শ্রীনগর: তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে, এক দশক ধরে কাজ করেছেন শিক্ষা দফতরে তবু নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার ডঃ মনজুর হাসানের। আপাতত কোনওক্রমে ঠেলাগাড়িতে শুকনো ফল, মশলা বিক্রি করে দিন গুজরান করছেন তিনি। পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে এক দশক ধরে শিক্ষা দফতরে কাজ করার পরে ঠিক মতন মাইনে না পাওয়ার দরুন শেষে ঠেলাগাড়িতে নানান জিনিস বিক্রি করতে তাঁকে। কষ্ট হলেও তাঁর দুই মেয়ে এই বিষয় জানে না বলেই জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুব শীঘ্রই ভোট জম্মু-কাশ্মীরে, জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দুটি এম এ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও পিএইচডি এবং তারপরেও তিনি দুটি বিএড ডিগ্রি এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে ডিপ্লোমা। কিন্তু এত কিছুর পরেও তাঁর এই জীবন অতিবাহিত করার কাহিনি একটি ইন্টারভিউের মাধ্যমে সামনে আসে। এই ভিডিও সামনে আসতেই তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ভিডিওতেই তিনি বলেন, “পিএইচডি করার পর আমি অনেকগুলো ডিগ্রিও করি। কিন্তু তারপরেও আমাকে ঠেলাগাড়িতে জিনিস বিক্রি করতে হচ্ছে।”
তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, “অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে দেখতে পেয়ে আমার কাছে এসে কাঁদে। কিছু সময় আম্মারও কান্না পায়। আমার বাবা-মায়েরও অনেক বড় স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে। তাঁরা চায় আমি অন্তত একটু আগে বাড়ি ঢুকি। কোনওদিন বাড়ি আমি রাত ৯টায় ঢুকি আবারও কোনওদিন পরেরদিন ভোর সাড়ে ছটায় ঢুকি।”
এখনও পর্যন্ত এই ভিডিওটির ভিউ ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং বেড়ে চলেছে। অনেকেই এই ব্যক্তিকে নিয়ে মন্তব্যও করে চলেছেন।