সু-কাম কোম্পানির কথা নিশ্চয় মনে আছে। এরাই ভারতে প্রথম ইনভার্টার নিয়ে এসেছিল। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কুনওয়ার সচদেবকে ডাকা হত ‘ইনভার্টার ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ নামে। ২৬ বছরের পুরনো কোম্পানি। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছিল এদের ব্যবসা। কিন্তু একটা ভুলের কারণে গোটা কোম্পানি ডুবে যায়। দেউলিয়া হয়ে যায় সু-কাম। এমনকী কোম্পানি বিক্রি করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রতিষ্ঠাতা কুনওয়ার সচদেব নিজেই জানিয়েছেন তাঁর সফল ব্যবসার পতনের কাহিনি।

একটা ভুলেই তছনছ হয়ে যায় সংস্থা ! অন্ধকার নেমে আসে ‘ইনভার্টার ম্যান অফ ইন্ডিয়া’-র জীবনে ! ভয়াবহ সেই ঘটনা

সু-কাম কোম্পানির কথা নিশ্চয় মনে আছে। এরাই ভারতে প্রথম ইনভার্টার নিয়ে এসেছিল। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কুনওয়ার সচদেবকে ডাকা হত ‘ইনভার্টার ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ নামে। ২৬ বছরের পুরনো কোম্পানি। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছিল এদের ব্যবসা। কিন্তু একটা ভুলের কারণে গোটা কোম্পানি ডুবে যায়। দেউলিয়া হয়ে যায় সু-কাম। এমনকী কোম্পানি বিক্রি করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রতিষ্ঠাতা কুনওয়ার সচদেব নিজেই জানিয়েছেন তাঁর সফল ব্যবসার পতনের কাহিনি।
সু-কাম কোম্পানির কথা নিশ্চয় মনে আছে। এরাই ভারতে প্রথম ইনভার্টার নিয়ে এসেছিল। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কুনওয়ার সচদেবকে ডাকা হত ‘ইনভার্টার ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ নামে। ২৬ বছরের পুরনো কোম্পানি। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছিল এদের ব্যবসা। কিন্তু একটা ভুলের কারণে গোটা কোম্পানি ডুবে যায়। দেউলিয়া হয়ে যায় সু-কাম। এমনকী কোম্পানি বিক্রি করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রতিষ্ঠাতা কুনওয়ার সচদেব নিজেই জানিয়েছেন তাঁর সফল ব্যবসার পতনের কাহিনি।
১৯৯৮ সাল। গোটা দেশেই চরম বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছে। গ্রাম তো বটেই, শহরেও একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে এমন পণ্যের প্রয়োজন ছিল যা সাধারণ মানুষকে এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে। দিল্লির বাসিন্দা কুনওয়ার সচদেব তখন কেবল টিভির ব্যবসা করতেন। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলে লোকে টিভি দেখবে কী করে! তাই কেবল টিভির ব্যবসা ছেড়ে পাওয়ার ব্যাকআপ ইনভার্টার কোম্পানি সু-কাম-এর প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি।
১৯৯৮ সাল। গোটা দেশেই চরম বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছে। গ্রাম তো বটেই, শহরেও একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে এমন পণ্যের প্রয়োজন ছিল যা সাধারণ মানুষকে এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে। দিল্লির বাসিন্দা কুনওয়ার সচদেব তখন কেবল টিভির ব্যবসা করতেন। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলে লোকে টিভি দেখবে কী করে! তাই কেবল টিভির ব্যবসা ছেড়ে পাওয়ার ব্যাকআপ ইনভার্টার কোম্পানি সু-কাম-এর প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি।
সচদেব প্রথম যে ইনভার্টারটি বাজারে এনেছিলেন, তাতে অনেক রকমের ত্রুটিবিচ্যুতি ছিল। লোকজন কেনার পরেও ফেরত দিয়ে যেত। এরপর সেই সব ঘাটতি দূর করে নতুন ইনভার্টার আনলেন তিনি। বাজারে হইচই ফেলে দিল সেই ইনভার্টার। সচদেবের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ল বিদেশেও। নেপাল, বাংলাদেশ তো বটেই মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাতেও ইনভার্টার পাঠাতে শুরু করলেন তিনি। আমেরিকা এবং চিনের বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিজস্ব বাজার তৈরি করে নিল সু-কাম।
সচদেব প্রথম যে ইনভার্টারটি বাজারে এনেছিলেন, তাতে অনেক রকমের ত্রুটিবিচ্যুতি ছিল। লোকজন কেনার পরেও ফেরত দিয়ে যেত। এরপর সেই সব ঘাটতি দূর করে নতুন ইনভার্টার আনলেন তিনি। বাজারে হইচই ফেলে দিল সেই ইনভার্টার। সচদেবের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ল বিদেশেও। নেপাল, বাংলাদেশ তো বটেই মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকাতেও ইনভার্টার পাঠাতে শুরু করলেন তিনি। আমেরিকা এবং চিনের বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিজস্ব বাজার তৈরি করে নিল সু-কাম।
সু-কামের ব্যবসা তখন ক্রমাগত বাড়ছে। গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে কোম্পানির নাম। সেই সময়ই সচদেবের ব্যক্তিগত কারণে কোম্পানির ২৪০ কোটি টাকা ঋণ হয়ে যায়। তবে খুব সহজেই এই ঋণ শোধ করার ক্ষমতা কোম্পানির ছিল। কিন্তু বেঁকে বসে ব্যাঙ্ক। তারা কোম্পানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে দেয়। কুনওয়ার সচদেব বলেন, দেউলিয়া ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিকে কমান্ড ইনসলভেন্সি রেজোলিউশন প্রফেশনালদের (আইআরপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। Photo: Instagram
সু-কামের ব্যবসা তখন ক্রমাগত বাড়ছে। গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে কোম্পানির নাম। সেই সময়ই সচদেবের ব্যক্তিগত কারণে কোম্পানির ২৪০ কোটি টাকা ঋণ হয়ে যায়। তবে খুব সহজেই এই ঋণ শোধ করার ক্ষমতা কোম্পানির ছিল। কিন্তু বেঁকে বসে ব্যাঙ্ক। তারা কোম্পানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে দেয়। কুনওয়ার সচদেব বলেন, দেউলিয়া ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিকে কমান্ড ইনসলভেন্সি রেজোলিউশন প্রফেশনালদের (আইআরপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। Photo: Instagram
রাতারাতি ডিস্ট্রিবিউটর এবং গ্রাহকদের জানানো হয়, আর কোনও পরিষেবা পাওয়া যাবে না। তিন দশকের কঠোর পরিশ্রমে তিলে তিলে বানানো কোম্পানি ভেঙে পড়ে চোখের নিমেষে। সচদেব বলেন, “শুধু কোম্পানি বন্ধ করেই ওরা ক্ষান্ত হয়নি। আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলাও করে। হাই কোর্ট এবং সিবিআই আদালতে সেই সব মামলার শুনানি হত। আমার সুনাম নষ্ট হয়। ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার, গ্রাহকরা ধীরে ধীরে কোম্পানি ছেড়ে চলে যান। আমি চাইলেও তাঁদের কোনও রকম সাহায্য করতে পারিনি। কারণ ব্যাঙ্ক কোম্পানির সমস্ত সম্পত্তির দখল নিয়েছিল।’’
রাতারাতি ডিস্ট্রিবিউটর এবং গ্রাহকদের জানানো হয়, আর কোনও পরিষেবা পাওয়া যাবে না। তিন দশকের কঠোর পরিশ্রমে তিলে তিলে বানানো কোম্পানি ভেঙে পড়ে চোখের নিমেষে। সচদেব বলেন, “শুধু কোম্পানি বন্ধ করেই ওরা ক্ষান্ত হয়নি। আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলাও করে। হাই কোর্ট এবং সিবিআই আদালতে সেই সব মামলার শুনানি হত। আমার সুনাম নষ্ট হয়। ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার, গ্রাহকরা ধীরে ধীরে কোম্পানি ছেড়ে চলে যান। আমি চাইলেও তাঁদের কোনও রকম সাহায্য করতে পারিনি। কারণ ব্যাঙ্ক কোম্পানির সমস্ত সম্পত্তির দখল নিয়েছিল।’’
জীবন তছনছ হয়ে গিয়েছে। হাতে আর কিছুই নেই। সেই সময় পথ দেখালেন স্ত্রী খুশবু। চালু হল নতুন কোম্পানি সু-ভস্তিকা। এই কোম্পানিতে মেন্টর হিসাবে কাজ শুরু করলেন কুনওয়ার সচদেব। বর্তমানে ৬০টি পণ্যের পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছে কোম্পানি। এর মধ্যে ৬টি মঞ্জুর হয়েছে। বাকিগুলো এখনও অপেক্ষায়।
জীবন তছনছ হয়ে গিয়েছে। হাতে আর কিছুই নেই। সেই সময় পথ দেখালেন স্ত্রী খুশবু। চালু হল নতুন কোম্পানি সু-ভস্তিকা। এই কোম্পানিতে মেন্টর হিসাবে কাজ শুরু করলেন কুনওয়ার সচদেব। বর্তমানে ৬০টি পণ্যের পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছে কোম্পানি। এর মধ্যে ৬টি মঞ্জুর হয়েছে। বাকিগুলো এখনও অপেক্ষায়।