ঢাকা: বাংলাদেশ জুড়ে অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কোনও লক্ষণ নেই৷ বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷
এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের হামলায় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল বাংলাদেশের যশোর জেলায়৷ সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ যশোরে আওয়ামি লিগের এক নেতার হোটেলে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা৷ অগ্নিকাণ্ডের জেরে হোটেলের ভিতরে আটকে গিয়ে জীবন্ত দগ্ধ হন অন্তত ২৪ জন৷ মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ওই হোটেলের আবাসিক ছিলেন৷ এই ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার একজন নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷
স্থানীয় সাংবাদিক এবং সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই দাবি করেছে, যশোরে আওয়ামি লিগ নেতা শাহিন চাকলাদারের হোটেলে বিকেল চারটে নাগাদ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ রাত ৮টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ হোটেলের পানশালা সহ বিভিন্ন অংশ থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়৷
Rioters in Bangladesh set fire to the five-star Zabeer International Hotel in the city of Jessore. At least 18 people died in the fire and more than 50 were injured.
According to local news agency UNB, the hotel is owned by Shahin Chakladar, a member of parliament from the… pic.twitter.com/iKEe5a43UV
— NEXTA (@nexta_tv) August 6, 2024
যশোর মেডিক্যাল কলেজের রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার পার্থপ্রতীম চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত অন্তত দেড়শো জনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সঙ্কটের পিছনে কি বিদেশি শক্তির মদত? রাহুলের প্রশ্নের উত্তরে যা জানালেন জয়শঙ্কর…
শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি সম্পত্তির উপরে হামলা চালিয়েছে৷ বিশেষত আওয়ামি লিগের নেতা, মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি, অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে৷ সাতক্ষীরায় আওয়ামি লিগের এক নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পাঁচ জনকে খুন করা হয়৷ গোটা সাতক্ষীরা জেলা জুড়েই সংঘর্ষে সবমিলিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
কুমিল্লায় আওয়ামি লিগের এক কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ কুমিল্লারই তিতাস থানায় দু জন পুলিশকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে৷ সোমবার হাসিনা দেশ ছাড়ার পর নতুন করে ছড়িয়ে পড়া হিংসা, অশান্তিতে বাংলাদেশে ১৫০-র বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে৷