চিনা জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা

চিনা জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিপিন্সের দুই জাহাজ, বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে ফের উত্তেজনা

চিনাঃ চিনা জাহাজের সঙ্গে দুটি পৃথক সংঘর্ষে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিপিন্সের দুটি জাহাজ। সোমবার ভোরে দক্ষিণ চিন সাগরের ঘটনা। ফিলিপিন্সের অভিযোগ, “বেআইনিভাবে আগ্রাসী কৌশল’’ নিয়ে উপকূলে ঢুকে পড়েছিল চিনা জাহাজ। সেই সময় ধাক্কা লেগে ফিলিপিন্সের দুটি জাহাজের ব্যপক ক্ষতি হয়।

এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ ফিলিপিন্স। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগরের ম্যানিলা ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ফিলিপিন্স কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজের কাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্রু সদস্যদের কেউ আহত হননি। জাহাজ দ্রুত সরাতে না পারলে আরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

আরও পড়ুনঃ ‘বিদেশ থেকে উঠল স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’! প্রতিবাদে সরব বিদেশের বাঙালিরাও

ফিলিপিন্স সরকারের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জোনাথন মালায়া বলেন, “ভোর ৩.২৪ মিনিটে সাবিনা শোল থেকে ৪৩ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে চিনা জাহাজের সঙ্গে প্রথম সংঘর্ষ হয়। চিনা কোস্ট গার্ডের আগ্রাসী আক্রমণে বিআরপি কেপ এনগানো জাহাজে ১৩ সেমি দৈর্ঘ্যের গর্ত হয়ে গিয়েছে।’’

দ্বিতীয় সংঘর্ষ হয় বিআরপি বাগাকে-এর সঙ্গে। এই জাহাজে দু’বার ধাক্কা লাগে। জোনাথন মালায়া জানিয়েছেন, ভোর ৩.৪০ মিনিটে চিনা জাহাজের সঙ্গে বিআরপি বাগাকে জাহাজের দু’বার ধাক্কা লাগে। জাহাজের কাঠামোয় সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাবিনার ৩৯ কিমি উত্তর-পশ্চিমে। তিনি বলেন, “ফিলিপিন্স-গ্যারিসন দ্বীপপুঞ্জে তাদের সাহায্য করতে মিশন শুরু করেছে স্প্র্যাটলি গ্রুপ।’’

এদিকে চিনা কোস্ট গার্ডের দাবি, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ফিলিপিন্সের জাহাজ বিতর্কিত চিন সাগরে ‘অপেশাদার এবং বিপজ্জনকভাবে ইচ্ছাকৃত সংঘর্ষে জড়িয়েছে”। সংঘর্ষের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে চিন। চিনা কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র গন ইউ বলেন, “ফিলিপিন্সের জাহাজকে সাবিনা শোলে ঢুকতে বারণ করা হয়। কিন্তু তারপরেও জোর করে তারা ঢোকে। থমাস শোলের কাছেও একই ঘটনা ঘটে। অবৈধ অনুপ্রবেশে বাধা দিতে গিয়েই দুই জাহাজের মধ্যে ধাক্কা লাগে।’’

গত মাসেও ফিলিপিন্সকে থমাস শোলে বাধা দিয়েছিল চিনা জাহাজ। এবার ফের একই ঘটনা ঘটল। উভয় শোল সহ দক্ষিণ চিন সাগরের পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে বেইজিং। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ও উড়িয়ে দিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, নৌবাহিনীর জাহাজে সেনা পাঠাচ্ছিল ফিলিপিন্স। এদিন তাতেই বাধা দেয় চিন। এই ঘটনায় চিনের সমালোচনা করেছে একাধিক পশ্চিমা দেশ।