুর পথে যেতে হচ্ছে। জল বাড়ার ফলে জলের তলায়, কান্দর কুলা, জয়চন্দ্রপুর, চতুর্ভুজপুর-সহ একাধিক গ্রাম। নদীতে জল আরও বৃদ্ধি হলে যে কোনও সময় প্লাবিত হয়ে যেতে পারে আরও অনেক গ্রাম। শনিবার সকালে গ্রামগুলি পরিদর্শনে যান লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিক-সহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।

আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক মিনিটের টর্নেডোর মতো ভয়াল ঝড়! লন্ডভন্ড হুগলির একের পর এক গ্রাম

অভিজিৎ সিংহ জানান, “অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে গ্রামগুলি। জনপ্রতিনিধি, গ্রামবাসী এবং সেচ দফতর যৌথভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। ইতিমধ্যেই কুন্নাহার ও ঠিবায় ত্রাণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সর্বত্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মানুষজন এবং গবাদি পশুদের রক্ষা করা রোগীদের রিলিফ সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। খাওয়াদাওয়া পৌঁছনোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সাত থেকে আট ফুট জল বেড়েছে কুয়ে নদীতে।

আরও পড়ুন: ১৪ লাখের চাকরি, ৬০০ বর্গ গজ জমি… বড় পুরস্কার পাচ্ছেন সিরাজ, কে দিচ্ছে জানেন?

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আতঙ্কে রয়েছি, পরিস্থিতি ভয়াবহ। মাঠে ধানও নষ্ট হয়েছে। বেড়েই চলছে নদীর জল। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত। ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতে যেতে পারছে না। বিকালে পরিদর্শনে আসেন সভাধিপতি কাজল শেখ। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলায় জেলার আধিকারিকরা প্রস্তুত। তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলেই নিচু জায়গা-সহ বেশ কিছু নদীতে জল বাড়ায় বিপত্তি ঘটেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব রকম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা।”

এরপরই এদিন আবার সেই সমস্ত গ্রাম পরিদর্শন আসেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। জানা যায় গত পরশুদিন ময়ূরাক্ষী নদীর তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে পাঁচ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। আজকে সকালে কুয়ে নদীর জল মাত্রা ছিল ৩৮০৮.৭৫ কিউসেক, বেলা ১১ টায় ৩৭৯৪.৩৫ কিউসেক।অ ন্যদিকে আজ বীরভূমের কিছু কিছু জায়গায় ঘন মেঘলা আবহাওয়া রয়েছে। আবার যদি বৃষ্টিপাত শুরু হয় তাহলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যদিও গ্রামবাসীদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্কুলে রাখা হচ্ছে সকাল থেকেই। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ঠিবা অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি সহ অন্যান্যরা।