এশিয়ার একাধিক দেশের অর্থনীতি অনেক উন্নত। অন্তত আগের তুলনায়। কিন্তু ধনী দেশের কথা বললে ইউরোপের দিকেই চোখ যায়। সম্পদ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে অর্থনীতি, সবেতেই তারা এগিয়ে। সম্প্রতি ইউরোপের ধনী দেশগুলির তালিকা সামনে এসেছে। ক্রম অনুসারে সাজিয়ে দেওয়া হল এখানে।লুক্সেমবার্গ: ইউরোপের ধনী দেশগুলির তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে লুক্সেমবার্গ। আয়তনে খুবই ছোট। তবে ছবির মতো সাজানো। পার ক্যাপিটা জিডিপিতে সবার চেয়ে এগিয়ে তো বটেই, ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতিও লুক্সেমবার্গেরই।সুইজারল্যান্ড: তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। পর্যটকদের স্বপ্নের দেশ। উন্নত মানের পণ্য তৈরিতেও সবার আগে সুইজারল্যান্ড। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।নরওয়ে: তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের দৌলতেই নরওয়ের রমরমা। পার ক্যাপিটা জিডিপিও অন্যান্য ইউরোপের দেশগুলির তুলনায় অনেক বেশি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে প্রতি বছর এখানে ছুটে আসেন পর্যটকরা। সব মিলিয়ে ইউরোপের ধনী দেশগুলির তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে নরওয়ে।আয়ারল্যান্ড: প্রযুক্তি এবং ওষুধ তৈরিতে ইউরোপের সব দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। উন্নত অর্থনীতির পিছনে এই দুটি খাতের অবদানই সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি পর্যটন তো আছেই। এই দেশের নাগরিকদের গড় উপার্জনও বেশি।ডেনমার্ক: তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। ওষুধ, সামুদ্রিক জাহাজ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে ডেনমার্ক সবচেয়ে এগিয়ে।আইসল্যান্ড: আয়তনে ছোট। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। পর্যটনের উপরেই আইসল্যান্ডের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে রয়েছে। মৎস্যচাষ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনেও তারা এগিয়ে।সুইডেন: প্রযুক্তি এবং উৎপাদন খাতই সুইডেনের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। নাগরিক পরিষেবাতেও তারা এগিয়ে। পর্যটনখাত এই দেশের অন্যতম শক্তি। ইউরোপের ধনী দেশগুলির তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে সুইডেন।নেদারল্যান্ড: নেদারল্যান্ডকে বাণিজ্যের দেশ বললে অত্যুক্তি হবে না। প্রযুক্তি এবং উৎপাদন খাতে বিশ্বের অন্যতম বড় শক্তিধর দেশ। জিডিপি পার ক্যাপিটার দিক থেকে নেদারল্যান্ড ইউরোপের ধনী দেশগুলির তালিকায় রয়েছে অষ্টম স্থানে।অস্ট্রিয়া: পরিষেবা, উৎপাদন এবং পর্যটনই অস্ট্রিয়ার অর্থনীতির মূল শক্তি। ইউরোপের ধনী দেশগুলির তালিকায় অস্ট্রিয়া রয়েছে নবম স্থানে।জার্মানি: দশম স্থানে রয়েছে জার্মানি। উৎপাদন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও পিছনে ফেলে দিয়েছে ইউরোপের অন্যান্য দেশকে।
