ভাজা ছোলা খেতে সবাই খুব ভালবাসে। মানুষ ভাজা ছোলা নানাভাবে খায়। ছাতু পিষে প্রস্তুত করা হয়। ছোলা সবজি, ছাতুর পরোটা, অঙ্কুরিত ছোলা, মুড়ির সঙ্গে ভাজা ছোলা মিশিয়ে খেলেও অনেক স্বাদ পাওয়া যায়। শুকনো খোলায় ভাজা ছোলা খেলে শরীর ঘোড়ার মতো শক্তি পায়। এনার্জি আসে।ভাজা ছোলা শরীরে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয়। তবে কিছু লোক ভাজা চানা খাওয়ার সময় এর খোসা সরিয়ে ফেলেন। এটি করা কি ছোলার পুষ্টির পরিমাণ হ্রাস করে? খোসা দিয়ে ছোলা খাওয়া কি বেশি উপকারী? আসুন জেনে নেওয়া যাক খোসা ছাড়িয়ে ভাজা ছোলা খাবেন নাকি খোসা সমেত খাবেন।ভাজা ছোলায় অনেক পুষ্টিগুণ থাকে ভাজা ছোলার খোসাতেও রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ, তাই খোসার সঙ্গে ভাজা ছোলা খেলে শরীর দ্বিগুণ উপকার পায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, ভাজা ছোলা ফাইবার, ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ সমৃদ্ধ। এর এতগুলি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যে প্রত্যেকেরই এটি প্রতিদিন গ্রহণ করা উচিত।খোসা সমেত ভাজা ছোলা খাওয়া উচিত – খোসা সহ ভাজা ছোলা খাওয়ার সময় পেশীগুলি মেরামত করা হয়। যেহেতু, এটি প্রোটিন ধারণ করে, যা পেশীগুলির সামগ্রিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যের প্রচার করে।– এতে রয়েছে ফাইবার, যা হজম ক্ষমতা ঠিক রাখে। একটি স্বাস্থ্যকর হজম সিস্টেম তৈরি করে। মলত্যাগ ঠিক থাকে, যাতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা না হয়।– ভাজা ছোলায় বি ভিটামিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ থাকে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। শরীরের অনেক অঙ্গের কার্যকারিতা সমর্থন করে।– তাদের গ্লাইসেমিক সূচকও কম থাকে। এর অর্থ হ’ল ভাজা ছোলা খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর। সুগার লেভেল কম রাখতে চাইলে স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন। এছাড়া ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, পটাশিয়াম থাকায় হৃদরোগ থেকেও রক্ষা করে। ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে।– ভাজা ছোলা খাওয়া যাদের ওজন হ্রাস করতে চায় তাদের জন্যও উপকারী প্রমাণিত। এতে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। তবে এতে ক্যালোরিও রয়েছে, তাই অতিরিক্ত গ্রহণ এড়িয়ে চলুন অন্যথায় ওজন কমার পরিবর্তে বাড়তে পারে। এতে ভাল উদ্ভিদ প্রোটিনও রয়েছে, যা ওজন কমাতে কার্যকর হতে পারে।– মনে রাখবেন এতে ফাইবার রয়েছে এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ভাজা ছোলা খেলে কিছু লোকের মধ্যে ফোলাভাব, গ্যাস, ডায়রিয়া, বদহজম, অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, সীমিত পরিমাণে খাওয়া ঠিক হবে। দিনে ১০০ গ্রামের বেশি ভাজা ছোলা খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক না।– শারীরিক পরিশ্রম না করে যদি ক্লান্তি, দুর্বল বোধ করেন, তাহলে খোসা-সহ ভাজা ছোলা খাওয়া উচিত। ছোলার খোসায় রয়েছে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান, যা শরীরে এনার্জির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ক্লান্তি দূর করুন। ( Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
