কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহে যে ধরনের এবং যত সংখ্যক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে, তা কি এক জনের পক্ষে করা সম্ভব? শুধু কি সঞ্জয় একা না কি অন্য কেউ ঘটনার রাতে সঙ্গী ছিল তার? জানতে মরিয়া কলকাতা পুলিশ।
অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ টেস্টের পরিকল্পনা তদন্তকারীদের। সেমিনার রুম অর্থাৎ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক। সেই নমুনার সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখার ভাবনা পুলিশের। কারণ ঘটনাস্থল থেকে চুল পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া নির্যাতিতার নখ থেকেও নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। কারণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসক। ফলে নখে প্রমাণ থাকবে অত্য়াচারী এক না একাধিক।
নির্যাতিতার শরীরেও একাধিক জায়গায় আঁচড়ের ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। সেই অংশ থেকেও নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। ওই আঁচড় কি শুধু সঞ্জয়ের না কি অন্য আরও কারও উপস্থিতি ছিল ওই ঘরে? কোনও মহিলা নাকি কোনও পুরুষ? এই উত্তর জানতেই এই ধরনের পরীক্ষা করতে চাইছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: এই একটি ফল নিয়ে বিমানে ওঠা নিষেধ, হতে পারে জেল-জরিমানা! জানেন কোন ফল?
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার জের। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, মহিলা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহিলা নিরাপত্তায় জোর দিতে চিহ্নিত করতে হবে অপরাধপ্রবণ এলাকা। ওই এলাকায় কী ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয় তা জানতে হবে। পুলিশ মোতায়েন বাড়াতে হবে। উইনার্সকে কাজে লাগাতে হবে বেশি করে। মহিলা পুলিশকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার নজরদারি বাড়াতে হবে। সরকারি হাসপাতাল, মহিলা হস্টেলের মতো জায়গাগুলিতে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা হবে। মহিলাদের উপর কোনও ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
অমিত সরকার