বিমানবন্দরে ঢোকার আগে যাত্রীদের সিকিউরিটি চেকিং।

Kazi Nazrul Islam Airport Andal : অবশেষে স্বাভাবিক পরিষেবা… তিনদিন পরে অন্ডালের রানওয়ে ছুঁল বিমানের চাকা

অন্ডাল, পশ্চিম বর্ধমান : টানা বৃষ্টিপাতে এক লহমায় বদলে গিয়েছিল বিমানবন্দরের পুরো ছবিটা। ঝাঁ চকচকে বিমানবন্দর হয়ে উঠেছিল জলমগ্ন। অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দরের সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই আঁতকে উঠেছিলেন। অন্ডালবাসীও মনে করতে পারছেন না, এমন তীব্র বৃষ্টি সাম্প্রতিক অতীতে তারা দেখেছেন কিনা। ভারী বর্ষণের ফলে অন্ডাল বিমানবন্দর পুরোপুরি ভাবে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিনদিন পর অবশেষে স্বাভাবিক হল পরিষেবা।

গত শুক্রবার ভারী বৃষ্টিতে জল থইথই অবস্থা ছিল বিমানবন্দরের। শনিবার জল নামানো গেলেও, রানওয়েতে জমেছিল পলি। যার ফলে শনিবারও পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে জল ঢুকে যাওয়ার ফলে বিমানবন্দরের যে ক্ষতি হয়েছিল, সেগুলিও মেরামত করতে হয়েছে। কোনও যন্ত্রাংশে সমস্যা দেখা দিয়েছে কিনা, সেগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। আর এই সমস্ত বিষয়গুলির জন্য পরিষেবা বন্ধ ছিল রবিবারেও। এর তিনদিন পর অর্থাৎ সোমবার সকালে কাজী নজরুল বিমানবন্দরে নামে মুম্বইয়ের বিমান।

আরও পড়ুন: বিধানসভায় বেনজির দৃশ্য! মমতার সঙ্গে ‘আলাদা’ করে কথা নওশাদের! জল্পনা তুঙ্গে

এদিন সকাল ন’টা ১৮ মিনিট নাগাদ নির্ধারিত সময়ে অন্ডাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে নামে মুম্বই থেকে অন্ডালের বিমান। তারপর আবার যাত্রীদের নিয়ে সুরক্ষিতভাবেই বিমানটি মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এছাড়াও সোমবার থেকে অন্ডাল – বেঙ্গালুরু, অন্ডাল – দিল্লির বিমান পরিষেবাও স্বাভাবিকভাবে হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বিমানগুলি। ভারী বৃষ্টির পর অন্ডাল বিমানবন্দর ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায়, খুশি যাত্রীরা।

এই বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কৈলাস মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘ভারী বৃষ্টিতে অন্ডাল বিমানবন্দর জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। তাই পরিষেবা বন্ধ ছিল। যাত্রীদের কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের সুরক্ষার দিকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। বিমান চলাচলের জন্য সমস্ত সুরক্ষার সমস্ত বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সমস্ত বিষয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পর সোমবার থেকে শুরু হয়েছে পরিষেবা। দ্রুততার সঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সকলে যেভাবে পরিষেবা শুরু করার জন্য এগিয়ে এসেছেন, তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।’