বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে একটি যুগের অবসান৷

Buddhadeb Bhattacharya School: ‘তাঁকে দেখেই প্রধান শিক্ষক চেয়ার ছেড়ে দেন, কিন্তু…’, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মৃতিচারণায় শৈলেন্দ্র-স্কুল

কলকাতা: প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন মুখ‍্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকাল ৮:২০ মিনিটে ইহলোক ত‍্যাগ করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। দুপুর দুটো নাগাদ বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল‍্যাট থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে শকট পৌঁছয় পিস ওয়ার্ল্ডে। শুক্রবার তাঁর শেষযাত্রা।

প্রাক্তন ছাত্রকে হারিয়ে মন খারাপ বুদ্ধবাবুর স্কুলের। শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ের সহ-প্রধান শিক্ষক হরিনাথ নন্দ বলেন, ‘‘বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াণ আমাদের কাছে অত্যন্ত বেদনার। আমরা খুবই শোকার্ত। স্কুল ছুটি দিতে পারিনি পরীক্ষার জন্য । স্কুল চলা সত্ত্বেও আমরা নীরবতা পালন করলাম । বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ১৯৯৭ ও ২০০১, দু’বার এসেছিলেন এই স্কুলে। প্রথমবার এসেছিলেন আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাংলার প্রথম জাতীয় শিক্ষক জ্যোতির বিকাশ মিত্র রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁর মূর্তি উন্মোচনে। দ্বিতীয়বার স্কুলের লাইব্রেরি উদ্বোধনে। তাঁকে সেই সময় প্রধান শিক্ষক নিজের চেয়ার ছেড়ে দিলেও তিনি বসেননি। উল্টো দিকে একটি চেয়ারে বসেছিলেন। এটা বড় প্রাপ্তি ছিল।’’

শৈলেন্দ্র সরকার স্কুল
শৈলেন্দ্র সরকার স্কুল

আরও পড়ুন: WB06 0002-আর উঠবেন না বুদ্ধদেব, অন্তিম যাত্রাতেও শববাহী শকটের পিছনে চলল সেই সাদা অ্যাম্বাসাডর

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজের স্কুল সম্পর্কে ভীষণ রকম সচেতন ছিলেন। ভালোসা ছিল বিদ্যালয়ের প্রতি৷ তাই তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্য স্কুলে হবে সংগ্রহশালা। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছাত্র ও কর্মজীবনের বিভিন্ন ছবি, নথি, তথ্য এবং তাঁর লেখা বই-ও থাকবে এই সংগ্রহশালায়। স্কুলের অন্যতম কৃতী ছাত্রের প্রয়াণের পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই স্কুলের এই বিশেষ উদ্যোগ।

আরও পড়ুন: অসাধারণ এক পোর্টফোলিও হয়েও সারাজীবন সাধারণ থাকলেন বুদ্ধ-জায়া মীরা…

যতবার তিনি স্কুলে এসেছেন, নিজেকে প্রাক্তন ছাত্র হিসাবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। এমনকী, তাঁর দেহরক্ষীদের স্কুলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকত। শেষবার এসে ছাত্রদের সাথে ক্লাসরুমে গিয়েই আলাপ জমিয়েছেন তিনি।

আবীর ঘোষাল