পশ্চিম বর্ধমান: বিগত কয়েক বছরে কৃষি জমিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে একটি বিশেষ মেশিন। যার ফলে কয়েক ঘণ্টাতেই বিঘার পর বিঘা জমির ধান কাটা হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ফসল উঠছে কৃষকের ঘরে। চিন্তা কমছে কৃষকের। কিন্তু এই যান্ত্রিক যোগ চিন্তা বাড়িয়েছে মৃৎশিল্পীদের। প্রতিমা তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান পেতে গিয়ে পড়ছেন সমস্যায়।
বর্তমানে একটি বিশেষ মেশিন ধান কাটতে ব্যবহার করছেন কৃষকরা। যার ফলে মুহূর্তের মধ্যে কাটা হয়ে যাচ্ছে ধান। আবার খড় থেকে ধান আলাদা হয়ে যাচ্ছে। মেশিন থেকে ধান দিয়ে জমা হচ্ছে একদিকে। আর মাঠেই টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে থাকছে খড়। হাতের বদলে মেশিনে ধান কাটার ফলে সময় অনেক কম লাগছে। মাঠে ফসল পড়ে থাকার ভয়ও থাকছে না কৃষকদের।
আরও পড়ুন: মাঝরাস্তা থেকে সন্দীপ ঘোষকে পাকড়াও করল সিবিআই, সোজা নিয়ে গেল সিজিও-তে
খড় যে কোনও মূর্তি তৈরি প্রধান উপাদান। তবে টুকরো টুকরো খড় মূর্তি তৈরিতে ব্যবহার করা যায় না। ফলে খড় না পেয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের। এখন হাতেগোনা কিছু কৃষক হাতে ধান কাটছেন। ফলে আগে যে পরিমাণ খড় পাওয়া যেত, এখন খড়ের সেই যোগান অনেকখানি কমেছে ফলে এক ধাক্কায় খড়ের দাম বেড়েছে অনেকটা। তাছাড়া অনেক কৃষকই বেশি দাম পেলেও খড় বিক্রি করতে চাইছেন না।
আরও পড়ুন: রাস্তা থেকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ধরল সিবিআই
অন্যদিকে খড়ের যোগান কমে যাওয়ায় মৃৎশিল্পীরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। শিল্পীরা বলছেন, বর্তমানে মাটি পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়াও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য পুজোর আগে বৃষ্টির দাপট বাড়ছে। মূর্তি শুকনো করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে মাটি। আবার মূর্তি শুকনো করতে গিয়েও বাড়তি খরচ হচ্ছে। এমন অবস্থায় দাম বেড়েছে খড়ের। যোগানও কম। তাই খড় পেতে সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে মৃৎশিল্পীরা বারবার বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন।