দক্ষিণবঙ্গ, পূর্ব মেদিনীপুর Digha: দিঘার সমুদ্রের এ কী অবস্থা! স্নানে নেমে ভয়াবহ অবস্থা পর্যটকদের! আতঙ্কে ছোট-বড় সবাই Gallery August 12, 2024 Bangla Digital Desk *হঠাৎই রূপ বদলাল দিঘা সমুদ্র! দিঘা সমুদ্রের এই রূপ বদলানোতে সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকেরা চরম নাজেহালে পড়ল। তবে বেশিরভাগ পর্যটক সমুদ্রস্নানে না নেমে, সমুদ্র পাড়ে বসে দিন কাটাল। সমুদ্রস্নানে নামার পর হঠাৎ এই দিঘা সমুদ্রের জল কালো ঘোলা হতে শুরু করে। কাদা জলের সমুদ্র স্রোত বইতে শুরু করে। আর তাতেই এ দিন সমুদ্রস্নানে বঞ্চিত হল দিঘায় আসা পর্যটকেরা। কর্দমাক্ত সমুদ্রের জল, দিঘায় চাঞ্চল্য। প্রতিবেদনঃ সৈকত শী। ছবিঃ সংগৃহীত। *হঠাৎ কর্দমাক্ত হয়ে যায় দিঘার সমুদ্রের জল। সকালে জলের রঙ বদলে যেতে শুরু করে। পরিষ্কার জল হঠাৎ করেই ঘোলা হয়ে যেতে থাকে। কাদাজলের গা ঘিনঘিনে স্রোত। তাতে গা ভাসতে মন চায়নি পর্যটকদের। দিনভর পাড়ে বসে সময় পার করেছেন। সমুদ্রের এই রূপ দেখে বিচলিত তাঁরা। মনও খারাপ অনেকের। ছবিঃ সংগৃহীত। *সমুদ্র নির্ভর দিঘার জনজীবন। সমুদ্রের টানেই মূলত দিঘা আসেন পর্যটকরা। সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। ফলে সমুদ্রের আচমকা এই রং বদলে উদ্বিগ্ন সকলেই। তবে এমনটা হয় প্রায় প্রতি বর্ষায়। ছবিঃ সংগৃহীত। *চম্পা ও সুবর্ণরেখা নদী মোহনায় অবস্থান দিঘার। তালসারি থেকে একেবারে দিঘা মোহনা পর্যন্ত পলি মাটির আধিক্ষ্য আছে। তার ওপর এই বর্ষার সময় নদীবাহিত পলি এসে মেশে। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় সেডিমেন্ট লোড বেড়ে যাওয়া। তখনই এই রূপ গাঢ় কর্দমাক্ত হয়ে ওঠে সমুদ্রের জলের রং। ছবিঃ সংগৃহীত। *উপকূলের মানুষজন সমুদ্রের এই রূপ দেখতে অভ্যস্ত হলেও ভিন জেলা বা ভিন রাজ্যের পর্যটকেরা সমুদ্রের এই রূপ দেখতে অভ্যস্ত নয়। যেমন অভিজ্ঞতা নদিয়া থেকে আসা বিভাস মণ্ডল, আরতি মণ্ডল, বর্ধমান থেকে আসা সুদীপ সাহাদের। আগে বার কয়েক দিঘা এসেছেন। কিন্তু এই প্রথমবার দিঘার সমুদ্রের এমন রূপ দেখলেন তাঁরা। ছবিঃ সংগৃহীত। *সোশ্যাল মিডিয়ার কাজে দিনের প্রায় অধিকাংশ সময় সমুদ্র সৈকতে কাটে স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ মিশ্রের। এদিন সমুদ্রের জলের রং বদলে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্ষার সময় এমনটা প্রায় হয়ে থাকে। এদিন বিকেলের পর থেকে আবার জল পরিষ্কার হতে শুরু করেছে।’ সেডিমেন্ট লোড বেড়ে যাওয়া ছাড়াও নদী সংস্কার কিংবা উপকূল এলাকায় কোথাও ধস নেমে থাকলেও জল কর্দমাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এদিন সেরকম কিছু হয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে প্রশাসন। ছবিঃ সংগৃহীত।