পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল Fruits: বিশ্বে সবচেয়ে ‘বেশি’ খাওয়া হয় কোন ‘লম্বা’ ফল বলুন তো…? নাম শুনলে চমকে যাবেন, গ্যারান্টি! Gallery August 16, 2024 Bangla Digital Desk ফল খাওয়া শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। যে কোনও বয়সেই ফল খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরাও তাঁদের পরামর্শে বার বার ফল খাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু এই ফল নিয়ে আপনার সাধারণ জ্ঞান কতটা? কোন ফল কাদের জন্য খাওয়া ভাল? কাদের জন্য অপকার, জানেন তো? চলুন আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক এমনই ফল সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের দারুন মজাদার একটি প্রশ্নের উত্তর। আচ্ছা আপনি কি জানেন পৃথিবীতে কোন ফল সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়? মাথা চুলকে আপনি হয়ত বলবেন, এটা বলা খুব মুশকিল, কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে আপনিও নিশ্চয়ই এই ফলটি বহুবার খেয়েছেন। এটি একটি অত্যন্ত সুস্বাদু ফল, যা শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই খুব মজা করে খায়। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল এই ফলটি ভারতের সর্বত্র পাওয়া যায় এবং এর দামও নামমাত্র। এবার নিশ্চই অনুমান করতে পারছেন আদতে এটি কোন ফল। হ্যাঁ! সারা বিশ্বে কলাই সবচেয়ে বেশি খাওয়া সেই ফল। কলা প্রায় সব দেশেই খাওয়া হয়।হেলথলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলায় প্রধানত কার্বোহাইড্রেট থাকে। বিশেষ করে শর্করা যেমন ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ এবং সুক্রোজ থাকে এই ফলে। এই সকল পদার্থ তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে। এই কারণেই যাঁরা খেলাধুলা করেন এবং সক্রিয় জীবনযাপন করেন তাঁদের জন্য কলা সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এতে বিশেষ করে পেকটিন থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে সহায়ক। এই সুস্বাদু ফলটি ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এবং পটাসিয়ামের ভালো উৎস। কলায় রয়েছে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে। কলা খাওয়ার ৫টি বড় উপকারিতা:– পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় কলা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কলার ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ছাড়াও পেটের আলসার কমাতে সাহায্য করে। ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ডা. এস কে সিং জানান, কলায় উপস্থিত চিনি, গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যাসিডিটির মতো অণুজীবের সংখ্যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমাতে সহায়ক। কলা ফল ডায়রিয়া পাশাপাশি অন্ত্রের আলসার দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে। কলায় ট্রিপটোফান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়। সেরোটোনিন মেজাজ উন্নত করতে এবং চাপ কমাতে সাহায্য করে। কলায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে সুস্থ রাখে। এটিতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। পটাসিয়ামের একটি ভাল উৎস হওয়ায়, কলা খাওয়া কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। কলার উচ্চ ফাইবার উপাদান অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। কলা মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি৬ এবং পটাশিয়াম ছাড়াও কলাতে কিছু পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কলা খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখা সহজ হয়। – কলায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং বি৬, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে যে ডায়াবেটিস রোগীরাও কলা খেতে পারেন। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।