নয়ডা: রাজধানী দিল্লি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে নয়ডা। এবার সেখানেই মহিলা সাংবাদিককে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে, ডিএলএফ মলের সামনে ক্যাবের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই সাংবাদিক। তখনই বাইক চালিয়ে এক যুবক তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। পিছনে বসা ব্যক্তি হাত নেড়ে জিজ্ঞেস করে, “রেট কত?’’ তারপরই পালিয়ে যায় সেখান থেকে। পরে ওই মহিলা সাংবাদিক জানিয়েছেন, “কপালজোড়ে নিরাপদেই বাড়ি ফিরেছি।’’
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন মহিলা সাংবাদিক। তিনি লিখেছেন, “নয়ডার সেক্টর ১৮-এর ডিএলএফ মলের সামনে ক্যাবের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখনই একটা বাইক সামনে আসে। পিছনে বসা ব্যক্তি হাতের ইশারায় জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কত টাকা নেবে?’ তারপরই স্পিড তুলে পালায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পুরো ব্যাপারটা ঘটে গেল। কপালজোড়ে নিরাপদেই বাড়ি ফিরেছি।’’
Trigger warning: Harassment
1. I was waiting for my cab near DLF m, Sector -18, Noida. A bike crossed and the guy sitting at the back waved and asked ‘kya rate legi’. He didn’t even stop and everything happened within a flick of seconds.
Thankfully, I’m back at home safely rn.
— Sonal Pateria (@SonalPateria) August 14, 2024
এটাই প্রথম নয়। এর আগেও তাঁর সঙ্গে তিন-চারবার এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সোনাল পাতেরিয়া নামের ওই মহিলা সাংবাদিক। তাঁর অভিযোগ, নয়ডার সেক্টর ১৮-এর মেট্রো স্টেশনে এক অজানা ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যেচে আলাপ করেন। তারপর তাঁর সাংবাদিকতার প্রশংসা করে বলেন, “তোমার হাঁটাচলা খুব সুন্দর। তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে।’’ সোনালের কথায়, “আমি নিজেকে শান্ত করলাম। ভাবলাম সত্যিই হয়ত আমার সাংবাদিকতার গুণগ্রাহী। কিন্তু পর মুহূর্তেই ভুল ভাঙল।’’ মহিলার দাবি অনুযায়ী ওই ব্যক্তি বলেন, “পছন্দ হয়েছে বলেই তোমাকে থামালাম। কে জানে, যদি একটা সুযোগ পাই।’’
দিল্লির রাজীব চকেও আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল ওই মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে। এক ব্যক্তি সরাসরি এসে তাঁর ফোন নম্বর চান। তিনি লিখেছেন, “এই মাসেই এসব ঘটেছে। আমি কী পরেছিলাম, কখন হয়েছে, সেগুলো কোনও বিষয় নয়। কারণ এগুলোর কোনও গুরুত্ব নেই। আসল কথা হল, আমি এবং আমার মতো অনেক মহিলাই প্রতিনিয়ত এই ধরণের ঘটনার মুখে পড়ি। এসব নিয়ে থানা-পুলিশ করার মতো শক্তিও আর নেই।’’
সাংবাদিকের ট্যুইটের প্রতিক্রিয়ায় এক্স প্ল্যাটফর্মে নয়ডার এক পুলিশ আধিকারিক লিখেছেন, “নয়ডার সহকারী ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে একটি দল আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’’