রাস্তায় চলছে নৌকো

Flood Situation: ঘাটালে বন্যা-আশঙ্কা! আতঙ্ক সাধারণের, শুরু ‘বন্যায় দুয়ারে ডাক্তার’ পরিষেবা

পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রতি বছর ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এটাই বছরভর রুটিন। এবারেও বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া-সহ একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া এবং লাগাতার বৃষ্টিতে ঘাটালের একাধিক ওয়ার্ডে জল প্রবেশ করেছে। বেশ কিছু বাড়িতেও জল থৈথৈ অবস্থা। মানুষজনের চলাচলের রাস্তায় চলছে ডিঙি নৌকো। স্বাভাবিকভাবে ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে ঘাটালজুড়ে। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, বিপদ সীমার নীচে রয়েছে জলস্তর। রবিবার বিকেলে বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক। পাশাপাশি মহাকুমা প্রশাসন, ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।

প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে থেকেই ঝুমি শিলাবতী এবং কংসাবতী নদীতে জল বাড়ার কারণে বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ঘাটালের মনসুকা এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। তবে সেই অর্থে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে মহাকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর। জেলাশাসকের নির্দেশের পর মনসুকা এলাকায় শুরু হয়েছে বন্যায় চিকিৎসা পরিষেবা। শুধু তাই নয় বাঁধের পরিস্থিতি, সাধারণ মানুষের পানীয় জল, বন্যায় অন্যান্য রোগ অসুখের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

প্রসঙ্গত নিচু এলাকার ঘাটাল। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিটি নদীতে প্রায় টইটুম্বুর অবস্থা। নদীর উপর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তায় মাধ্যম ভেঙে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রামেও প্রবেশ করছে জল। মানুষের ভরসা ছোট নৌকো। রবিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঘাটাল মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য আপৎকালীন কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যে কোনও ডাল খাচ্ছেন? ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে! মুগ নাকি মুসুর… কোনটি স্বাস্থ্যকর? বলছেন চিকিৎসক

খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, বিভিন্ন ত্রাণ কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বন্যা পরিস্থিতি এবং জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ নজরদারি রেখেছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তবে আগামীতে কী পরিস্থিতি দাঁড়ায় সেই আশঙ্কায় রয়েছে স্থানীয় মানুষজন।

রঞ্জন চন্দ