Crime: মানসিক অবসাদ, নাকি আলাদা কোনও কারণেই চরম সিদ্ধান্ত? বৃদ্ধ দম্পতির জোড়া দেহ উদ্ধার ঘিরে তোলপাড়

বহরমপুর: সাত সকালে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বহরমপুরে। শুক্রবার সকালে বহরমপুর জজকোর্ট মোড়ে বাড়িতেই ওই বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত মৃতদেহ নজরে পড়ে পরিবারের লোকেদের। মৃতদের নাম শম্ভুনাথ ঘোষ ও কল্পনা ঘোষ । ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। তবে কীভাবে এই দুই বৃদ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।

বহরমপুর জজকোর্ট মোড় এলাকায় বাড়ির নীচতলার একটি ঘরেই থাকতেন ওই বৃদ্ধ ঘোষ দম্পতি। বাড়ির দোতলায় দুই ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি নাতনিরা থাকে। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। শম্ভুনাথ বাবুর কিডনির সমস্যা ছিল এবং কল্পনা দেবী শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে ভুগছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে বুকে যন্ত্রণা হওয়ায় শুক্রবার সকালে ইকো করাতে যাওয়ার কথা ছিল শম্ভুনাথবাবুর। অন্যান্য দিনের মতো রাতে সময়মতো খাওনা দাওয়াও করেন। সকালেই পরিবারের লোকেদের নজরে পড়ে দুজনের  ঝুলন্ত দেহ ঘরের মধ্যে।

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার কারণে মানসিক অবসাদের দরুণ একসঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অনুমান পরিবারের। মৃতের পুত্রবধূ সোমা ঘোষ বলেন, ‘বাবা মা অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। রাতে আমি খাবার দিতে আসি। আমার সঙ্গে কথাও হয়। কিন্তু বাবা মা এইরকম কিছু করে বসবে একটুও টের পাইনি।’ মৃতের ছোট ছেলে স্বরূপ ঘোষ বলেন, ‘বাড়ির কারোর সঙ্গে কোনও ঝামেলা অশান্তি ছিলনা। কিছু অসুস্থতার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ছিলেন। সেই কারণেই হয়ত বাবা মা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।’ মেজ ছেলে ভগীরথ ঘোষ বলেন, ‘চিকিৎসার খরচ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বাবা মা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে কল্পনাও করিনি।’