Tag Archives: Mangoes

Uttar Pradesh news: আম নিয়ে শিশুদের লড়াই থেকে তিনজনের যাবজ্জীবন… ৪০ বছর পরে কমল শাস্তি

নয়াদিল্লি: আম নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছিল শিশুদের মধ্যে। সেই লড়াই ধীরে ধীরে বৃহত্তর রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত খুন হতে হয় একজনকে। ঘটনার জেরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেতে হয় ৩ জনকে। ৪০ বছর পরে সেই সাজা কমল তিনি আসামির। তাঁদের আপাতত ৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

ঘটনাটি ১৯৮৪ সালের। আম নিয়ে শিশুদের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। সেই অশান্তি থেকে গ্রামবাসীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। তার পরে লাঠির আঘাতে একজন গ্রামবাসীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৬ সালে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হন, যাবজ্জীবনের সাজা হয় তিন আসামির। ২০২২ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্ট সেই সাজা বহাল রাখে।

আম চুরি নিয়ে যাবজ্জীবনের সাজা ভোগ করতে করতে মারা যান ৫ জনের মধ্যে ২ আসামি। জীবিত ৩ জন সাজা ভোগ করছিলেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করেন।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহ জানান এই খুন পূর্ব পরিকল্পিত নয়। তাই ৩ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন থেকে ৭ বছরের জন্য করা হয়। সেই সঙ্গে ৮ সপ্তাহের মধ্যে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা খুন হওয়া পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Mangoes Extinction: আম প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ! ৭০ প্রজাতির জনপ্রিয় আম বিলুপ্তির পথে

মালদহ: একসময় হয়ত আর পাওয়া যাবে না ফলের রাজা আম। তাও আবার মালদহ থেকে! বিলুপ্তির পথে জগৎ বিখ্যাত সব নানান প্রজাতির আম। সম্প্রতি উদ্যান পালন দফতরের এক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। যা নিয়ে রীতিমত চিন্তিত সকলেই। একের পর এক বিখ্যাত প্রজাতির আম হারিয়ে যাচ্ছে এই জেলা থেকে।

বিখ্যাত নানান প্রজাতির আম গাছ একে একে নেই হয়ে যাচ্ছে মালদহে। আমের সেই বিখ্যাত প্রজাতির মধ্যে রয়েছে আশুয়া, বোম্কাগুটি, বথুয়া, বসন্তখাস সহ প্রায় ৭০ টি প্রজাতি। অথচ এই আমগুলির জন্যই একসময় বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গিয়েছিল মালদহের নাম। বর্তমানে সেই আমগুলিই এখন আর মিলছে না। বিষয়টি নিয়ে অবশেষে নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন। উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, মালদহে প্রায় ২৫০ প্রজাতির আম চাষ হয়। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে প্রায় ৭০ প্রজাতির আম বিলুপ্তির পথে। সেই সমস্ত আমগুলির গাছ সংরক্ষণ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিলুপ্তপ্রায় গাছের বাগান বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: প্রতিভা থাকলেই সব দায়িত্ব নেবে কেন্দ্রীয় সরকার!

মালদহ জেলায় প্রায় ২৫০ প্রজাতির আম চাষ হয়। বহু প্রাচীনকাল থেকেই মালদহের কৃষকেরা আম চাষ করে আসছেন। হিমসাগর, ল্যাঙড়া, লক্ষণভোগ, ফজলি সহ কিছু প্রজাতির আমের চাহিদা সব থেকে বেশি তাদের স্বাদ ও গন্ধের জন্য। পাশাপাশি ইদানিং জেলায় শুরু হয়েছে আম্রপলি ও মল্লিকার মত কিছু প্রজাতির আমের চাষ। এই সমস্ত আমগুলির চাহিদা বাজারে বেশি। বর্তমানের কৃষকেরা সেই আম চাষেই জোর দিচ্ছে। ফলে জেলায় কিছু প্রজাতির আমের বাগান বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে চাষ না করায় বহু প্রজাতির আমের বাগান কমে আসছে। এই সমস্ত প্রজাতির আম গুলির মধ্যে অধিকাংশের স্বাদ ও গন্ধ ভাল নয়। মিষ্টতা কম। তাই কৃষকেরা এই আম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাই এই আমগুলি বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়।

মালদহে বর্তমানে এমন কিছু প্রজাতির আম রয়েছে যেগুলির গাছ হাতে গোনা একটি থেকে দুইটি। তাই জেলা উদ্যানপালন দফতরের পক্ষ থেকে বিলুপ্তি প্রায় প্রজাতির আমগাছগুলি সংরক্ষণের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিলুপ্তিপ্রায় ৭০ প্রজাতির আমের মধ্যে বেশ কিছু আমের কলম করে সেগুলির সংখ্যা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কৃষকদের বাগানে সেই আমের গাছগুলি রোপণ করে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির আম গাছগুলি সংরক্ষণ করা হবে।

হরষিত সিংহ

Tips to Store Mangoes: একটুতেই গলে নরম হয়ে যাচ্ছে আম? কেনার পর বাড়িতে রাখুন এভাবে, টাটকা তাজা থাকবে দীর্ঘ দিন!

গ্রীষ্ম এবং বর্ষা-এই দুই মরশুম মানেই বাঙালি বাড়িতে আমের ডালা৷ হিমসাগর, ল্যাংড়া থেকে শুরু করে চৌসা-রকমারি আমের স্বাদগন্ধে ভরে থাকে রসনা৷
গ্রীষ্ম এবং বর্ষা-এই দুই মরশুম মানেই বাঙালি বাড়িতে আমের ডালা৷ হিমসাগর, ল্যাংড়া থেকে শুরু করে চৌসা-রকমারি আমের স্বাদগন্ধে ভরে থাকে রসনা৷

 

কিন্তু সুস্বাদু আম বাড়িতে সংগ্রহ করে রাখার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা আছে৷ কিছুদিন পরই নরম হয়ে যায়৷
কিন্তু সুস্বাদু আম বাড়িতে সংগ্রহ করে রাখার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা আছে৷ কিছুদিন পরই নরম হয়ে যায়৷

 

কিছু ট্রিকস আছে৷ সেগুলি মেনে চললেই অন্তত ১ সপ্তাহ ভাল থাকবে আম৷
কিছু ট্রিকস আছে৷ সেগুলি মেনে চললেই অন্তত ১ সপ্তাহ ভাল থাকবে আম৷

 

বাছাই আম কিনুন৷ দাগ আছে এমন আম কিনবেন না৷ দাগ নেই এমন নিটোল আম দেখে কিনুন বাজার থেকে৷
বাছাই আম কিনুন৷ দাগ আছে এমন আম কিনবেন না৷ দাগ নেই এমন নিটোল আম দেখে কিনুন বাজার থেকে৷

 

ঘরের তাপমাত্রায় কিছুদিন আম ভাল রাখতে পারবেন৷ ফ্রুট বাস্কেটে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন আম৷ দেখবেন সরাসরি সূর্যালোক বা উত্তাপ যেন না পৌঁছয় আম পর্যন্ত৷
ঘরের তাপমাত্রায় কিছুদিন আম ভাল রাখতে পারবেন৷ ফ্রুট বাস্কেটে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন আম৷ দেখবেন সরাসরি সূর্যালোক বা উত্তাপ যেন না পৌঁছয় আম পর্যন্ত৷

 

পেপার টাওয়েলে মুড়ে আম রাখতে পারেন ফ্রিজেও৷ হিউমিডিটি নিয়ন্ত্রণ করুন৷ তাহলে তাজাভাব ধরা থাকবে৷
পেপার টাওয়েলে মুড়ে আম রাখতে পারেন ফ্রিজেও৷ হিউমিডিটি নিয়ন্ত্রণ করুন৷ তাহলে তাজাভাব ধরা থাকবে৷

 

আঁটি বাদ দিয়ে আম স্লাইস করে ফ্রিজার সেফ ব্যাগ বা এয়ারটাইট কন্টেনারে রাখুন৷ ব্যাগ বা কন্টেনারের গায়ে তারিখ দিয়ে রাখুন৷ এভাবে ফ্রিজারে রাখতে পারেন ৬ মাস পর্যন্ত৷
আঁটি বাদ দিয়ে আম স্লাইস করে ফ্রিজার সেফ ব্যাগ বা এয়ারটাইট কন্টেনারে রাখুন৷ ব্যাগ বা কন্টেনারের গায়ে তারিখ দিয়ে রাখুন৷ এভাবে ফ্রিজারে রাখতে পারেন ৬ মাস পর্যন্ত৷

 

সামান্য লেবুর রস মাখিয়ে রাখুন আমের স্লাইসের গায়ে৷ তার পর রাখুন ফ্রিজে৷ এতে আমের স্বাদগন্ধ বজায় থাকবে৷ ফলের গায়ে বাদামি দাগও পড়বে না৷
সামান্য লেবুর রস মাখিয়ে রাখুন আমের স্লাইসের গায়ে৷ তার পর রাখুন ফ্রিজে৷ এতে আমের স্বাদগন্ধ বজায় থাকবে৷ ফলের গায়ে বাদামি দাগও পড়বে না৷

 

ম্যাঙ্গো পিউরি বা আমের আইস কিউব বানিয়েও রাখতে পারেন রেফ্রিজারেটরে৷
ম্যাঙ্গো পিউরি বা আমের আইস কিউব বানিয়েও রাখতে পারেন রেফ্রিজারেটরে৷

Mango Side Effects: রসাল মিষ্টি আম খেতে ভালবাসেন? আম খাওয়ার পর ভুলেও খাবেন না ‘এই’ জিনিসটি, ডাক্তারের পরামর্শ

এই গ্রীষ্মের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আর লোভনীয় ফল পাকা রসাল আম। রসাল আম কেবল সুমিষ্টই নয়, বরং এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। আমের মৌসুম এলেই কাঁচা পাকা আমের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। আমের সঙ্গে প্রাণের টান যাদের, তারা কিন্তু সারা বছর অপেক্ষা করেন গ্রীষ্মের জন্য।
এই গ্রীষ্মের সবচেয়ে আকর্ষণীয় আর লোভনীয় ফল পাকা রসাল আম। রসাল আম কেবল সুমিষ্টই নয়, বরং এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। আমের মৌসুম এলেই কাঁচা পাকা আমের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। আমের সঙ্গে প্রাণের টান যাদের, তারা কিন্তু সারা বছর অপেক্ষা করেন গ্রীষ্মের জন্য।
আচার, আমসত্ত্ব, জেলির পাশাপশি ডাল ও তরকারির সঙ্গেও খাওয়া হয় আম। শুধু স্বাদ নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য এই ফল। আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন বি পাওয়া যায়। অনেকেই আছেন, যারা আমের সময় সকাল, দুপুর এমনকি রাতেও আম খান। তবে আমের সঙ্গে কিছু খাবার খেলে কিন্তু পেটের সমস্যা হতে পারে। জেনে নিন, আমের সঙ্গে ভুলেও কোন খাবারগুলি খাওয়া চলবে না।
আচার, আমসত্ত্ব, জেলির পাশাপশি ডাল ও তরকারির সঙ্গেও খাওয়া হয় আম। শুধু স্বাদ নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য এই ফল। আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন বি পাওয়া যায়। অনেকেই আছেন, যারা আমের সময় সকাল, দুপুর এমনকি রাতেও আম খান। তবে আমের সঙ্গে কিছু খাবার খেলে কিন্তু পেটের সমস্যা হতে পারে। জেনে নিন, আমের সঙ্গে ভুলেও কোন খাবারগুলি খাওয়া চলবে না।
এই বিষয়ে আমাদের জানাচ্ছেন বিশিষ্ট ডাক্তার সুনিতা মণ্ডল। চিঁড়া, দই, আম, কলা একসঙ্গে মেখে খেতে ভালবাসেন অনেকেই। খেতে মন্দও লাগে না। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আমের সঙ্গে দইয়ের একেবারেই সদ্ভাব নেই। দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। এমনকি আম খাওয়ার পরেও দই খেতে বারণ করা হয়। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই বিষয়ে আমাদের জানাচ্ছেন বিশিষ্ট ডাক্তার সুনিতা মণ্ডল। চিঁড়া, দই, আম, কলা একসঙ্গে মেখে খেতে ভালবাসেন অনেকেই। খেতে মন্দও লাগে না। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আমের সঙ্গে দইয়ের একেবারেই সদ্ভাব নেই। দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। এমনকি আম খাওয়ার পরেও দই খেতে বারণ করা হয়। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আম খাওয়ার পর ভুলেও ঠান্ডা পানীয় পান করবেন না। কারণ, আম এবং এই ধরনের পানীয় দুটোতেই চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে এই দুটি জিনিস একসঙ্গে খেলে হঠাৎই শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনিও।
আম খাওয়ার পর ভুলেও ঠান্ডা পানীয় পান করবেন না। কারণ, আম এবং এই ধরনের পানীয় দুটোতেই চিনির পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে এই দুটি জিনিস একসঙ্গে খেলে হঠাৎই শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনিও।
আম খাবার সঙ্গে সঙ্গেই জল পান করবেন না। কারণ আম খাবার পর জল পান করলে আপনার শরীরে বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই আম খাবার অন্তত ১৫ মিনিট পরে জল পান করবেন।
আম খাবার সঙ্গে সঙ্গেই জল পান করবেন না। কারণ আম খাবার পর জল পান করলে আপনার শরীরে বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই আম খাবার অন্তত ১৫ মিনিট পরে জল পান করবেন।

Mango Side Effects: ব্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আলসার…বেশি আম খেলে শরীরে আর কী কী ক্ষতি হতে পারে জানেন? পড়ুন

গরমকাল মানেই বাঙালি বাড়িতে আমের রমরমা। হিমসাগর থেকে আম্রপালি—নানা ধরনের আম ভিড় করে বাড়িতে। আম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীও বটে। হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে, চোখের যত্ন নেয়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও খুব বেশি আম খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। বেশি আম খেলে শরীরে কী হয় জানেন?
গরমকাল মানেই বাঙালি বাড়িতে আমের রমরমা। হিমসাগর থেকে আম্রপালি—নানা ধরনের আম ভিড় করে বাড়িতে। আম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীও বটে। হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে, চোখের যত্ন নেয়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও খুব বেশি আম খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। বেশি আম খেলে শরীরে কী হয় জানেন?
ডাক্তার কিংশুক প্রামানিক জানান, বেশি আম খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় হলেও অতিরিক্ত আম বিপদ ডেকে আনে। আমে ভিটামিন সি ও ক্যালরি দুই-ই খুব বেশি পরিমাণে থাকে। একটি মাঝারি সাইজের আমে থাকে ১৩৫ ক্যালোরি। যাঁরা ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাঁদের পক্ষে আম খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
ডাক্তার কিংশুক প্রামানিক জানান, বেশি আম খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় হলেও অতিরিক্ত আম বিপদ ডেকে আনে। আমে ভিটামিন সি ও ক্যালরি দুই-ই খুব বেশি পরিমাণে থাকে। একটি মাঝারি সাইজের আমে থাকে ১৩৫ ক্যালোরি। যাঁরা ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাঁদের পক্ষে আম খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
আম ফ্রুকটোজে ভরপুর, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আম খাওয়া মোটেই উচিত নয়।
আম ফ্রুকটোজে ভরপুর, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আম খাওয়া মোটেই উচিত নয়।
ডাক্তার কিংশুক প্রামানিক আরও জানান, আজকাল বহু আম কৃত্রিমভাবে পাকানো হয়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা হয় আম পাকাতে। এই রাসায়নিকগুলোর একাধিক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরে। অতিরিক্ত আম খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয় দিনের পর দিন অতিরিক্ত আম খেলে গ্যাসটাইট্রিসের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই হজম ক্ষমতা ঠিক রাখতে চাইলে ঘন ঘন আম খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
ডাক্তার কিংশুক প্রামানিক আরও জানান, আজকাল বহু আম কৃত্রিমভাবে পাকানো হয়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা হয় আম পাকাতে। এই রাসায়নিকগুলোর একাধিক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরে। অতিরিক্ত আম খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয় দিনের পর দিন অতিরিক্ত আম খেলে গ্যাসটাইট্রিসের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই হজম ক্ষমতা ঠিক রাখতে চাইলে ঘন ঘন আম খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
বাতের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁরা আম থেকে দূরে থাকুন। আম খাবার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন আমে লেগে থাকা আঠা যেন কোনওভাবে মুখে লেগে না যায়। এর থেকে মুখে চুলকানি-জ্বালা হতে পারে।
বাতের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁরা আম থেকে দূরে থাকুন। আম খাবার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন আমে লেগে থাকা আঠা যেন কোনওভাবে মুখে লেগে না যায়। এর থেকে মুখে চুলকানি-জ্বালা হতে পারে।
হাঁচি, পেট ব্যথা, ঠান্ডা লেগে যাওয়ার মত সমস্যা-ও হতে পারে আম থেকে। অনেকে আম চিবিয়ে না খেয়ে আমের জুস করে খান। এতে আমে থাকা ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়। যাঁদের ত্বকে এলার্জির প্রবণতা আছে তাঁরাও খুব বেশি আম খাবেন না।
হাঁচি, পেট ব্যথা, ঠান্ডা লেগে যাওয়ার মত সমস্যা-ও হতে পারে আম থেকে। অনেকে আম চিবিয়ে না খেয়ে আমের জুস করে খান। এতে আমে থাকা ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়। যাঁদের ত্বকে এলার্জির প্রবণতা আছে তাঁরাও খুব বেশি আম খাবেন না।
পুষ্টিবিদদের মতে, দিনে দু টুকরোর বেশি আম খাওয়া যাবে না। বেশি খেলেই কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার এমনকি ব্রণ হওয়ার ঝুঁকিও থাকে, হতে পারে ডায়েরিয়া-ও
পুষ্টিবিদদের মতে, দিনে দু টুকরোর বেশি আম খাওয়া যাবে না। বেশি খেলেই কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার এমনকি ব্রণ হওয়ার ঝুঁকিও থাকে, হতে পারে ডায়েরিয়া-ও

Mango: মুর্শিদাবাদ জেলায় আমের জোগান কম, ভরসা ভীনরাজ্যের আমে

বর্ষার আগেই গাছ থেকে নামানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। ইতি মধ্যেই যা চলে গিয়েছে কলকাতা সহ বিভিন্ন রাজ্যে। ফলে মুর্শিদাবাদ জেলার আমের জোগান কম থাকার কারণে বহরমপুরে আমের বিক্রি নেই। ফলে আগামিদিনে ভরসা ভীন রাজ্যের আমের উপর। আর সেই কারণেই বিক্রেতাদের দাবি, আমের ভাল বিক্রি নেই মুর্শিদাবাদে।

Health Tips: নিশ্চিন্তে খান পাকা আম, বশে থাকবে ওজন-ডায়াবেটিস! শুধু মানতে হবে এই ‘নিয়ম’, রোজ ক’টা করে কীভাবে খাবেন? জানলেই কেল্লাফতে

Diabetes-Mango: ওজন-ডায়াবেটিস হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে! গপগপ করে পাকা আম খাচ্ছেন? রোজ ক'টা করে খাবেন? সঠিক 'নিয়ম'-মানলেই বশে থাকবে সুগার
Diabetes-Mango: ওজন-ডায়াবেটিস হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে! গপগপ করে পাকা আম খাচ্ছেন? রোজ ক’টা করে খাবেন? সঠিক ‘নিয়ম’-মানলেই বশে থাকবে সুগার
আম খেতে ভালবাসলেও অনেকেরই ধারণা রোজ আম খেলেই ওজন বাড়ে৷  আবার যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারাও আম খেতে ভালবাসলেও সুগার বাড়ার ভয়ে অনেকেই খান না৷ কেউ কেউ আবার শরীরের তোয়াক্কা না করেই রোজ আম খান৷
আম খেতে ভালবাসলেও অনেকেরই ধারণা রোজ আম খেলেই ওজন বাড়ে৷ আবার যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারাও আম খেতে ভালবাসলেও সুগার বাড়ার ভয়ে অনেকেই খান না৷ কেউ কেউ আবার শরীরের তোয়াক্কা না করেই রোজ আম খান৷
 আম খেলেই কি সুগার ও ওজন বাড়ে? এই নিয়ে নানা মতও রয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডায়াবেটিসে সবসময় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷  ফাইবারের পরিমাণ বেশি খাবার খাওয়াই সুগারের রোগীদের জন্য ভাল৷
আম খেলেই কি সুগার ও ওজন বাড়ে? এই নিয়ে নানা মতও রয়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডায়াবেটিসে সবসময় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ ফাইবারের পরিমাণ বেশি খাবার খাওয়াই সুগারের রোগীদের জন্য ভাল৷
হেলথলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকা আমের মধ্যে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের মতো শর্করা রয়েছে। পাকা আম অতিরিক্ত খেলে সুগার লেভেল আচমকা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অল্প পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই।
হেলথলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকা আমের মধ্যে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের মতো শর্করা রয়েছে। পাকা আম অতিরিক্ত খেলে সুগার লেভেল আচমকা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অল্প পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই।
একটি মাঝারি সাইজের পাকা আমের মধ্যে প্রায় ১৫০ ক্যালরি থাকে৷ তাই অতিরিক্ত আম খেলে সুগার বাড়ার পাশাপাশি ওজন বাড়ারও ভয় থাকে৷
একটি মাঝারি সাইজের পাকা আমের মধ্যে প্রায় ১৫০ ক্যালরি থাকে৷ তাই অতিরিক্ত আম খেলে সুগার বাড়ার পাশাপাশি ওজন বাড়ারও ভয় থাকে৷
সুগারের রোগীদের লো-ক্যালরি খাবার খাওয়া উচিত৷ তাই পাকা আম খাওয়ার আগে একটু সাবধানতা বজায় রাখতেই হবে অন্যথায় ওজন ও ডায়াবেটিস দুটোই বাড়তে পারে৷
সুগারের রোগীদের লো-ক্যালরি খাবার খাওয়া উচিত৷ তাই পাকা আম খাওয়ার আগে একটু সাবধানতা বজায় রাখতেই হবে অন্যথায় ওজন ও ডায়াবেটিস দুটোই বাড়তে পারে৷
আম খাওয়াও শরীরের জন্য বিরাট উপকারী৷ এই কারণেই আমকে সুপারফুড বলা হয়৷  আমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই এবং হাজারো গুণ৷
আম খাওয়াও শরীরের জন্য বিরাট উপকারী৷ এই কারণেই আমকে সুপারফুড বলা হয়৷ আমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই এবং হাজারো গুণ৷
আমের মধ্যে থাকা এসব উপাদান ক্যালসিয়াম মেটাবলিজমে সাহায্য করে৷  হাড়ের ক্ষয়ের সম্ভাবনা কমায়। এছাড়াও কোলাজেন গঠনে, ইউভি রশ্মি হাত থেকে ক্ষয় প্রতিরোধে এবং ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে পাকা আম। পাকা আম খেলে এসব উপকারিতাও পাবেন। তবে সবটাই পরিমাণ মতো খেতে হবে৷
আমের মধ্যে থাকা এসব উপাদান ক্যালসিয়াম মেটাবলিজমে সাহায্য করে৷ হাড়ের ক্ষয়ের সম্ভাবনা কমায়। এছাড়াও কোলাজেন গঠনে, ইউভি রশ্মি হাত থেকে ক্ষয় প্রতিরোধে এবং ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে পাকা আম। পাকা আম খেলে এসব উপকারিতাও পাবেন। তবে সবটাই পরিমাণ মতো খেতে হবে৷
এবার জানতে হবে সুগারের রোগীরা রোজ ক'টা করে আম খেতে পারেন? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সুগারের রোগীরা ছোট সাইজের পাকা আম সকাল বেলার দিকে খাওয়ার চেষ্টা করুন৷ তাহলে হজমের কোনও সমস্যা হবে না৷
এবার জানতে হবে সুগারের রোগীরা রোজ ক’টা করে আম খেতে পারেন? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সুগারের রোগীরা ছোট সাইজের পাকা আম সকাল বেলার দিকে খাওয়ার চেষ্টা করুন৷ তাহলে হজমের কোনও সমস্যা হবে না৷
আমের মধ্যে যেহেতু  ক্যালরি ও শর্করা বেশি রয়েছে ,তাই যেদিন পাকা আম খাবেন সেদিন অন্য কোনও মিষ্টি না খাওয়ার চেষ্টা করুন৷ এই নিয়ম মানলেই বশে থাকবে ডায়াবেটিস ও ওজন৷
আমের মধ্যে যেহেতু ক্যালরি ও শর্করা বেশি রয়েছে ,তাই যেদিন পাকা আম খাবেন সেদিন অন্য কোনও মিষ্টি না খাওয়ার চেষ্টা করুন৷ এই নিয়ম মানলেই বশে থাকবে ডায়াবেটিস ও ওজন৷

Nadia News: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কাঁচায় ঝরে পড়েছে আম! বাজারে অমিল হতে পারে হিমসাগর

নদিয়া: ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডব। আর তারই বেশ কিছুটা প্রভাব পড়েছে নদিয়ায়। রবিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি সঙ্গে ঝড়ো হওয়া, চলে সকাল পর্যন্ত। যদিও নদিয়া জেলায় এখনও পর্যন্ত বড় সড় ক্ষয়ক্ষতির কোনও ঘটনা ঘটেনি।

তবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে আমবাগান ব্যবসায়ীরা। এ বছর আমের ফলন কম হওয়াতে এমনিতেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আম। এক প্রকার বলা যেতেই পারে, বাঙালির অতি প্রিয় আম হাতের নাগালের বাইরে। কিন্তু এই ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে প্রচুর আম গাছ থেকে পড়ে মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে, আর সেখানেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আম ব্যবসায়ীদের, এমনটাই জানাচ্ছেন তারা।

আরও পড়ুন – Mango: নবাবী আমলের গোলাপখাস বা চম্পা, এই আম খেয়েছেন কখনও? কেন এত দাম এই আমের জানেন

উল্লেখ্য নদিয়ার শান্তিপুর, কৃষ্ণগঞ্জ, আমঘাটা ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে হিমসাগর আম রাজ্যসহ গোটা দেশে এমনকি বিদেশের মাটিতেও রফতানি করা হয়। তবে এবছর জেলার প্রায় বেশিরভাগ গাছই বিশ্রাম নিয়েছে। অর্থাৎ মুকুল আসেনি এ বছর বেশিরভাগ আম গাছে। আর সেই কারণেই আমের মরশুম চলে এলেও এখনও বাজারে আমের ঝুড়ির দেখা তেমনভাবে মিলছে না। আর সেই কারণে চাহিদার থেকে যোগান কম হওয়ার কারণে আমের দাম কিঞ্চিত বৃদ্ধি রয়েছে বলেই জানা যায়। তবে তার মধ্যে সমস্যার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমল।

এই সময় হিমসাগর আমগাছে প্রায় পরিপূর্ণ আম ঝুলে থাকতে দেখা যায়। জেলায় এ বছর তুলনামূলকভাবে আমের ফলন কম হলেও যে কটি গাছে আমের ফলন হয়েছিল তার বেশিরভাগই ঝরে পড়ে গিয়েছে। আম চাষিরা জানাচ্ছেন ঝরে পড়া আম বাজারে সেভাবে বিক্রি হয় না, তার কারণ সেই আম ঝরে অতি দ্রুতগতিতে মাটিতে আছার খেয়ে পড়ার ফলে আমে দাগ লেগে যায়। যার ফলে ওই আম পাকতে চায় না অথবা পচন ধরে যায়। সেই কারণে সেই সমস্ত আম বিক্রি হয় না। আর বিক্রি হলে পরেও অনেক কম দামে সেগুলি বিক্রি হয়। সেই কারণেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন আম চাষিরা।

Mainak Debnath

Mangoes: আমের নাম ফজলি-ল্যাংড়া-গোলাপখাস-হিমসাগর! ফলের রাজার এমন অদ্ভুত সব নাম কেন জানেন?

ফলের রাজা আম। গ্রীষ্মের সবচেয়ে লোভনীয় স্বাদ লুকিয়ে আমেই। কাঁচা থেকে পাকা, আমের প্রতি ভালোবাসা সব বয়সের মানুষের। যেমন তার গন্ধ, তেমন তার স্বাদ। আর নামগুলোও অদ্ভুত। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন আমগুলোর নাম এমন অদ্ভুত হল কেন? এমন নামকরণের কারণ কী?
ফলের রাজা আম। গ্রীষ্মের সবচেয়ে লোভনীয় স্বাদ লুকিয়ে আমেই। কাঁচা থেকে পাকা, আমের প্রতি ভালোবাসা সব বয়সের মানুষের। যেমন তার গন্ধ, তেমন তার স্বাদ। আর নামগুলোও অদ্ভুত। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন আমগুলোর নাম এমন অদ্ভুত হল কেন? এমন নামকরণের কারণ কী?
হিমসাগর– হিমসাগর পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত আম। বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলাতেও এই আমের চাষ হয়। এই আমের মিষ্টি সুগন্ধ ও স্বাদ পৃথিবীর অন্যান্য আমের থেকে ভিন্ন। তাই সারা পৃথিবীতে স্বাদ ও গন্ধের জন্য এই আম বাণিজ্যিক ভাবে প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়। হিমসাগর আম এতই জনপ্রিয় যে, এই আমকে আমের রাজা বলা হয়। এই আমের ভিতরের রং হলুদ-কমলা এবং কোন আঁশ নেই। প্রচুর পরিমাণে চাষের কারণেই এর নাম সম্ভবত সাগরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে।
হিমসাগর– হিমসাগর পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত আম। বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলাতেও এই আমের চাষ হয়। এই আমের মিষ্টি সুগন্ধ ও স্বাদ পৃথিবীর অন্যান্য আমের থেকে ভিন্ন। তাই সারা পৃথিবীতে স্বাদ ও গন্ধের জন্য এই আম বাণিজ্যিক ভাবে প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়। হিমসাগর আম এতই জনপ্রিয় যে, এই আমকে আমের রাজা বলা হয়। এই আমের ভিতরের রং হলুদ-কমলা এবং কোন আঁশ নেই। প্রচুর পরিমাণে চাষের কারণেই এর নাম সম্ভবত সাগরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে।
ফজলি– ১৮০০ সালে মালদহ জেলার কালেক্টর রাজভেনশ এই আমের নামকরণ করেন 'ফজলি'। কথিত, ফজলি বিবি নামক এক প্রৌঢ়া বাস করতেন স্বাধীন সুলতানদের ধ্বংসপ্রাপ্ত গৌড়ের একটি প্রাচীন কুঠিতে। তাঁর বাড়ির উঠোনেই ছিল একটি আমগাছ। ফজলি এই গাছটির খুব যত্ন নিতেন। এলাকার ফকির বা সন্ন্যাসীরা সেই আমের ভাগ পেতেন। কালেক্টর রাজভেনশ একবার ফজলি বিবির কুঠিরের কাছে শিবির স্থাপন করেন। তাঁর আগমনের খবর পেয়ে ফজলি বিবি সেই আম নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। রাজভেনশ সেই আম খেয়ে খুবই তৃপ্ত হন। জানতে চান, সেই নামের নাম। কিন্তু ইংরেজি না বুঝে নিজের নাম বলে দেন ফজলি বিবি। সেই থেকেই এই আমের নাম হয় 'ফজলি'।
ফজলি– ১৮০০ সালে মালদহ জেলার কালেক্টর রাজভেনশ এই আমের নামকরণ করেন ‘ফজলি’। কথিত, ফজলি বিবি নামক এক প্রৌঢ়া বাস করতেন স্বাধীন সুলতানদের ধ্বংসপ্রাপ্ত গৌড়ের একটি প্রাচীন কুঠিতে। তাঁর বাড়ির উঠোনেই ছিল একটি আমগাছ। ফজলি এই গাছটির খুব যত্ন নিতেন। এলাকার ফকির বা সন্ন্যাসীরা সেই আমের ভাগ পেতেন। কালেক্টর রাজভেনশ একবার ফজলি বিবির কুঠিরের কাছে শিবির স্থাপন করেন। তাঁর আগমনের খবর পেয়ে ফজলি বিবি সেই আম নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। রাজভেনশ সেই আম খেয়ে খুবই তৃপ্ত হন। জানতে চান, সেই নামের নাম। কিন্তু ইংরেজি না বুঝে নিজের নাম বলে দেন ফজলি বিবি। সেই থেকেই এই আমের নাম হয় ‘ফজলি’।
ল্যাংড়া– মুঘল আমলে দ্বারভাঙায় এই প্রকারের আম চাষ শুরু হয়। কিন্তু তখন কেউ এর নাম নিয়ে মাথা ঘামায়নি। পরে আঠারো শতকে এক ফকির খুব সুস্বাদু এই আমের চাষ করেন। সেই ফকিরের পায়ে কিছু সমস্যা ছিল। সেই থেকেই নাকি ওই আমের নাম হয়ে যায় 'ল্যাংড়া'।
ল্যাংড়া– মুঘল আমলে দ্বারভাঙায় এই প্রকারের আম চাষ শুরু হয়। কিন্তু তখন কেউ এর নাম নিয়ে মাথা ঘামায়নি। পরে আঠারো শতকে এক ফকির খুব সুস্বাদু এই আমের চাষ করেন। সেই ফকিরের পায়ে কিছু সমস্যা ছিল। সেই থেকেই নাকি ওই আমের নাম হয়ে যায় ‘ল্যাংড়া’।
লক্ষ্মণভোগ ও গোপালভোগ– ইংরেজবাজারের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মণ একটি আম গাছ রোপণ করেন। স্বাদে-গন্ধে সেই আম ছিল তুলনাহীন। লক্ষ্মণ চাষির নাম থেকেই লক্ষ্মণভোগ আমের উৎপত্তি। ইংরেজবাজারে নরহাট্টার গোপাল চাষির নামে আবার নাম হয় গোপালভোগের।
লক্ষ্মণভোগ ও গোপালভোগ– ইংরেজবাজারের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মণ একটি আম গাছ রোপণ করেন। স্বাদে-গন্ধে সেই আম ছিল তুলনাহীন। লক্ষ্মণ চাষির নাম থেকেই লক্ষ্মণভোগ আমের উৎপত্তি। ইংরেজবাজারে নরহাট্টার গোপাল চাষির নামে আবার নাম হয় গোপালভোগের।
গোলাপখাস– এ আম বিখ্যাত তার গন্ধের জন্য। মিষ্টি গোলাপের গন্ধ বহন করে বলে এই আমকে গোলাপখাস নামে ডাকার চল শুরু হয়ে যায়। প্রাচীন বাংলার আমগুলির মধ্যে গোলাপখাস অন্যতম। এই আমের গায়ে গোলাপের রঙের লালচে আভাও থাকে।
গোলাপখাস– এ আম বিখ্যাত তার গন্ধের জন্য। মিষ্টি গোলাপের গন্ধ বহন করে বলে এই আমকে গোলাপখাস নামে ডাকার চল শুরু হয়ে যায়। প্রাচীন বাংলার আমগুলির মধ্যে গোলাপখাস অন্যতম। এই আমের গায়ে গোলাপের রঙের লালচে আভাও থাকে।
গুটি ও আশ্বিনা– চেহারায় ছোট ও গোল প্রকারের আম খেয়ে সেই আঁটি নিজের বাগানে পুঁতেছিলেন মালদহের এক দরিদ্র কৃষক। সেই আঁটি থেকেই জন্ম নিয়েছিল আরেক আমগাছ। কাঁচা অবস্থায় টক। কিন্তু পাকলে খুব মিষ্টি। আঁটি বা গুটি থেকে গাছটি জন্মায় বলে আমের নামও হয়ে যায় 'গুটি'। এ দিকে আশ্বিন মাসে পাকে যে আম তাকে 'আশ্বিনা বলে চেনে বাংলা। প্রায় অগাস্ট মাস পর্যন্ত বাজারে এই আম পাওয়া যায়।
গুটি ও আশ্বিনা– চেহারায় ছোট ও গোল প্রকারের আম খেয়ে সেই আঁটি নিজের বাগানে পুঁতেছিলেন মালদহের এক দরিদ্র কৃষক। সেই আঁটি থেকেই জন্ম নিয়েছিল আরেক আমগাছ। কাঁচা অবস্থায় টক। কিন্তু পাকলে খুব মিষ্টি। আঁটি বা গুটি থেকে গাছটি জন্মায় বলে আমের নামও হয়ে যায় ‘গুটি’। এ দিকে আশ্বিন মাসে পাকে যে আম তাকে ‘আশ্বিনা বলে চেনে বাংলা। প্রায় অগাস্ট মাস পর্যন্ত বাজারে এই আম পাওয়া যায়।
চৌষা– খুবই জনপ্রিয় আম এই চৌষা। দামেও অনেকটাই কম। খুঁটি বা যে কোনও ধারালো জিনিস দিয়ে আমের মাথাটি ফুটো করে চুষে খেয়েই এই আমের মজা। সে কারণেই এই আমের নাম চৌষা।
চৌষা– খুবই জনপ্রিয় আম এই চৌষা। দামেও অনেকটাই কম। খুঁটি বা যে কোনও ধারালো জিনিস দিয়ে আমের মাথাটি ফুটো করে চুষে খেয়েই এই আমের মজা। সে কারণেই এই আমের নাম চৌষা।

Mangoes in Summer: মিষ্টি মিষ্টি পাকা আম খাওয়ার আগে এই কাজটি করতেই হবে, নইলে শরীরের বড় ক্ষতি! জানুন

গোলাপখাস, হিমসাগর, ল্যাংড়া-- রকমারি আমের স্বাদে মজে বাঙালি। বাজার ফিরতি লোকজনের ব্যাগ থেকে উঁকি মারে কাঁচা পাকা আম। গরমের সেরা পাওনা এই মিষ্টি মিষ্টি আম। কিন্তু রসালো পাকা আম খাওয়ার আগে একটি কাজ আপনাকে করতেই হবে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
গোলাপখাস, হিমসাগর, ল্যাংড়া– রকমারি আমের স্বাদে মজে বাঙালি। বাজার ফিরতি লোকজনের ব্যাগ থেকে উঁকি মারে কাঁচা পাকা আম। গরমের সেরা পাওনা এই মিষ্টি মিষ্টি আম। কিন্তু রসালো পাকা আম খাওয়ার আগে একটি কাজ আপনাকে করতেই হবে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে অনেকের বাড়িতেই আম কাটার আগে কিছু ক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখা হয়। বেশ কিছু ক্ষণ জলে ভেজানোর পর আম কাটা হয়।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে অনেকের বাড়িতেই আম কাটার আগে কিছু ক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখা হয়। বেশ কিছু ক্ষণ জলে ভেজানোর পর আম কাটা হয়।
কখনও ভেবে দেখেছেন, এমনটা কেন করা হয়? আম খাওয়ার আগে জলে ভিজিয়ে রাখলে বাড়তি কোনও সুবিধা পাওয়া যায় কী?
কখনও ভেবে দেখেছেন, এমনটা কেন করা হয়? আম খাওয়ার আগে জলে ভিজিয়ে রাখলে বাড়তি কোনও সুবিধা পাওয়া যায় কী?
শরীরের ফ্যাট কমাতে: আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল। যা শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই আম খাওয়ার আগে কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে ফাইটোকেমিক্যালের ঘনত্ব হ্রাস পায়। ফলে শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ আশঙ্কা থাকে না।
শরীরের ফ্যাট কমাতে: আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল। যা শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই আম খাওয়ার আগে কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে ফাইটোকেমিক্যালের ঘনত্ব হ্রাস পায়। ফলে শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ আশঙ্কা থাকে না।
ফাইটিক অ্যাসিড বিনষ্ট করতে: ফাইটিক অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা উপকারী নয়। এটি অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট হিসাবে পরিচিত এই অ্যাসিড আমের খোসায় থাকে। এই অ্যাসিড শরীরে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালশিয়ামের মতো কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান শোষণে বাধা দেয়। আম খাওয়ার ঘণ্টা খানেক জলে ভিজিয়ে রাখলে এই অ্যাসিড দূর হয়।
ফাইটিক অ্যাসিড বিনষ্ট করতে: ফাইটিক অ্যাসিড স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা উপকারী নয়। এটি অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট হিসাবে পরিচিত এই অ্যাসিড আমের খোসায় থাকে। এই অ্যাসিড শরীরে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালশিয়ামের মতো কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান শোষণে বাধা দেয়। আম খাওয়ার ঘণ্টা খানেক জলে ভিজিয়ে রাখলে এই অ্যাসিড দূর হয়।
রাসায়নিক পদার্থ দূর করতে: দ্রুত আম পাকাতে অনেক সময়ে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান স্প্রে করা হয়। এগুলি শরীরে গেলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা। চোখ জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলি এড়াতে আম খাওয়ার অবশ্যই কিছু ক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে আমে থাকা রাসায়নিক পদার্থগুলি ধুয়ে যাবে।
রাসায়নিক পদার্থ দূর করতে: দ্রুত আম পাকাতে অনেক সময়ে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান স্প্রে করা হয়। এগুলি শরীরে গেলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা। চোখ জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলি এড়াতে আম খাওয়ার অবশ্যই কিছু ক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে আমে থাকা রাসায়নিক পদার্থগুলি ধুয়ে যাবে।
বিভিন্ন শারীকিক সমস্যা এড়াতে: আমের খোসায় এমন অনেক উপাদান থাকে যেগুলি শরীর এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ব্রণ, র‌্যাশ, কোষ্ঠকাঠিন্যে, অন্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে আম খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নিন।
বিভিন্ন শারীকিক সমস্যা এড়াতে: আমের খোসায় এমন অনেক উপাদান থাকে যেগুলি শরীর এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ব্রণ, র‌্যাশ, কোষ্ঠকাঠিন্যে, অন্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে আম খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নিন।
শরীর ঠান্ডা রাখতে: আম খেলে শরীরের তাপমাত্রা সাময়িক ভাবে বৃদ্ধি পায়। শরীর গরম হয়ে ওঠে। আম খেয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে তাই আম খাওয়ার আগে কিছু ক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
শরীর ঠান্ডা রাখতে: আম খেলে শরীরের তাপমাত্রা সাময়িক ভাবে বৃদ্ধি পায়। শরীর গরম হয়ে ওঠে। আম খেয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে তাই আম খাওয়ার আগে কিছু ক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)