Tag Archives: Rape and Murder

Physical Torture: গভীর রাতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, মারাত্মক ঘটনা ঘটল কোথায়?

দক্ষিণ দিনাজপুর: পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানা এলাকায়।

বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে আনা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন ওই নাবালিকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গভীর রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তাঁর বাবা মা ঘুমোচ্ছিল।

আরও পড়ুন: আরজি করে কী কালচার চলত আমি জানি, কিন্তু এখন থেকে একটা জিনিস চলবে: সুপার ডক্টর সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

সেই সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তবে মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। ধৃত ওই ব্যক্তিকে দৌলতপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ধর্ষকের জুতো ও ঘড়ি উদ্ধার করেছে। এদিন অভিযুক্তের বাড়িতে উত্তেজিত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

আরও পড়ুন: ছোট্ট শরীরজুড়ে কাটা দাগ, বিপাশার মেয়ের জন্মের ৩ দিন পর জানা যায় মারাত্মক রোগের কথা! তারপর?

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন,  “একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী-সহ কম্বব্যাক্ট ফোর্স।

সুস্মিতা গোস্বামী

Cooch Behar Nurse Rape Case: ভাড়াবাড়িতে ঢুকে কোচবিহারের নার্সকে গণধর্ষণ, ৪২ বছর কেটে গেলেও আজও কেউ গ্রেফতার হয়নি!

কোচবিহার: বর্তমানে আরজি করের ঘটনায় গোটা রাজ্য ও দেশজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। প্রতিবাদ হচ্ছে বিদেশেও। তবে আরজি করের এই ঘটনা যেন বারংবার উসকে দিয়ে যাচ্ছে কোচবিহারের ১৯৮২ সালের এক ঘটনার স্মৃতি।

আজ থেকে বহু বছর আগে কোচবিহারও এমন এক বীভৎস ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (তৎকালীন এমজেএন হাসপাতাল) এক স্টাফ নার্সকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার মূল অভিযুক্তরা আজও অধরা। হতভাগ্য সেই নার্স আজও সুবিচার পাননি। এছাড়া সুবিচারের আশায় আজও চোখের জল পড়ে গোটা পরিবারের। আরজি করের ঘটনাটি আবার নতুন করে সামনে এনেছে সেই স্মৃতিটিকে।

আরও পড়ুন: হোটেল বুকিং করে… প্রকাশ্যে মারাত্মক তথ্য! সন্দীপের ‘কাছের লোক’ সুমনের কাছে পৌঁছেই গেল সিবিআই!

নির্যাতিতা বর্ণালি দত্তের কাকাতো ভাই জানান, “দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাঁর দিদি তাঁদের বাড়িতেই থেকে পড়াশোনা করেছেন। তবে নার্স হওয়ার পর শহরের পুরনো পোস্ট অফিস পাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে একাই ভাড়া থাকতে শুরু করেন। ১৯৮২ সালে এক ঝড়-বৃষ্টির রাতে তাঁকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর এলাকার কয়েকজন তরুণ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও পরে মারা যান। তবে সেই সময় কোচবিহারও একই ভাবে ক্ষোভে গর্জে উঠেছিল। তবুও দীর্ঘ সময় বাদেও আজও সুবিচার পায়নি সেই নির্যাতিতা। তবে আরজি কর ঘটনায় সুবিচার প্রয়োজন। এবং যদি আরজি কর ঘটনার সুবিচার হয়। তবে তাঁর দিদিরও বিচার হবে এটাই মনে করেন তাঁরা।”

আরও পড়ুন: প্রোটিনের ‘পাওয়ারহাউজ’, মাছ-মাংসকে হার মানায় এই ডাল! ঝটপট ওজন কমায়-লিভারকে রাখে যত্নে

বর্ণালি দত্তের আরেক কাকাতো ভাই জানান, “তাঁর দিদি মারা যাওয়ার অনেকটা সময় পর তাঁর জন্ম। তাই পরিবারের মুখে শুনে তিনি জেনেছেন গোটা বিষয়টি। তবুও এই বীভৎস ঘটনা নাড়িয়ে দিয়ে যায় তাঁকে। কোচবিহারের বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা অনেকেই এই ঘটনা জানে না। তবে জেলা কোচবিহারেও এই ধরনের কলঙ্ক রয়েছে এটা সকলের জানা উচিত। যদিও অনেকটা সময় অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। তবুও তাঁদের পরিবারের প্রায় সকল মানুষ আজও চোখের জল ফেলে সবার অলক্ষ্যে।”

আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা সমাজ থেকে একেবারেই নির্মূল হয়ে যাক। এমনটাই প্রত্যাশা করছেন এই পরিবারের মানুষেরা। সরকারি ভাবে কঠোর আইন আনা উচিত এই বিষয়ে।

Sarthak Pandit

Sandip Ghosh RG Kar Ex Principal: হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য নিয়েও সন্দীপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ! মামলা এবার হাইকোর্টে

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের নজরে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বেশ কয়েকদিন ধরেই টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।

সন্দীপের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলে আখতার আলির দাবি, মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা থেকে বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্ত নীতি ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে চলতেন সন্দীপ ঘোষ। অ্যাকাউন্ট অফিসারের সমস্ত কিছু অগ্রাহ্য করে উল্টে পছন্দের লোককে যাতে দ্রুত টাকা পাওয়া যায় তার জন্য চাপ দিতেন। এমনকী পড়ুয়াদের নম্বর বাড়ানোর বদলে ঘুষও নিতেন বলে অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: আপনার হৃদয় কেমন আছে? খেয়াল রাখেন? ঘুমের সময় কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন বড় বিপদ জানুন

হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গাতে সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য পিডব্লিউডি (PWD)-কে বাদ দিয়ে বাইরে থেকে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে সেই কাজ করানো হত। হাসপাতালের যে কোনও কাজের জন্য তাঁকে বিভিন্ন ভাবে ভাগ করে এক লাখ টাকার কমে করানো হত, যাতে ই-টেন্ডার না করতে হয়,সমস্তটাই বেআইনি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে করতেন সন্দীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১,২৫,০০০ টাকা, যশস্বী স্কলারশিপ জানেন তো? কীভাবে আবেদন জানুন

তাঁর আরও দাবি, ক্ষতিকারক বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট বা বর্জ্য তার নিজস্ব ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমে বাইরে বিক্রি করা হত। এমনকী হাসপাতালের লাওয়ারিশ লাশ বিক্রি করারও বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।

সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি-সহ আরও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইডি তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলার আবেদন করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের এজলাসে। সঙ্গে আখতার আলির তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তার আবেদনও জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে।

অভিজিৎ চন্দ

RG Kar Murder Case Update: সন্দীপ ঘোষের ভূমিকায় একাধিক প্রশ্ন, বয়ান ঘিরে ধোঁয়াশা! দেখুন

সন্দীপ ঘোষের ভূমিকায় একাধিক প্রশ্ন। প্রাক্তন অধ্যক্ষের বয়ান ঘিরে ধোঁয়াশা। টানা ৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদে বহু অসংগতি। কেন প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলে ফোন? শুরুতেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। অন্যদিকে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসককে৷ ওই চিকিৎসককে যে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল, ময়নাতদন্তে তারও প্রমাণ মিলেছে৷ আরজি করের নিহত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এল৷

Uttarakhand Nurse Murder Case Update: ৭ দিন ঝোপেই পড়েছিল ধর্ষিতা নার্সের দেহ, খুনির কাছে উদ্ধার মৃতার গয়না-পার্স!

দেরাদুন:  আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন আপামর মানুষ। এর মধ্যেই প্রায় একই ঘটনা ঘটল উত্তরাখণ্ডে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৩৩ বছর বয়সি এক নার্সকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলা গদরপুরের ইসলামনগরের বাসিন্দা। তিনি নৈনিতালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন। ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন বিলাসপুর কলোনিতে। ৩০ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুন: আগামী ১ ঘণ্টায় ‘কাঁপিয়ে’ বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাজের সতর্কতা জারি! ভিজবে কোন কোন জেলা? জানুন

৩১ জুলাই মৃতের বোন রুদ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর মামলার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রায় এক সপ্তাহ পর ৮ অগাস্ট বাড়ি থেকে প্রায় ১.৫ কিমি দূরে উত্তর প্রদেশের ডিবডিবা এলাকার একটি ফাঁকা জমি থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় লাশ।

রাজস্থানের যোধপুর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত উত্তর প্রদেশের বরেলির বাসিন্দা। পেশায় শ্রমিক। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত ধর্মেন্দ্র কুমার নার্সকে ঝোপের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে তারপর গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে গয়না ও টাকাপয়সা ছিনতাই করে পালায়।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্কুলের বার্ষিক ফি ১১১৬৪৩৮৫ টাকা! কোথায় এই স্কুল? কারা পড়ে? শুনলে চোখ কপালে উঠবে

মৃতের চুরি যাওয়া মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করেই ধর্মেন্দ্রর হদিশ পায় পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। তা থেকে জানা গিয়েছে, রুদ্রপুরের ইন্দ্র চক থেকে একটি টেম্পোতে উঠেছিলেন ওই নার্স।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জানিয়েছে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই কাশিপুর রোডের বসুন্ধরা অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার পথে নার্সের উপর সে হামলা চালায়। প্রথমে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ এবং তারপর গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে। হত্যার পর মৃতের গয়না এবং টাকাপয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়।

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশব্যাপী ক্ষোভের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের ঘটনা সামনে এল। গত সপ্তাহে সরকারি হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর অর্ধনগ্ন ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তায়হেলথকেয়ার প্রোটেকশন অ্যাক্টের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

RG Kar Doctor Murder Case: জুনিয়রদের কর্মবিরতি সমর্থন করে রোগীদের স্বার্থে বড় দায়িত্বে সিনিয়র ডাক্তররা, দেখুন

আসানসোল: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন বুধবার গোটা দেশ জুড়ে পালন করেছেন পেন ডাউন কর্মসূচি। আর.জি কর কাণ্ডে যুক্ত সকলকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবিতে তারা বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন। আর এমন অবস্থায় অভূতপূর্ব ছবি উঠে এল আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে যেখানে জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থন করেও নিজেদের দায়িত্ব পালন করলেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা।

এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্ম বিরতি চলাকালীন রোগী পরিষেবার স্বার্থে এগিয়ে এলেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা। জেলা হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে পারলেন রোগীরা। বেশ খানিকটা চিন্তামুক্ত হতে পেরেছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরাও। এদিন দেখা গিয়েছে, আসানসোল জেলা হাসপাতালে এমার্জেন্সির সামনে বারান্দায় বসে চিকিৎসা করছেন হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকরা যে দাবি নিয়ে কর্ম বিরতি পালন করছেন, তাতে সমর্থন জানিয়ে এদিন নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন তারা।

আরও পড়ুন: আরজি করে খুনের প্রতিবাদ জারি, সেখানেই ধরনা মঞ্চে অভূতপূর্ব উদ্যোগ চিকিৎসকদের!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, যে দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে, তা একেবারেই অমূলক নয়। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে তারা পেন ডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু রোগীদের স্বার্থে পরিষেবা সচল রাখতে হবে। হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগ বা অন্যান্য বিভাগ যেমনভাবে চালু রয়েছে, তেমনভাবেই বহির্বিভাগও যাতে একেবারে স্তব্ধ না হয়ে যায়, সেজন্যই সিনিয়র চিকিৎসকরা এগিয়ে এসেছেন।

আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলা গাছের ‘মজ্জা’ এই মারণরোগ থেকে রেহাই দেবেই! চমকে যাবেন জানলে

উল্লেখ্য, আর.জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক চিকিৎসক পড়ুয়া তরুনীর উপর নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে তাকে। এমন অবস্থায় বিগত কয়েকদিন ধরেই জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রতিবাদ করছেন। তার মধ্যেই এদিন গোটা দেশজুড়ে চিকিৎসক সংগঠন কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমন অবস্থায় বহু রোগী, রোগীর পরিবার ব্যাপক চিন্তায় পড়েছিলেন। কিন্তু আসানসোল জেলা হাসপাতালে এসে বহির্বিভাগের রোগীদের হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়নি।

নয়ন ঘোষ

RG Kar Doctor Murder Case: আরজি করে খুনের প্রতিবাদ জারি, সেখানেই ধরনা মঞ্চে অভূতপূর্ব উদ্যোগ চিকিৎসকদের!

জলপাইগুড়ি: আরজি কর-কাণ্ডের জের! বুধবার আউটডোরে চিকিৎসা বন্ধ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ধরনা মঞ্চে বসেই চলছে রোগীদের চিকিৎসা। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন চিকিৎসকদের একাংশের।

খানিক সমস্যার সম্মুখীন হলেও ফিরে যাচ্ছেন না রোগীরা। আন্দোলনরত অবস্থায় ধরনা মঞ্চ থেকেই চলছে চিকিৎসা। রোগীদের পাশে যে কোনও পরিস্থিতিতেই যে চিকিৎসকেরা পাশে রয়েছেন তারই প্রমাণ দিল এদিনের মানবিক দৃশ্য।

আরও পড়ুন: হাতে ১ ঘণ্টা, তোলপাড় বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়! বাজের সতর্কতা জারি ৩ জেলায়

প্রকৃত দোষীদের কঠোর সাজা চাই! এই আন্দোলন এখন মহানগর পেরিয়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলা ও দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এমার্জেন্সি পরিষেবা স্বাভাবিক চললেও নন-এমার্জেন্সি পরিষেবায় কর্মবিরতির ডাক জুনিয়র চিকিৎসকদের। জলপাইগুড়িতেও চলছে চিকিৎসক ধর্মঘট।

আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলা গাছের ‘মজ্জা’ এই মারণরোগ থেকে রেহাই দেবেই! চমকে যাবেন জানলে

বুধবার সকাল থেকেই বন্ধ সমস্ত ওপিডি। টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দিয়ে গেট বন্ধ করে চলছে চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলন। তবে, চালু রয়েছে এমার্জেন্সি পরিষেবা। খানিকটা হলেও অন্যদিনের তুলনায় হয়রানির শিকার রোগী ও রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। এমার্জেন্সিতে রোগীদের দীর্ঘ লাইন।

সুরজিৎ দে

RG Kar High Court: সকাল ৯:৩০ থেকে কী হয়েছিল…? আদালতে উঠল মিনিট ধরে ‘সিডিউল’! হাইকোর্টে আরজি কর কাণ্ডের ‘কেস ডায়েরি’

কলকাতা: দুপুর একটার মধ্যে আরজি কর কাণ্ডে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ পালন করেছে রাজ্যে। আর তাতেই আদালতে উঠে এসেছে চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু সংক্রান্ত একাধিক তথ্য।

গত শুক্রবার ঘটনার দিন কলকাতা পুলিশ যে তদন্ত করেছে আদালতে নির্দেশে তার সবিস্তার বিবরণ আদালতে জমা দিয়েছেন রাজ্যের আইনজীবী। পাশাপাশি ওই দিন মৃত ছাত্রীর বাবা-মাকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর যে অভিযোগ উঠেছে, তা অস্বীকার করেছে রাজ্য।

ঘটনার দিন সকাল থেকে মিনিট ধরে সিডিউল তুলে ধরা হয় আদালতে। রাজ্যের আইনজীবীর তরফে জানানো হয় থানায় সকাল ৯:৩০ ফোন করা হয়। পরে আরজি কর হাসপাতালের অ্যাসিস্টান্ট সুপার ফোন করেন ২ বার। টালা হাসপাতাল ফাঁড়িতে সকাল ১০:১০ খবর আসে। টালা থানা জানতে পারে ১০:৩০। আইসি জানায় ডেপুটি কমিশনার-সহ শীর্ষ অফিসারদের। ১১টা নাগাদ হোমিসাইড টিম পৌঁছয় হাসপাতালে। ১৫০ জন চিকিৎসকেরা জমায়েত হয় হাসপাতালে।”

রাজ্যের তরফে আরও জানায় হয়, সোদপুর থেকে নিহত চিকিৎসকের অভিভাবকরা আসে দুপুর ১টায়। পৌঁছয় ফরেনসিক টিম। জানা যায় সেমিনার রুমের ঘটনা। তখন ফরেনসিক টিম সেমিনার রুমে কাজ করছিল। শীর্ষ আধিকারিকদের জানানো হয়। ১০ মিনিটের মধ্যে ভিড় সামলে অভিভাবকদের নিয়ে যাওয়া হয় সেমিনার হলে। সেখানে চেয়ার দেওয়া হয় বসতে। তখন ফরেনসিক চলছিল। তবে দেহ দেখতে দেওয়ার জন্য তাঁদের ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে মৃতার বাবা-মায়ের তরফে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা অস্বীকার করেছেন রাজ্যের আইনজীবী।

RG Kar Doctor Murder Post Mortem Report: যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত, ভেঙে যায় হাইমেন! তরুণী চিকিৎসক খুনের ময়নাতদন্তের বীভৎস রিপোর্ট

কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নতুন করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দাবি, যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে। এন্টি মর্টেনামে দেখা গিয়েছে বিপুল পরিমাণ রক্তপাতে হাইমেন ফেটে যায়। গভীর ক্ষতের প্রমাণ মিলেছে।

১৫০ গ্রাম দেহরস স্টেট ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য। তরুণী চিকিৎসকের বুকে আঘাত লাগে, শ্বাসরোধ করে দমবন্ধ করা হয়েছে। থাইরয়েড, হাড়ে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। আঙুলের নখ, ডিএনএ স্যাম্পলিং স্টেট ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। শ্বাসরোধ করে গলা টিপেই খুন করা হয়েছে ওই চিকিৎসককে।

আরও পড়ুন: প্রবল মারে চশমার কাচ ঢোকে চোখে, দেওয়ালে ঠোকা হয় মাথা, আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর তথ্য

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে কলকাতা পুলিশের দাবি, খুন-ধর্ষণের আগে মারধরে প্রবল বল প্রয়োগ করা হয়েছিল নির্যাতিতার উপর। তারই ইঙ্গিত মিলেছে ময়না তদন্তের রিপোর্টে। কোন আঘাত কীভাবে হয়েছে, তারই ইঙ্গিত রয়েছে রিপোর্টে। এমনকী নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন নির্যাতিতা। ধস্তাধস্তি হয়েছিল। বাধা দিতে চেয়েছিলেন নির্যাতিতা। তিনি যে বাধা দিয়েছিলেন তারও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তর হাত ও মুখে আঁচড়ের ক্ষত দাগ মিলেছে।

আরও পড়ুন: বুড়িয়ে যাচ্ছে চামড়া? রাতে শোওয়ার আগে ‘এই’ এক কাজে চকচক করবে মুখ! রইল গোপন টিপস

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে নির্যাতিতা তরুণীর কোথায় কী ভাবে ক্ষত হয়েছিল। চোখের ক্ষত ভাঙা চশমার কাচে ঘটেছে। সঞ্জয়ের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রতিরোধ করেছিলেন ওই চিকিৎসক। প্রবল ধস্তাধস্তিতে চশমার কাচ ভেঙে যায়। কাচ ভেঙে ক্ষত এবং চোখ থেকে রক্ত বেরিয়ে পড়ে। মাথায় আঘাত রয়েছে। ধস্তাধস্তির সময় চিৎকার রুখতে নির্যাতিতার মুখ চেপে দেওয়ালে ঠুকে দেওয়া হয়েছিল।

অভিজিৎ চন্দ

RG Kar Doctor Murder Case: আরজি কর-কাণ্ডে এবার আসরে মহিলা কমিশন, প্রথমেই গেল লালবাজার! চাপ বাড়ছে সরকারের উপর

উত্তর ২৪ পরগনা: আরজি কর-কাণ্ডে শহরের এসে পৌঁছলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের দু’সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিমানবন্দর থেকে নেমেই এদিন সোজা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। আর তারপরই যান নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পানিহাটির বাড়িতে।

কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালের রেস্ট-রুমে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করে খুন করা ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে এখনও উঠছে নানা প্রশ্ন। মৃত্যুর তদন্ত-সহ প্রকৃত দোষীদের ধরতে আন্দোলনে বসেছেন আরজি কর-সহ অন্যান্য হাসপাতালের পড়ুয়া ডাক্তারেরা। ফলে একদিকে চিকিৎসা পরিষেবাও ভেঙে পড়েছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে।

আরও পড়ুন: প্রবল মারে চশমার কাচ ঢোকে চোখে, দেওয়ালে ঠোকা হয় মাথা, আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর তথ্য

সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই নৃশংস ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখতে পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জাতীয় মহিলার কমিশনে রিপোর্ট জমা দেবেন বলেও জানান কমিশনের অন্যতম সদস্য ডেলিনা খনড়ুপ। এদিন কলকাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে রওনা দেয় এই দল। এরপর সেখান থেকেই নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।

আরও পড়ুন: ‘ভিতরের কেউ আছে’, আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সন্দেহ মমতার

মঙ্গলবার ঘটনাস্থল অর্থাৎ আরজি কর হাসপাতালেও যাবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে তাঁরা জাতীয় মহিলা কমিশনে জমা দেবেন। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে আরও অতিরিক্ত দিন থেকে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা বলেও জানা গিয়েছে। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও যে প্রশ্ন উঠছে, সে বিষয়টিও বিশেষ বিবেচনায় দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে।

Rudra Narayan Roy