বর্ষা শুরু হলেই প্রখর রোদ ও তীব্র তাপ থেকে স্বস্তি পাওয়া গেলেও বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি ও নানা স্থানে জল জমে থাকার কারণে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও মশার বংশবৃদ্ধি শুরু হয়। বর্ষাকালে মশার কামড়ে ডেঙ্গির বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গি জ্বর ছড়ায়। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গি হলে রোগীর শরীরে প্লেটলেট দ্রুত কমতে থাকে। রোগীর স্বাস্থ্যের যত্ন না নিলে তার মৃত্যুও হতে পারে। এমতাবস্থায় ডেঙ্গি রোগীর খাবারের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।সাবেক আয়ুর্বেদ মেডিকেল অফিসার ডা. আশুতোষ পন্তের মতে, ডেঙ্গি জ্বরের কারণে রোগীদের ক্ষুধা কমে যায়। এই সময়ের মধ্যে হজম প্রক্রিয়াও ধীর হয়ে যায়। তাই এমন সব জিনিস তার খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত যা পুষ্টিকর এবং সহজে হজম হয়। এর জন্য আমরা খাবারে মিক্সড ভেজ খিচুড়ি এবং ডালের মতো জিনিস দিতে পারি। চাইলে খাবারের স্বাদ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় মরশুমি মশলা, যেমন ধনে, রসুন, আদা, লেবু ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।সবুজ শাক-সবজি ডেঙ্গি জ্বরের কারণে রোগী খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি রোগীদের সবুজ শাক খাওয়া উচিত। শাকসবজি থেকে স্যুপ, স্যালাড এবং খিচুড়ি তৈরি করে রোগীকে দেওয়া যেতে পারে।ডালিয়া: ডালিয়া পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। ডেঙ্গি রোগীদের পুষ্টিকর ডালিয়া খাওয়ানো যেতে পারে। এর সঙ্গে সবুজ শাকসবজিও যোগ করা যেতে পারে।খিচুড়ি: সারা ভারতেই খিচুড়ি সবার খুব পছন্দের খাবার। চিকিৎসকরাও রোগীকে খিচুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেন। খিচুড়ি তৈরি করে ডেঙ্গি রোগীদের খাওয়াতে যেতে পারে।ছাগলের দুধ: ডেঙ্গি জ্বরে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ছাগলের দুধ সবচেয়ে ভাল বলে মনে করা হয়। তাই রোগীকে ছাগলের দুধ দেওয়া যেতে পারে। এটি রোগীকে দ্রুত রিকভারি করতে সহায়তা করতে পারে।তুলসীপাতার চা: যদি ডেঙ্গি রোগীকে চা দিতে হয়, তাহলে এতে তুলসী পাতা, আদার মতো উপাদান অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা উচিত, এগুলো শুধু শরীরকে সুস্থ রাখতেই সহায়ক নয়, দ্রুত সুস্থতার ক্ষেত্রেও সাহায্য করে।জল: ডেঙ্গি রোগীর শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয়। যতটা সম্ভব জল পান করতে হবে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ফলের রসও দেওয়া যেতে পারে।
