নয়াদিল্লি: আম নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছিল শিশুদের মধ্যে। সেই লড়াই ধীরে ধীরে বৃহত্তর রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত খুন হতে হয় একজনকে। ঘটনার জেরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেতে হয় ৩ জনকে। ৪০ বছর পরে সেই সাজা কমল তিনি আসামির। তাঁদের আপাতত ৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
ঘটনাটি ১৯৮৪ সালের। আম নিয়ে শিশুদের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। সেই অশান্তি থেকে গ্রামবাসীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। তার পরে লাঠির আঘাতে একজন গ্রামবাসীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৬ সালে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হন, যাবজ্জীবনের সাজা হয় তিন আসামির। ২০২২ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্ট সেই সাজা বহাল রাখে।
আম চুরি নিয়ে যাবজ্জীবনের সাজা ভোগ করতে করতে মারা যান ৫ জনের মধ্যে ২ আসামি। জীবিত ৩ জন সাজা ভোগ করছিলেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহ জানান এই খুন পূর্ব পরিকল্পিত নয়। তাই ৩ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন থেকে ৭ বছরের জন্য করা হয়। সেই সঙ্গে ৮ সপ্তাহের মধ্যে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা খুন হওয়া পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।