বাবা মার সঙ্গে মাহফুজ রহমান 

Child Prodigy: উল্টো গুনে, উল্টো বলে বাজিমাত! সাত বছর বয়সে রেকর্ড বইয়ে নাম বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী মাহফুজের 

হরষিত সিংহ, মালদহ: বয়স মাত্র সাত। এই বয়সেই রেকর্ড গড়ল মালদহের খুদে মাহফুজ রহমান। অন্য শিশুর কাছে যা কঠিন, সেই পড়া দ্রুত শেষ করে নাম তুলল এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে।এর আগে পাঁচ বছর বয়সে পঞ্চাশটি ছড়া মুখস্থ একটানা বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছিল মাহফুজ। এবার পঞ্চাশ সেকেন্ড উল্টো সংখ্যা গুনে রেকর্ড গড়ল। নাম উঠেছে এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। সাধারণত এই বয়সের শিশুরা ‘Z’ থেকে ‘A’ উল্টো মুখস্থ বলতে পারে না। সেখানে মাহফুজ মাত্র পঞ্চাশ সেকেন্ড মুখস্থ বলে রেকর্ড গড়ল। পাশাপাশি ইংরেজিতে ১০০ থেকে ১ উল্টো সংখ্যা গুনেও রেকর্ড গড়েছে। তার এমন প্রতিভায় খুশি বাবা মা। মা তাহসিনা আফরিন ছেলের এমন সাফল্যে খুশি। বলেন, ‘‘উল্টো গুণে আমার ছেলে রেকর্ড গড়েছে। এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে এর নাম উঠেছে।’’

মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের বাগবাড়ির বাসিন্দা মসফুদার রহমানের একমাত্র ছেলে মাহফুস রহমান। মা তাহসিনা আফরিন। মাহফুজ রহমানের বাবা কলেজের অধ্যাপক। ছোট থেকেই প্রতিভার অধিকারী মাহফুজ। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাতেও ভাল। এখন থেকে ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক রয়েছে তার। পাঁচ বছর বয়সেই ছড়া মুখস্থ বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলে। তারপর থেকেই আরও প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় সে। দু’ বছর পর পরবর্তী প্রচেষ্টায় আবারও রেকর্ড বইয়ে নাম তোলে মাহফুজ। বাবা মসফুদার রহমান বলেন, ‘‘ছেলের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। আগামীতে গিনিস বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডস-এ নাম তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’’

আরও পড়ুন : সামান্য গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে অপূর্ব মোচার ঘণ্ট! সহজ রেসিপিতে বানিয়ে বাহবা পান নিমেষে

বর্তমানে মাহফুজ মালদহ শহরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। তার মা তাহসিনা আফরিন তাকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা গুলিতে অংশগ্রহণ করার জন্যও তৈরি করে থাকেন। ছেলেরা এমন প্রতিভায় খুশি বাবা-মা-সহ প্রত্যেকেই।