হাওড়া: বিপদ মাথায় নিয়েই শিশুদের পঠন-পাঠন, বিপজ্জনক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র! পুরানো জরাজীর্ণ মাটির গাঁথুনি ইটের দেওয়াল। রাস্তার পার্শ্ববর্তী খোলা দালানের উপর স্কুল ওদের। পুরানো একটা ছোট্ট ঘর, মেঝেতে বড় বড় গর্ত। সেই গর্তে লেপে দেওয়া হয়েছে কাদা। ওই অন্ধকাছন্ন আধভাঙা দরজার ঘরে খাদ্যসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী রাখা হয়। ঘরের সামনের রাস্তা সংলগ্ন বারান্দায় চলে পঠন-পাঠন। ডোমজুর ব্লকের অন্তর্গত দক্ষিণবাড়ি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা। এতগুলো শিশুদের নিয়ে প্রতিদিন ভয়ে থাকেন শিক্ষিকা। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিশু খাদ্য রান্না। শিশু শিক্ষা কেন্দ্র পোকামাকড় টিকটিকির আস্তানা। যে কারণে ভরসা করে শিশুদের সেখানে খাবার দিতেই ভয় পান শিক্ষিকা। নেই ইলেকট্রিক পরিষেবা। প্রচন্ড গরমে হাত পাখার হওয়াতেই শিশুদের শান্ত করে রাখেন দুই দিদিমণি।
আরও পড়ুন: শরীর দুর্বল, কাঁপুনি, হাত-পায়ে ব্যথা, কী হয়েছে? সাধারণ জ্বর ভেবে ছাড় দেবেন না, পরিণতি ভয়াবহ
এমন ভয়ানক অবস্থা যেখানে শিশুদের পাঠিয়ে অভিভাবকরাও চিন্তিত। তবে বাধ্য হয়েই পাঠাতে হয় বলেই জানান একাংশের মানুষ। গ্রামের দুটি মাত্র অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র। এটি কাছাকাছি অন্যটা অনেকটা দূর। তাই ঝুঁকি নিয়ে তাই ঝুঁকি নিয়ে ছেলে ছেলেমেয়েদের পাঠাতে বাধ্য তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সাল থেকে স্থানীয় একটি ক্লাব ঘরে শুরু হয় স্কুল। তার পর থেকে বহু বছর কেটে গেছে বর্তমানে ভয়ানক রূপ নিয়েছে স্কুলটি। গ্রামের ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর বিপদ আশঙ্কায় দারুন ভাবে চিন্তিত স্থানীয়রা। নানা সমস্যার সম্মুখীন অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রটি। জমি সংক্রান্ত সমস্যার জেরে শিশুদের মাথার উপর বিপদ খাড়া হয়েছে বলেই জানান স্থানীয়রা। দিন যত গড়াচ্ছে বিপদের আশঙ্কা বেড়েই চলেছে।এ প্রসঙ্গে বিকাশ শ্রাবন্তী সাহা জানান, সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যার কথা জানিয়ে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাকেশ মাইতি