দামোদরের জলের প্রবল বেগে ভেসে গিয়েছে অস্থায়ী কাঠের সেতু।

Temporary Bridge Collapse: হঠাৎ বাঁকুড়ার সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গেল আসানসোলের! ব্যাপারটা কী?

পশ্চিম বর্ধমান: হঠাৎ করেই পড়শি বাঁকুড়ার সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গেল আসানসোলের! এক ধাক্কায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব বেড়েছে। যদিও এই সমস্যা প্রথম নয়। বারবার একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ওই রাস্তা ব্যবহারকারী নিত্যযাত্রীদের। বিশেষ করে বর্ষার সময় এই পরিস্থিতি দেখা দেয়। গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের পর ফিরেছে পুরনো ছবিটা।

আসানসোলের হিরাপুর সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু। দামোদরের উপর তৈরি এই সেতু ব্যবহার করে অনেকেই বাঁকুড়ার সঙ্গে সহজে যোগাযোগ রক্ষা করেন। এই সেতু না থাকলে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার বাড়তি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয় নিত্যযাত্রীদের। ফলে সমস্যা বাড়ে। ওই জায়গায় একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবিও রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

আর‌ও পড়ুন: বাঘের সংখ্যা বাড়ায় মানুষের সঙ্গে সংঘাতও বাড়ছে, বিকল্প জীবিকার অভাব প্রকট সুন্দরবনে

গত সপ্তাহে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর ভয়াল রূপ নিয়েছিল দামোদর। ডিভিসির জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার ফলে দামোদরে অনেকটা জলস্তর বেড়ে যায়। যার ফলে ভেসে গিয়েছে কাঠের এই অস্থায়ী সেতুটি। এই সেতু ভেসে যাওয়ার ফলে ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। সেখানে সময় অনেকটা বেশি লাগছে। সেতু ব্যবহারকারী নিত্যযাত্রীরা ওই জায়গায় স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি করছেন।

উল্লেখ্য, আসানসোলের হীরাপুর থেকে বাঁকুড়া যোগাযোগ রক্ষাকারী এই অস্থায়ী সেতুর জায়গায় স্থায়ী সেতু নির্মাণের আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে। কখনও কেন্দ্রের তরফ থেকে আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে, কখনও রাজ্যের তরফ থেকে শোনা গিয়েছে আশার বাণী। কিন্তু শেষপর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে বর্ষায় দামোদরে জল বাড়লে ভেসে যায় কাঠের সেতুটি। তখন বাড়তি দূরত্ব অতিক্রম করতে হয় নিত্যযাত্রীদের।

নয়ন ঘোষ