আরজি কর কাণ্ডে দেশ জুড়ে সোমবার রাখি বন্ধন প্রতীকী ছবি৷

RG Kar murder victim doctor family allegation: ‘আরজি করে যেতে আর ভাল লাগে না!’ শেষ দিকে কেন বলত মেয়ে, প্রশ্ন নির্যাতিতার মায়ের

সোদপুর:আরজি কর হাসপাতালে যেতে আর ভাল লাগে না৷’ মৃত্যুর কিছু দিন আগে থেকেই এমন বলতেন নির্যাতিতা৷ শনিবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন নিহত মহিলা চিকিৎসকের মা৷

নিহত চিকিৎসকের বাবা এ দিনও মেয়ের মৃত্যুর জন্য সরাসরি আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের দিকে আঙুল তুলেছেন৷ নিহত চিকিৎসকের বাবার অভিযোগ, হাসপাতালের যে বিভাগে তাঁর মেয়ে কাজ করতেন, ঘটনার পর থেকে সেখানকার কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি৷

আরও পড়ুন: আরজি কর ঘটনার প্রেক্ষিতে ডার্বি ম্যাচে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা, বন্ধ হল মোহন বনাম ইস্ট ম্যাচ

নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ ওর ডিপার্টেমেন্টের কেউই এর সঙ্গে জড়িত৷ না হলে ঘটনা ঘটার পর থেকে আজ পর্যন্ত ওই বিভাগের একজনও কেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করল না? এর সঙ্গে হাসপাতালের তৎকালীন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষও যুক্ত থাকতে পারেন৷ আমার মেয়ে যেদিন মারা সেদিন তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি৷ উল্টে আমাদের বলেন, আমার সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমার ঘরে আসতে হবে৷’ এর আগে নিহত চিকিৎসকের বাবা প্রশ্ন তুলেছিলেন, সারা রাত ডিউটিতে না থাকলেও কেন হাসপাতালের কেউ ওই মহিলা চিকিৎসকের খোঁজ করলেন না?

নির্যাতিতার মাও এ দিন চাঞ্চল্যকর দাবি করে বলেছেন, শেষ দিকে আর আরজি করে যেতে চাইতেন না ওই মহিলা চিকিৎসক৷ নির্যাতিতার মা বলেন, ‘ও বলত আরজি করে যেতে আর ভাল লাগে না৷ এমডি করার জন্য যেটুকু শেখার শেখা হয়ে গিয়েছে৷ এখন শুধু যাই, কাজ করি, চলে আসি৷ নির্যাতিতার মা আরও বলেন, ঘটনার দিন হাসপাতালে পৌঁছে আমরা বার বার বললাম, পায়ে ধরছি, আমার মেয়েটা যে অবস্থায় আছে আমাদের একবার দেখতে দিন৷ তখন আমাদের বলা হয়, ওখানে যাওয়া যাবে না, তদন্ত চলছে৷ আমাদের বাড়িতে অনেক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এসেছেন, প্রত্যেকে বলেছেন এই কাজ কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়৷ আমাদের মেয়েকেও আমরা যে অবস্থায় দেখেছিলাম, তাতে আমাদেরও তাই মনে হয়েছিল৷’