বাইডেনকে চরম খোঁচা ট্রাম্পের

Donald Trump: ‘খুব বাজে ভাবে হারিয়েছি…’, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে কেন সরে দাঁড়ালেন বাইডেন? চরম খোঁচা ট্রাম্পের

নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ‘জন-অভ্যুত্থান’ ঘটেছে। সেই জন্যই বাধ্য হয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এলন মাস্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মাস দু’য়েক আগে বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে নির্বাচনী বিতর্কসভার আয়োজন করেছিল সে দেশের এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম। ট্রাম্পের দাবি, সেই বিতর্কসভায় বাইডেনের মন্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা হয়। তারপরই নাম প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, “বিতর্কসভায় বাইডেনকে খুব বাজে ভাবে হারাই। এরপরই দৌড় থেকে ছিটকে যান তিনি। এটা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিতর্কগুলোর মধ্যে একটা। বাইডেনের বিরুদ্ধে জন-অভ্যুত্থান ঘটেছে। শেষমেশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।’’

আরও পড়ুন: ঝেঁপে আসছে…! আগামী ৪৮ ঘণ্টা আবহাওয়ার বিরাট রদবদল! বজ্রবিদ্যুৎ-বৃষ্টি কাঁপাবে দক্ষিণবঙ্গ! ভিজবে কলকাতা? জানিয়ে দিল আলিপুর

উল্লেখ্য, জুন মাসে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের মধ্যে বিতর্কসভার আয়োজন করা হয়। তখনও পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিসাবে বাইডেনই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়বেন বলে ঠিক ছিল। নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে এটাই ছিল প্রথম বিতর্কসভা।

সাক্ষাৎকারে এলন মাস্ককে ট্রাম্প বলেন, বাইডেন রাষ্ট্রপতি বলেই রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করার সাহস দেখিয়েছে। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকলে এমনটা হত না। তাঁর সঙ্গে পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “পুতিনের সঙ্গে ছিলাম। খুব সম্মান দিয়েছিলেন।’’

ইউক্রেন আক্রমণ করতে পুতিনকে ট্রাম্প নিষেধ করেছিলেন বলেও সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। ট্রাম্প বলেন, “আমি ওঁকে বলেছিলাম, এমনটা করবেন না।’’ রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের জন্য বাইডেনের ঘাড়েই যাবতীয় দায় চাপিয়েছেন ট্রাম্প।

এক্স প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এলন মাস্ক। কিন্তু সাইবার হামলার মুখে পড়ে হোস্টিং লিঙ্ক। সেই কারণে সাক্ষাৎকার শুরু হতে প্রায় ৪০ মিনিট দেরি হয়। এমনটাই জানিয়েছেন এলন মাস্ক। ট্রাম্পের প্রচারকে আমেরিকার জনগণের সামনে তুলে ধরাই ছিল সাক্ষাৎকারের মূল উদ্দেশ্য।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ট্রাম্পকে খোলাখুলি সমর্থন করছেন এলন মাস্ক। তবে একসময় বিপক্ষ শিবিরেই ছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে কীভাবে ট্রাম্প এবং মাস্কের বন্ধুত্ব হল, প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে মিত্রে পরিণত হলেন, সেই নিয়েও খোলাখুলি কথা বলেন দু’জন।