Tag Archives: Buddhadeb Bhattacharya

বুদ্ধদেবকে শেষ দেখা দেখতে পাননি, সৌরভের সেই আক্ষেপ মিটল বৃহস্পতিবার!

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণ সভায় সৌরভ। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ যাত্রায় থাকতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর দিন কলকাতায় ছিলেন না সৌরভ। ব্যক্তিগত কাজে মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন। পরের দিন মুম্বাই থেকে কলকাতায় ফিরে চেয়েছিলেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণ সভায় সৌরভ। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ যাত্রায় থাকতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর দিন কলকাতায় ছিলেন না সৌরভ। ব্যক্তিগত কাজে মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন। পরের দিন মুম্বাই থেকে কলকাতায় ফিরে চেয়েছিলেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল আলিমুদ্দিনে যাবেন। কিন্তু সময়ের মিল না হওয়ায় ঠিক করেন নীলরতন সরকার হাসপাতালে গিয়ে বুদ্ধদেব ভটচাজকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাবেন। কিন্তু মৌলালি পর্যন্ত পৌছলেও পৌঁছে শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি।
প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল আলিমুদ্দিনে যাবেন। কিন্তু সময়ের মিল না হওয়ায় ঠিক করেন নীলরতন সরকার হাসপাতালে গিয়ে বুদ্ধদেব ভটচাজকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাবেন। কিন্তু মৌলালি পর্যন্ত পৌছলেও পৌঁছে শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি।
পুলিশের তরফ থেকে তাকে অনুরোধ করা হয়েছিল যে পরিমাণ মানুষের উপস্থিতি ছিল তার মধ্যে সৌরভ এন আর এস এ গেলে আইন-শৃঙ্খলা সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে ফিরে গিয়েছিলেন।
পুলিশের তরফ থেকে তাকে অনুরোধ করা হয়েছিল যে পরিমাণ মানুষের উপস্থিতি ছিল তার মধ্যে সৌরভ এন আর এস এ গেলে আইন-শৃঙ্খলা সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে ফিরে গিয়েছিলেন।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে বহু স্মৃতি রয়েছে সৌরভের। সে কথাই আগেই তিনি জানিয়েলেন। সৌরভ বলেছিলেন, তিনি দেশে বা বিদেশের মাটিতে ভাল খেললেই ফোন পেতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে বহু স্মৃতি রয়েছে সৌরভের। সে কথাই আগেই তিনি জানিয়েলেন। সৌরভ বলেছিলেন, তিনি দেশে বা বিদেশের মাটিতে ভাল খেললেই ফোন পেতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ যাত্রায় থাকতে না পেরে আক্ষেপের কথা নিউজ ১৮ বাংলাকে জানিয়েছিলেন সৌরভ। তবে স্মরণ সভায় উপস্থিত থাকলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ যাত্রায় থাকতে না পেরে আক্ষেপের কথা নিউজ ১৮ বাংলাকে জানিয়েছিলেন সৌরভ। তবে স্মরণ সভায় উপস্থিত থাকলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।
এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণ সভায় নেতাজি ইন্দোরে হাজির ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুদ্ধবাবুর স্মরণ সভা নীরবতা পালন।
এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণ সভায় নেতাজি ইন্দোরে হাজির ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুদ্ধবাবুর স্মরণ সভা নীরবতা পালন।

Buddhadeb Bhattacharjee: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভার আয়োজন সিপিএম-এর! জানিয়ে দিল দিনক্ষণ, স্থান

কলকাতাঃ আগামী ২২ অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বুধবার একথা জানিয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক ও পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। এক প্রেস বিবৃতিতে সেলিম জানান, “আগামী ২২ অগাস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টেয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআই(এম)’র পলিট ব্যুরোর প্রাক্তন সদস্য প্রয়াত কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। স্মরণসভায় যোগ দেবেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। এই উপলক্ষে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বাইরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সংগ্রামী জীবন ও কাজ নিয়ে একটি প্রদর্শনীও করা হবে। অনুষ্ঠানে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বক্তৃতা, আবৃত্তি, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি নিয়ে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হবে।”

আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের আজ পলিগ্রাফ টেস্ট! ফাঁস হবে বড় রহস‍্য?

তিনি আরও বলেন, ‘গত ৮ অগাস্ট প্রয়াত হয়েছেন কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পরদিন কলকাতায় তাঁর মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড জনপ্লাবিত হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ শোকার্ত হৃদয়ে বহু জায়গা থেকে এসে শোকযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন, আমরা পার্টির পক্ষ থেকে তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ২২ আগস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের স্মরণসভাতেও তাঁদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠান সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অনুরাগী সবার কাছে তাতে অংশ নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে।”

যদিও ব্রিগেড ময়দানে এই কর্মসূচি করার দাবি জানিয়েছিলেন দলের একটা বড় অংশ। এই দাবি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারও করা হয়েছিল। যদিও বর্ষার জন্য সেটা করা সম্ভব হয়নি বলেই দলীয় সূত্রে খবর। পরবর্তী সময়ে কলকাতা জেলা কমিটির দফতর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে এই কর্মসূচি করার কথা আলোচনা হয় কিন্তু সেই জায়গাটি এই কর্মসূচির জন্য অনেকটাই ছোট হতে পারে মনে করে শেষ পর্যন্ত নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মসূচি করার কথা সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের কথায়, “অনেকেই চেয়েছিল ব্রিগেড ময়দানে স্মরণসভা হোক ৷ কিন্তু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ যাত্রা যে পরিমাণ মানুষের ঢল নেমেছিল তার রেশ স্মরণসভাতেও পড়তে পারে ৷ একারণেই নেতাজি ইন্ডোরে ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷”

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কেমন মানুষ ছিলেন? মাত্র দু’টি শব্দে বোঝালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

গত বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুসম্পর্কের কথা অনেকেরই জানা।
গত বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুসম্পর্কের কথা অনেকেরই জানা।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একটি কাজে মুম্বইতে ছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবর তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শেষ দেখা দেখবেন বলে ফিরে আসেন কলকাতায়।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একটি কাজে মুম্বইতে ছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবর তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শেষ দেখা দেখবেন বলে ফিরে আসেন কলকাতায়।
যদিও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষবারের মতো দেখা হয়নি মহারাজের। তা নিয়ে আক্ষেপের সুর ছিল তাঁর কথায়। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে অনেক কথাই বলেছেন সৌরভ।
যদিও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষবারের মতো দেখা হয়নি মহারাজের। তা নিয়ে আক্ষেপের সুর ছিল তাঁর কথায়। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে অনেক কথাই বলেছেন সৌরভ।
তাঁর সঙ্গে প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সম্পর্ক ছিল দারুণ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বুদ্ধবাবু তাঁকে ছেলের মতোই স্নেহ করতেন। দেশে বা বিদেশের মাটিতে তিনি ভাল খেললেই ফোন করতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর সঙ্গে প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সম্পর্ক ছিল দারুণ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বুদ্ধবাবু তাঁকে ছেলের মতোই স্নেহ করতেন। দেশে বা বিদেশের মাটিতে তিনি ভাল খেললেই ফোন করতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
কেমন মানুষ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য? সৌরভ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে মাত্র দুটি শব্দ খরচ করেন। তিনি বলেন, আদর্শ বাঙালি।
কেমন মানুষ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য? সৌরভ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে মাত্র দুটি শব্দ খরচ করেন। তিনি বলেন, আদর্শ বাঙালি।
সৌরভ এদিন বলেন, ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির সময় রাত আড়াইটের সময়ও ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, আপনি এখনও ঘুমোননি! তিনি বলেছিলেন, না, তুমি এত ভাল খেললে, শুভেচ্ছা না জানিয়ে ঘুমোই কী করে!
সৌরভ এদিন বলেন, ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির সময় রাত আড়াইটের সময়ও ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, আপনি এখনও ঘুমোননি! তিনি বলেছিলেন, না, তুমি এত ভাল খেললে, শুভেচ্ছা না জানিয়ে ঘুমোই কী করে!
সৌরভ আরও বলেন, বুদ্ধদেব ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে একটা মিল রয়েছে। তাঁরা দুজনেই খুব সাদামাঠা জীবন যাপন করেন।
সৌরভ আরও বলেন, বুদ্ধদেব ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে একটা মিল রয়েছে। তাঁরা দুজনেই খুব সাদামাঠা জীবন যাপন করেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দিয়েছিলেন ‘এই’ পরামর্শ, আজও মেনে চলেন সৌরভ! বড় রহস্য ফাঁস

তাঁর সঙ্গে প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সম্পর্ক ছিল দারুণ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বুদ্ধবাবু তাঁকে ছেলের মতোই স্নেহ করতেন। তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষবার আর দেখা হয়নি সৌরভের।
তাঁর সঙ্গে প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সম্পর্ক ছিল দারুণ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বুদ্ধবাবু তাঁকে ছেলের মতোই স্নেহ করতেন। তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষবার আর দেখা হয়নি সৌরভের।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে বহু স্মৃতি রয়েছে সৌরভের। সে কথাই এদিন তিনি জানালেন। সৌরভ বললেন, তিনি দেশে বা বিদেশের মাটিতে ভাল খেললেই ফোন পেতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে বহু স্মৃতি রয়েছে সৌরভের। সে কথাই এদিন তিনি জানালেন। সৌরভ বললেন, তিনি দেশে বা বিদেশের মাটিতে ভাল খেললেই ফোন পেতেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির সময়ও বুদ্ধদেব তাঁকে ফোন করেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। তখন ভারতীয় সময় রাত ২টো।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির সময়ও বুদ্ধদেব তাঁকে ফোন করেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। তখন ভারতীয় সময় রাত ২টো।
সৌরভ আরও বলেন, তিনি সিএবি সভাপতি হওয়ার পর বহুবার চেষ্টা করেছিলেন বুদ্ধদেবকে ইডেনে আনার। তবে সেই সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। একবারই একটি টুর্নামেন্ট শেষে পুরস্কার দিতে বুদ্ধদেব ইডেনে যান। জানালেন সৌরভ।
সৌরভ আরও বলেন, তিনি সিএবি সভাপতি হওয়ার পর বহুবার চেষ্টা করেছিলেন বুদ্ধদেবকে ইডেনে আনার। তবে সেই সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। একবারই একটি টুর্নামেন্ট শেষে পুরস্কার দিতে বুদ্ধদেব ইডেনে যান। জানালেন সৌরভ।
সৌরভের সঙ্গে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কও বেশ ভাল। তবে সৌরভ কখনওই রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়ান না। অথচ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ ভাল।
সৌরভের সঙ্গে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কও বেশ ভাল। তবে সৌরভ কখনওই রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়ান না। অথচ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ ভাল।
সৌরভ এদিন জানান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁকে একবার বলেছিলেন, খেলোয়াড়দের সরাসরি রাজনীতিতে না জড়ানোই ভাল।
সৌরভ এদিন জানান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁকে একবার বলেছিলেন, খেলোয়াড়দের সরাসরি রাজনীতিতে না জড়ানোই ভাল।
সৌরভ কি সেই জন্য়ই কখনও রাজনীতিতে থাকেন না! তিনি রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সৌজন্যের সম্পর্ক রাখলেও কখনওই নিজে রাজনীতির উঠোনে পা রাখেন না!
সৌরভ কি সেই জন্য়ই কখনও রাজনীতিতে থাকেন না! তিনি রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সৌজন্যের সম্পর্ক রাখলেও কখনওই নিজে রাজনীতির উঠোনে পা রাখেন না!

Buddhadeb Bhattacharjee death: বিদায় নিয়েছেন বুদ্ধদেব! প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে চোখে জল ৮০ বছরের চা বিক্রেতার

বাঁকুড়া: ‘বুদ্ধবাবু আমাকে খুব ভালবাসতেন’ বললেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ, পার্টি অফিসের বাইরে চা বিক্রি করেন তিনি। যতবার বাঁকুড়া আসতেন, ততবারই তাঁর চায়ের দোকানে যেতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বংশীর চা ছাড়া একদম চলত না তার। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মারা গেছেন শুনে চোখে জল ৮০ বছরের বংশী সেন মোদকের।

স্কুলডাঙ্গার পার্টি অফিসের পাশে বংশীবাবুর দোকান ছিল, যা এখন আর নেই। প্রায় দশ বছর আগে শারীরিক কারণে ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হন বৃদ্ধ। তবে তার আগে যতবার বাঁকুড়ায় এসেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, ততবার বংশীর চা তার সঙ্গে ছিল। কাঁপা কাঁপা গলায় বংশী বলেন, “তিনি আমায় তিনি খুব ভালবাসতেন।”

আরও পড়ুন: শেষ বার আলিমুদ্দিনে বুদ্ধদেব, শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বাম নেতা-কর্মী-সমর্থকরা

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বহুবার এসেছেন বাঁকুড়ায়। বঙ্গ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু করে সতীঘাট। তাঁর সভায় ভিড় করেছে লাখ লাখ মানুষ। এক সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাশে থেকে বহু কাজ করেছেন অনাথ মল্ল, বর্তমানে তিনি রাজ্যের ফরওয়ার্ড ব্লকের সভাপতি। অনাথ বলেন, একজন মুখ্যমন্ত্রীর মতো তিনি ব্যবহার করতেন না। তাঁর ব্যবহার দেখে মনে হত তিনি একজন সাধারণ মানুষ। সবাইকে পাশে নিয়ে চলতেন। তার ব্যবহার আমরা ভুলতে পারছি না। বিধানসভা এবং লোকসভার ভোটও তিনি পরিচালনা করে গেছেন। আজও পর্যন্ত ২০১০ সালের ৩০ অক্টোবরের জনসভার চেয়ে বড় জনসভা বাঁকুড়ায় কোনও দিন হয়নি”। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মৃতিচারণ করতে করতে উঠে এল বংশীবাবুর চায়ের দোকানের কথা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ইউনুসকে শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন মমতা?

সাদা চুল, সাদা পাঞ্জাবি, সাদা ধুতি। রাজ্যের বিভিন্ন খুঁটিনাটি তার নখদর্পণে। বহুবার এসেছেন বাঁকুড়া, করেছেন সভাও। মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সতীঘাটে। সেই পথচলার গতি কমেছিল আগেই, এবার শেষ হল সেই পথচলা।

Buddhadeb Bhattacharjee Last Rites: মমতার সরকারের গান স্যালুট হচ্ছে না বুদ্ধদেবের শেষযাত্রায়! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

কলকাতা: বিদায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শুক্রবার কমরেডের শেষযাত্রা। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর জীবনাবসান হয়, এদিন তাঁর দেহদানের মধ্যে দিয়ে পূর্ণ হবে শেষযাত্রা। প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানানোর কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গান স্যালুট কি দেওয়া হবে?

সিপিআইএম নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, গান স্যালুট হবে না। দলের যুক্তি, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর সরকারি সাহায্য নেননি। তাঁর ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে সিপিএম। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবিন দেব শুক্রবার বলেন, ‘আমরা বিষয়টা জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আমাদের সঙ্গে বিধানসভার স্পিকারেরও কথা হয়েছে। আমরা বললাম, এ ক্ষেত্রে গান স্যালুট দেওয়া যায় না। কারণ, গান স্যালুট একেবারে লাস্ট স্টেজ। সেটার পর আর কিছু করা যায় না।’

আরও পড়ুন: ‘সকলের প্রিয়জন’, বিধানসভায় বুদ্ধদেবের মরদেহ, শাসক-বিরোধীদের শ্রদ্ধা, পাশাপাশি অভিষেক-শুভেন্দুও

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন যাচ্ছি বিধানসভায়। এর পর আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সেখানে তিন ঘণ্টা দেহ থাকবে। তার পর একটা মিছিল হবে। দীনেশ মজুমদার ভবনে, যেখানে যুব ফেডারেশনের অফিস, সেখানে যাবে দেহ। তার পর এনআরএসে বডি দান করা হবে। আর এনআরএসে তো গান স্যালুট দেওয়ার কোনও প্রভিশন নেই।’

আরও পড়ুন: ‘তাঁকে দেখেই প্রধান শিক্ষক চেয়ার ছেড়ে দেন, কিন্তু…’, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মৃতিচারণায় শৈলেন্দ্র-স্কুল

জ্যোতি বসু অবশ্য গান স্যালুট পেয়েছিলেন। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে লাল পতাকায় ছেয়ে যাওয়া রেড রোডে জ্যোতিবাবুর মরদেহ জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়া হয়েছিল। তবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে তা হবে না। ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা পরিষ্কার হচ্ছ না। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধবাবু।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা বেজে ২০ মিনিটে প্রয়াত হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুক্রবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে দেহদান করা হবে বামনেতার।

Buddhadeb Bhattacharjee Last Rites: ‘সকলের প্রিয়জন’, বিধানসভায় বুদ্ধদেবের মরদেহ, শাসক-বিরোধীদের শ্রদ্ধা, পাশাপাশি অভিষেক-শুভেন্দুও

কলকাতা: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শুক্রবার তাঁর শেষযাত্রা। দুপুরে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে বুদ্ধবাবুর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পিস ওয়ার্ল্ডে। সেখানেই শায়িত ছিলেন প্রবাদপ্রতিম রাজনীতিবিদ কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এদিন শেষযাত্রায় প্রথমেই তাঁর দেহ আনা হয় রাজ্য বিধানসভায়। সেখানে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির বাম-তৃণমূল-বিজেপি সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলেন নেতা-কর্মীরা।

তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানান রাজ্য়ের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। উপস্থিত অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়, বিমান বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কেরা। বুদ্ধদেবকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে মুখোমুখি হলেন অভিষেক-শুভেন্দু।

.
.

আরও পড়ুন: ‘তাঁকে দেখেই প্রধান শিক্ষক চেয়ার ছেড়ে দেন, কিন্তু…’, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মৃতিচারণায় শৈলেন্দ্র-স্কুল

মন্ত্রী ও মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে এই বিধানসভায় দীর্ঘ সময় কেটেছিল বামনেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। এদিন সেখানেই তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানানোর পালা এসে হাজির। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদেরও মিলিয়ে দিল এই বিদায়বেলা। বুদ্ধবাবুর মরদেহের পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাম নেতা, স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও সন্তান সুচেতন।

আরও পড়ুন: WB06 0002-আর উঠবেন না বুদ্ধদেব, অন্তিম যাত্রাতেও শববাহী শকটের পিছনে চলল সেই সাদা অ্যাম্বাসাডর

একনজরে দেখে নেওয়া যাক, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ যাত্রার সূচি:সময়সূচি মেনে সকাল সাড়ে দশটায় সম্পূর্ণ নিরাপত্তায় পিস ওয়ার্ল্ড থেকে রওনা হবে বুদ্ধবাবুর মরদেহ। প্রয়াত রাজনীতিবিদ, সিপিআইএম-এর প্রবীণ নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিধানসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহ শায়িত থাকবে সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত। বিধানসভা থেকে বুদ্ধবাবুর মরদহ এরপর নিয়ে যাওয়া হবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সেখানে বারোটা থেকে বেলা ৩টে ১৫ পর্যন্ত শায়িত থাকবে মরদেহ।

বেলা তিনটে বেজে তিরিশ মিনিট থেকে ৩টে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ থাকবে দীনেশ মজুমদার ভবনে। তিনটে বেজে ৪৫ মিনিট নাগাদ সেখান থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ যাত্রার সূচনা, যা শেষ হবে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজে। বিকেল চারটেয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরণোত্তর দেহদান করা হবে এনআরএস হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়াদের গবেষণার জন্য।‌ আজ রাতভোর মরদেহ সংরক্ষণ করে রাখা থাকবে পিস ওয়ার্ল্ডে।‌

আবীর ঘোষাল

Buddhadeb Bhattacharya School: ‘তাঁকে দেখেই প্রধান শিক্ষক চেয়ার ছেড়ে দেন, কিন্তু…’, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মৃতিচারণায় শৈলেন্দ্র-স্কুল

কলকাতা: প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন মুখ‍্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকাল ৮:২০ মিনিটে ইহলোক ত‍্যাগ করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। দুপুর দুটো নাগাদ বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল‍্যাট থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে শকট পৌঁছয় পিস ওয়ার্ল্ডে। শুক্রবার তাঁর শেষযাত্রা।

প্রাক্তন ছাত্রকে হারিয়ে মন খারাপ বুদ্ধবাবুর স্কুলের। শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ের সহ-প্রধান শিক্ষক হরিনাথ নন্দ বলেন, ‘‘বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াণ আমাদের কাছে অত্যন্ত বেদনার। আমরা খুবই শোকার্ত। স্কুল ছুটি দিতে পারিনি পরীক্ষার জন্য । স্কুল চলা সত্ত্বেও আমরা নীরবতা পালন করলাম । বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ১৯৯৭ ও ২০০১, দু’বার এসেছিলেন এই স্কুলে। প্রথমবার এসেছিলেন আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাংলার প্রথম জাতীয় শিক্ষক জ্যোতির বিকাশ মিত্র রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁর মূর্তি উন্মোচনে। দ্বিতীয়বার স্কুলের লাইব্রেরি উদ্বোধনে। তাঁকে সেই সময় প্রধান শিক্ষক নিজের চেয়ার ছেড়ে দিলেও তিনি বসেননি। উল্টো দিকে একটি চেয়ারে বসেছিলেন। এটা বড় প্রাপ্তি ছিল।’’

শৈলেন্দ্র সরকার স্কুল
শৈলেন্দ্র সরকার স্কুল

আরও পড়ুন: WB06 0002-আর উঠবেন না বুদ্ধদেব, অন্তিম যাত্রাতেও শববাহী শকটের পিছনে চলল সেই সাদা অ্যাম্বাসাডর

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজের স্কুল সম্পর্কে ভীষণ রকম সচেতন ছিলেন। ভালোসা ছিল বিদ্যালয়ের প্রতি৷ তাই তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্য স্কুলে হবে সংগ্রহশালা। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছাত্র ও কর্মজীবনের বিভিন্ন ছবি, নথি, তথ্য এবং তাঁর লেখা বই-ও থাকবে এই সংগ্রহশালায়। স্কুলের অন্যতম কৃতী ছাত্রের প্রয়াণের পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই স্কুলের এই বিশেষ উদ্যোগ।

আরও পড়ুন: অসাধারণ এক পোর্টফোলিও হয়েও সারাজীবন সাধারণ থাকলেন বুদ্ধ-জায়া মীরা…

যতবার তিনি স্কুলে এসেছেন, নিজেকে প্রাক্তন ছাত্র হিসাবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। এমনকী, তাঁর দেহরক্ষীদের স্কুলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকত। শেষবার এসে ছাত্রদের সাথে ক্লাসরুমে গিয়েই আলাপ জমিয়েছেন তিনি।

আবীর ঘোষাল

Buddhadeb Bhattacharjee eye donation: বুদ্ধদেবের কর্নিয়া দৃষ্টি ফেরাল দু জনের! সচেতন ভাবেই ছানি অপারেশন করাননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী?

কলকাতা: প্রয়াণের পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না৷ তার আগেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দান করা কর্নিয়া দৃষ্টি ফেরালো দু জনের৷ বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ অনেক দিন আগেই নিজের চোখ এবং দেহ দান করে রেখেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী৷ মৃত্যুর পর পরই তাঁর চোখের কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয়৷

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কর্নিয়া কলকাতার রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথালমলজিতে বা আরআইও- তে কর্নিয়া জনিত অন্ধত্বে ভোগা দুই ব্যক্তির চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়৷ কর্নিয়া গ্রহিতা দু জনেই সুস্থ রয়েছেন বলে খবর৷

আরও পড়ুন: ‘হে চিরসারথি, তব রথচক্রে…’ ১৯৪৪-২০২৪ : সাদা পোশাকের মুকুটহীন সম্রাট…

মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী৷ এমন কি, বই পড়তে পছন্দ করলেও দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে সংবাদপত্র অথবা বই পড়েই শোনাতে হত৷ প্রত্যেকদিনের সংবাদপত্র তাঁকে পাঠ করে শোনাতেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য৷

চিকিৎসকরা অবশ্য জানাচ্ছেন, চোখের সমস্যা থাকলেও বুদ্ধদেবের কর্নিয়ায় কোনও সমস্যা ছিল না৷ প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছানি অপারেশন না করানোয় তাঁর কর্নিয়ার গুণগত মানও ভাল ছিল৷ কিন্তু দীর্ঘদিন চোখের সমস্যায় ভুগলেও কেন ছানি অপারেশন করাননি বুদ্ধদেব? চিকিৎসকর মহলের একাংশের ধারণা, অস্ত্রোপচার করালে কর্নিয়ার গুণগত মান কমে যায়, তা সম্ভবত জানতেন বুদ্ধদেব৷ সেক্ষেত্রে চক্ষুদান করা থাকলেও মৃত্যুর পর তাঁর কর্নিয়া কারও চোখে প্রতিস্থাপন করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল৷ ফলে চক্ষুদানের ক্ষেত্রেই সমস্যা হত৷ এখানেই চিকিৎসক মহলের একাংশের ধারণা, সম্ভবত এই কারণেই সচেতন ভাবে ছানি অপারেশন করাননি বুদ্ধদেব৷

চোখের পাশাপাশি চিকিৎসায় গবেষণার স্বার্থে নিজের দেহও দান করে গিয়েছেন বুদ্ধদেব৷ আগামিকাল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর দেহ দান করা হবে বলেই খবর৷

Buddhadeb Bhattacharya Last Rites: পিস ওয়ার্ল্ড থেকে এনআরএস, কোন পথে শুক্রবার ‘বুদ্ধবাবুর’ শেষযাত্রা? দেখুন রুট

প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষযাত্রা হবে শুক্রবার। বৃহস্পতিবার তাঁর দেহ শায়িত রয়েছে পিস ওয়ার্ল্ডে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সেখান থেকে দেহ বার করা হবে। তার পরে শেষযাত্রা শুরু হবে রাজ্য বিধানসভার উদ্দেশে। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিধানসভায় মরদেহ থাকবে। সেখান থেকে বেলা ১২টা নাগাদ দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সিপিএমের রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। সেখানেই মরদেহ শায়িত থাকবে বিকাল ৩টে পর্যন্ত। সেখান থেকে প্রয়াত বুদ্ধদেবের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দীনেশ মজুমদার ভবনে। সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের রাজ্য দফতরে। বুদ্ধদেব ছিলেন প্রাদেশিক যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। সভাপতি ছিলেন তাঁর বন্ধু এবং কমরেড দীনেশ মজুমদার। তাঁর নামেই ওই ভবনটি নামাঙ্কিত। পৌনে ৪টে পর্যন্ত বুদ্ধদেবের দেহ শায়িত থাকবে সেখানে।