বিনোদন একসঙ্গে ১৯টি সিনেমা করেন; শ্রীদেবীর প্রেমে পাগল ছিলেন এই মেগাস্টার Gallery August 14, 2024 Bangla Digital Desk বলিউডে শ্রীদেবীকে বলা হত ‘লেডি সুপারস্টার’। সেই সময় তাঁর মতো জনপ্রিয়তা আর কোনও নায়িকার ছিল না। শ্রীদেবীর প্রেম-জীবনও সিনেমার মতোই। মিঠুন চক্রবর্তী থেকে জীতেন্দ্র, একাধিক তারকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বারবার। তবে বনি কাপুরকে বিয়ে গুঞ্জনে জল ঢেলে দেন অভিনেত্রী নিজেই। অনেকেই জানেন না, জনপ্রিয় এক মেগাস্টারের সঙ্গে শ্রীদেবীর প্রেম গড়িয়েছিল বহুদূর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক টেকেনি। তার পিছনেও রয়েছে এক অদ্ভুত কারণ। শ্রীদেবী মূলত বলিউডের তারকা। তবে দক্ষিণী সিনেমাতেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। মাত্র দশ বছরের ফিল্ম ক্যারিয়ারে ১০০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। দক্ষিণ ভারতে সিনেমা করতে গিয়েই আলাপ হয় সেই মেগাস্টারের সঙ্গে। তিনি হলেন রজনীকান্ত। প্রথমে বন্ধুত্ব। সেখান থেকে প্রেম। তবে হ্যাঁ, এই প্রেম ছিল একতরফা। শ্রীদেবীর প্রেমে পাগল ছিলেন রজনীকান্ত। কিন্তু কোনওদিন মুখ ফুটে বলতে পারেননি। কী ঘটেছিল শ্রীদেবী ও রজনীকান্তের মধ্যে? সে কথাই জানিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা কে বালাচন্দর। রজনীকান্তের সঙ্গেও একাধিক অভিনেত্রীর নাম জুড়েছে। তবে শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বিশেষ। তাঁদের অন স্ক্রিন রসায়নও ছিল জমজমাট। তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং হিন্দি মিলিয়ে মোট ১৯টি ছবিতে কাজ করেছিলেন দু’জন। তাঁদের প্রথম ছবি ছিল ‘মুন্দ্রু মুদিচু’। এই ছবিতে ১৩ বছর বয়সী শ্রীদেবী রজনীকান্তের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। দু’জনের চেনাজানাও অনেকদিনের। শ্রীদেবী ছিলেন তাঁর থেকে ১৩ বছরের বড়। কিন্তু প্রেম কী আর বয়সের বাধা মানে! একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই শ্রীদেবীর প্রেমে পড়েন রজনীকান্ত।মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬ বছর বয়সে শ্রীদেবীর মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন রজনীকান্ত। সোজাসুজি জানিয়েছিলেন, “আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই, অনুমতি দিন।’’ কিন্তু শ্রীদেবী রাজি হননি। রজনীকান্তের প্রতি কোনও টান অনুভব করেননি তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে কে বালাচন্দর বলেন, “রজনীকান্ত প্রেমে এতটাই উতলা হয়ে পড়েছিলেন যে বাড়ি গিয়ে শ্রীদেবীকেই বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন।’’ কিন্তু নিজেই নিজেকে শুধরে নেন। কীভাবে? একবার শ্রীদেবীর বাড়ির ফাংশনে হাজির হন রজনীকান্ত এবং বালাচন্দর। কিন্তু বাড়িতে ঢুকতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। গোটা বাড়ি অন্ধকার হয়ে যায়। এই ঘটনাকে ‘অশুভ লক্ষণ’ বলে মনে হয়েছিল রজনীকান্তর। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি। বিয়ের সিদ্ধান্তও বাতিল করেন।