উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যস্ত জাতীয় সড়কে, অনবরত চলছে যানবাহন। তার মাঝেই সাধারণ মানুষের মাছ ধরার হিড়িক। শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে যশোর রোডে হাবড়া দু’নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়।
গত কয়েকদিন ধরেই জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়া বিভিন্ন মাছের গাড়ি থেকে এভাবেই পড়ে যাচ্ছে মাছ। যদিও এই মাছ পড়ে যাওয়ার কারণ অবশ্য অন্য। আর পড়ে যাওয়া মাছ কুড়োতেই ব্যস্ত রাস্তায় নেমে পড়ছেন রাস্তার দুপাশে থাকা পথ চলতি মানুষজন থেকে সাধারণ মানুষ এমনকি দোকানদাররাও।
আরও পড়ুন: সেঁকতে গেলেই পুড়ে যায় রুটি? এক টিপসেই হবে কামাল! কালো দাগহীন নরম রুটি দেখেই খেতে চাইবে মন
কখনও চারা পোনা, কখনও মাগুর-সহ নানা ধরনের ধানি মাছ। আর রাস্তা থেকে সেই মাছ কুড়িয়েই কেউ নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে, কেউ আবার এই মাছগুলোই নিয়ে গিয়ে ছাড়বেন পুকুরে বলেও জানাচ্ছেন। অনেকে আবার এই মাছ বড় করে ভুরিভোজ সারারও প্ল্যান করছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা শুরুর পর থেকেই বেহাল অবস্থা দু’নম্বর রেলগেট সংলগ্ন জাতীয় সড়ক যশোর রোডের।
তার জেরেই রাস্তার মাঝেই তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর সেখানেই জল জমে রীতিমতো পুকুর হয়ে রয়েছে। অনবরত যশোর রোড দিয়ে চলাচল করা গাড়ি, সেই সমস্ত গর্তে পরেই রীতিমতো বেঁকে যাচ্ছে। এভাবেই মাছ নিয়ে যাওয়া গাড়িগুলি গর্তে পড়তেই, জলের সঙ্গে বেশ কিছু পরিমাণ করে মাছ ছিটকে পড়ছে রাস্তার চারদিকে।
আরও পড়ুন: সেঁকতে গেলেই পুড়ে যায় রুটি? এক টিপসেই হবে কামাল! কালো দাগহীন নরম রুটি দেখেই খেতে চাইবে মন
তখনই মাছকুড়াতে মানুষজন নেমে পড়ছেন রাস্তায়। একদিকে বেহাল রাস্তা অপরদিকে এভাবে ব্যস্ত রাস্তায় মানুষের মাছ কুড়ানোর হিড়িকে যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। যদিও মাছপ্রেমী বাঙালি অবশ্য কোনও কিছুতেই ভয় পায় না। তবে বিষয়টি নজর করে এখন কতদিন সংস্কার করা হয় যশোর রোড, এখন তারই অপেক্ষায় এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করা যানবাহন চালকেরা।
Rudra Narayan Roy