Fish

Harmful Fishes: যত-ই মাছ ভালবাসুন, এই ৭ মাছ থেকে শত-হাত দূরে থাকুন, পেটে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে সময় লাগবে না

কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া বাঙালির মুখে ভাত রোচে না। মেছো বাঙালির পছন্দের তালিকাটাও কম বড় নয়। কী মাছ আছে আর কী মাছ নেই সেখানে! তবে মাছ যে শুধু সুস্বাদু তাই নয়, মাছ শরীরের জন্য ভীষণ উপকারীও বটে। তবে মাথায় রাখবেন, সব মাছ কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়
কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া বাঙালির মুখে ভাত রোচে না। মেছো বাঙালির পছন্দের তালিকাটাও কম বড় নয়। কী মাছ আছে আর কী মাছ নেই সেখানে! তবে মাছ যে শুধু সুস্বাদু তাই নয়, মাছ শরীরের জন্য ভীষণ উপকারীও বটে। তবে মাথায় রাখবেন, সব মাছ কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়
মাছের উৎস, চর্বির পরিমাণ ও আঁশ অনুযায়ী মাছকে নানা প্রকারে ভাগ করা যায়। যেমন,  রুই, কাতলা, কই, পুঁটি মিষ্টিজলের মাছ। অন্যদিকে রূপচাঁদা, লইট্টা, ভেটকি, ইলিশ নোনাজলের মাছ। কম চর্বিযুক্ত মাচের মধ্যে রয়েছে মাগুর, টাকি, শিং। বেশি চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে রয়েছে পাঙাশ, চিতল, ভেটকি, ইলিশ। তবে মাছ খেতে যত-ই ভালবাসুন, এই ৭ টি মাছ ভুলেও খাবেন না। জেনে নিন কোন-কোন মাছ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক?
মাছের উৎস, চর্বির পরিমাণ ও আঁশ অনুযায়ী মাছকে নানা প্রকারে ভাগ করা যায়। যেমন, রুই, কাতলা, কই, পুঁটি মিষ্টিজলের মাছ। অন্যদিকে রূপচাঁদা, লইট্টা, ভেটকি, ইলিশ নোনাজলের মাছ। কম চর্বিযুক্ত মাচের মধ্যে রয়েছে মাগুর, টাকি, শিং। বেশি চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে রয়েছে পাঙাশ, চিতল, ভেটকি, ইলিশ। তবে মাছ খেতে যত-ই ভালবাসুন, এই ৭ টি মাছ ভুলেও খাবেন না। জেনে নিন কোন-কোন মাছ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক?
রফতানি করা মাগুর মাছ: ইদানীং আকার বাড় করার জন্য মাগুর মাছে নানারকম হরমোন ইনজেক্ট করা হয়। এই সব মাগুর শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। কাজেই বাজারে গিয়ে বড় আকারের মাগুর মাছ ভুলেও কিনবেন না। ছোট সাইজের মাছ কিনুন। ছোট মাগুরে খুব উপকার।

রফতানি করা মাগুর মাছ: ইদানীং আকার বাড় করার জন্য মাগুর মাছে নানারকম হরমোন ইনজেক্ট করা হয়। এই সব মাগুর শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। কাজেই বাজারে গিয়ে বড় আকারের মাগুর মাছ ভুলেও কিনবেন না। ছোট সাইজের মাছ কিনুন। ছোট মাগুরে খুব উপকার।
ম্যাকারেল:  ম্যাকরেল মাছে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ডি থাকে, কিন্তু এক-ই সঙ্গে এই মাছে থাকে পারদ। কাজেই এই মাছ খেলে পেটে পারদ জমা হতে থাকে যার ফলে একাধিক বিপজ্জনক রোগ হতে পারে
ম্যাকারেল: ম্যাকরেল মাছে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ডি থাকে, কিন্তু এক-ই সঙ্গে এই মাছে থাকে পারদ। কাজেই এই মাছ খেলে পেটে পারদ জমা হতে থাকে যার ফলে একাধিক বিপজ্জনক রোগ হতে পারে
তেলাপিয়া: চাহিদা বেশি বলে তেলাপিয়া খামারে চাষ করা হয়। এক-একটা খামারে বিপুল মাছ চাষ করা হয়। এই মাছেদের খাবার হিসেবে বাজারের বিক্রি হওয়া মাছের খাবার দেওয়া হয় না। খাবার হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয় হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা। এই খাবার খেয়ে রোগজীবাণু শরীরে বয়ে বেড়ায় তেলাপিয়া। আর সেই মাছ খেলে মানুষের হৃদরোগ, পক্ষাঘাত, হাঁপানিও হতে পারে। বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। তেলাপিয়া মাছে প্রোটিনের মাত্রা খুব কম এদের শরীরে ডিবুটাইলিন নামের এক প্রকার কেমিক্যাল জমা হয়। এই ডিবুটাইলিন থেকে হাঁপানি, অ্যালার্জি হতে পারে।
তেলাপিয়া: চাহিদা বেশি বলে তেলাপিয়া খামারে চাষ করা হয়। এক-একটা খামারে বিপুল মাছ চাষ করা হয়। এই মাছেদের খাবার হিসেবে বাজারের বিক্রি হওয়া মাছের খাবার দেওয়া হয় না। খাবার হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয় হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা। এই খাবার খেয়ে রোগজীবাণু শরীরে বয়ে বেড়ায় তেলাপিয়া। আর সেই মাছ খেলে মানুষের হৃদরোগ, পক্ষাঘাত, হাঁপানিও হতে পারে। বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। তেলাপিয়া মাছে প্রোটিনের মাত্রা খুব কম এদের শরীরে ডিবুটাইলিন নামের এক প্রকার কেমিক্যাল জমা হয়। এই ডিবুটাইলিন থেকে হাঁপানি, অ্যালার্জি হতে পারে।
তেলাপিয়া মাছ খেলে শরীরের মেদ বাড়ে। এ ছাড়া তেলাপিয়া মাছের শরীরে ডাই-অক্সিন থাকে। খামারের তেলাপিয়ার শরীরে এই ডাই-অক্সিনের মাত্রা ১১ গুণ বেশি। খামারে চাষ করা তেলাপিয়া থেকে নানারকম ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ হতে পারে। যেমন stretococcus iniae ও কলমনারিস ডিজিজ। তেলাপিয়া মাছের দেহে পাওয়া যায় বিভিন্ন কীটনাশক যা মানব-দেহে নানা জটিলতার সৃষ্টি করে। ২০০৮ সালের একটি গবেষণা পত্র বলছে, তেলাপিয়া মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা সিক্স আছে, যার ফলে হাঁপানি, বাঁত ও প্রদাহজনিত অসুখ বাড়ে। ওমেগা সিক্স হার্টের অসুখের অন্যতম কারণ। ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেয়, হার্টে রক্ত জমাট বাঁধায় যার থেকে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ধুঁকি বাড়ে।

তেলাপিয়া মাছ খেলে শরীরের মেদ বাড়ে। এ ছাড়া তেলাপিয়া মাছের শরীরে ডাই-অক্সিন থাকে। খামারের তেলাপিয়ার শরীরে এই ডাই-অক্সিনের মাত্রা ১১ গুণ বেশি। খামারে চাষ করা তেলাপিয়া থেকে নানারকম ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ হতে পারে। যেমন stretococcus iniae ও কলমনারিস ডিজিজ। তেলাপিয়া মাছের দেহে পাওয়া যায় বিভিন্ন কীটনাশক যা মানব-দেহে নানা জটিলতার সৃষ্টি করে। ২০০৮ সালের একটি গবেষণা পত্র বলছে, তেলাপিয়া মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা সিক্স আছে, যার ফলে হাঁপানি, বাঁত ও প্রদাহজনিত অসুখ বাড়ে। ওমেগা সিক্স হার্টের অসুখের অন্যতম কারণ। ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেয়, হার্টে রক্ত জমাট বাঁধায় যার থেকে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ধুঁকি বাড়ে।
টুনা: টুনা মাছে ভিটামিন বি-৩ , বি- ১২, বি-৬ , বি-১, বি-২ এবং ভিটামিন ডি-এর মত মাল্টি ভিটামিন থাকে। কিন্তু ম্যাকারেলের মত টুনা মাছেও পারদ খুব বেশি থাকে। এছাড়াও, এই সামুদ্রিক মাছগুলিকে হরমোন এবং অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেক্ট করা হয় যা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে।
টুনা: টুনা মাছে ভিটামিন বি-৩ , বি- ১২, বি-৬ , বি-১, বি-২ এবং ভিটামিন ডি-এর মত মাল্টি ভিটামিন থাকে। কিন্তু ম্যাকারেলের মত টুনা মাছেও পারদ খুব বেশি থাকে। এছাড়াও, এই সামুদ্রিক মাছগুলিকে হরমোন এবং অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেক্ট করা হয় যা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে।
সার্ডিন: এটিও টুনা ও ম্যাকারেলের মত আরেকটি সামুদ্রিক মাছ। এই মাছে সবথেকে বেশি পারদ থাকে যা শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর।
সার্ডিন: এটিও টুনা ও ম্যাকারেলের মত আরেকটি সামুদ্রিক মাছ। এই মাছে সবথেকে বেশি পারদ থাকে যা শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর।
ক্যাটফিশ: এই মাছ খামাড়ে চাষ হয় এবং স্বাদ ও আকারে বড় করতে নানারকম রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয় এই মাছেদের উপর। রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে এই ধরণের মাছ খাওয়ায় ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
ক্যাটফিশ: এই মাছ খামাড়ে চাষ হয় এবং স্বাদ ও আকারে বড় করতে নানারকম রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয় এই মাছেদের উপর। রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে এই ধরণের মাছ খাওয়ায় ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
বাসা মাছ: ইদানিং ভেটকি মাছের বিকল্প হিসাবে অনেকেই বাসা মাছ ব্যবহার করেন, বিশেষ করে ফিশ-ফ্রাই বা ফিশ ফিঙ্গার বানাতে। এই মাছটি রফতানি করা হয় ভিয়েতনাম থেকে। এই মাছে থাকে ক্ষতিকারক ফ্যাটি অ্যাসিড যা বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরল। এছাড়াও, হাঁপানি বা আর্থ্রাইটিস থাকলেও এই মাছ খাওয়া উচিত নয়।
বাসা মাছ: ইদানিং ভেটকি মাছের বিকল্প হিসাবে অনেকেই বাসা মাছ ব্যবহার করেন, বিশেষ করে ফিশ-ফ্রাই বা ফিশ ফিঙ্গার বানাতে। এই মাছটি রফতানি করা হয় ভিয়েতনাম থেকে। এই মাছে থাকে ক্ষতিকারক ফ্যাটি অ্যাসিড যা বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরল। এছাড়াও, হাঁপানি বা আর্থ্রাইটিস থাকলেও এই মাছ খাওয়া উচিত নয়।
অনেক দেশে কাঁচা মাছ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তবে আমাদের দেশের আবহাওয়ায় কাঁচা মাছ খাওয়া উচিত নয়। পেট ব্যথা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে কাঁচা মাছে জীবাণু থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
অনেক দেশে কাঁচা মাছ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তবে আমাদের দেশের আবহাওয়ায় কাঁচা মাছ খাওয়া উচিত নয়। পেট ব্যথা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে কাঁচা মাছে জীবাণু থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
প্রতিদিন মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ঠিক কতটা উপকারী? মাছে প্রোটিন থাকে। মাছ যদি নিয়মিত পরিমাণ বুঝে খাওয়া যায় তবে কোনও ক্ষতি হবে না। তবে ইলিশ, পাঙ্গাস বেশি খেলে পেট খারাপ হতে পারে।
প্রতিদিন মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ঠিক কতটা উপকারী? মাছে প্রোটিন থাকে। মাছ যদি নিয়মিত পরিমাণ বুঝে খাওয়া যায় তবে কোনও ক্ষতি হবে না। তবে ইলিশ, পাঙ্গাস বেশি খেলে পেট খারাপ হতে পারে।