একদিকে আরজি কর কাণ্ডে আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম শুনানি ঘিরে টান টান উত্তেজনা। অন্যদিকে আচমকা ফের শহরজুড়ে শুরু হল ইডির বিরাট তৎপরতা। আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমের খুন-ধর্ষণের ঘটনার পাশাপাশি নজরে দুর্নীতি মামলা।

নজরে মোবাইল! প্রাক্তন অধ্যক্ষ-সহ আধিকারিকদের ফোন খতিয়ে দেখবে সিবিআই, হবে ফরেনসিক পরীক্ষা

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে চেস্ট ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার-সহ অন্য আধিকারিকদের মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠাবে সিবিআই।একই সঙ্গে প্রাক্তন অধ্যক্ষ তাঁর অফিসে যে কম্পিউটার ব্যবহার করতেন, তারও ফরেন্সি পরীক্ষা করাতে চাইছে এজেন্সি।  তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর কোনও কিছু উড়িয়ে দিয়েছেন কিনা কম্পিউটার থেকে, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ফোনও ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে তৎপর সিবিআই।

ইতিমধ্যে আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই ঘনিষ্ঠ এক এএসআই-এর বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই। সূত্রের খবর, ফোর্থ ব্যাটেলিয়নে ওই পুলিশ কর্মীর ঘরেই থাকতেন সঞ্জয়। ঘটনার আগে ও পরে সঞ্জয়ের গতিবিধি ও বডি ল্যাঙ্গোয়েজ জানতেই ওই পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।

কী ভাবে একজন সিভিক হয়ে ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন সঞ্জয়? খোঁজ নিয়েছে সিবিআই। কেন ওই পুলিশ কর্মী অভিযুক্তকে ঘরে থাকতে দিয়েছিলেন? তাও জানতে চেয়েছে সিবিআই। ঘটনার আগে ও পরে সঞ্জয়ের সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মীর সাক্ষাৎ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সেক্ষেত্রে দুজনের ফোনে কথা হয়েছিল কিনা, কল ডিটেলস রেকর্ড থেকে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় সহ আরজি কর চত্বরে নিষিদ্ধ মিটিং, মিছিল! নির্দেশিকা জারি পুলিশের

এদিকে, শনিবার প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই দফতরে যান সন্দীপ। এরপর সেই রাত সওয়া ১১টা নাগাদ সন্দীপ সিজিও থেকে বেরোন। শনিবার সকালে সন্দীপ ছাড়াও কলকাতা পুলিশের তিন কর্মীও সিজিওতে গিয়েছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবার সকালে সন্দীপকে আবার ডাকা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে।