দেশ Badlapur Crime: ‘জামাকাপড় খুলে দিয়েছিল দাদা…’; স্কুলে যৌন নিগ্রহের শিকার দুই শিশুকন্যা, পুলিশি গাফিলতির অভিযোগে অগ্নিগর্ভ মহারাষ্ট্র Gallery August 21, 2024 Bangla Digital Desk কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল সারা দেশ তথা সারা বিশ্ব। সেই ঘটনার প্রতিবাদ-আন্দোলনের মাঝেই যৌন লাঞ্ছনার শিকার হতে হল দুই শিশু কন্যাকে। এবারের ঘটনাস্থল মুম্বইয়ের নিকটবর্তী থানে।সূত্রের খবর, থানের বদলাপুরের এক খ্যাতনামা স্কুলে চার বছর বয়সী দুই শিশুকন্যার উপর যৌন অত্যাচার করা হয়েছে। এত ছোট বয়সেই মানুষরূপী শয়তানদের অত্যাচারের শিকার হতে হল তাদের। সেই সঙ্গে সমাজের অন্ধকার নোংরা দিকটারও সাক্ষী থাকতে হল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মঙ্গলবার মুম্বইয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-আন্দোলন শুরু হয়েছে। এমনকী, মুম্বইয়ের লাইফলাইল লোকাল ট্রেন পরিষেবাও কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাতে এক নির্যাতিতা শিশুকন্যার অভিভাবক গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন পুলিশের কাছে। এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে যে, গত ১৩ অগাস্ট সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক ভাবে ওই দুই শিশুর মা-বাবা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। এরপরেই তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তাঁরা নিজেদের মেয়েদের মেডিক্যাল টেস্ট করান।এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে যে, মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, ধর্ষণের শিকার হয়েছে শিশুকন্যারা। অভিযোগে বলা হয়েছে যে, শিশুরা আতঙ্কিত ছিল। এরপর তারা বলেছিল যে, দাদা তাদের জামাকাপড় খুলে দিয়েছিল। এরপর ওই দাদা তাদের গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছিল। প্রসঙ্গত মরাঠি ভাষায় বড় ভাইকে দাদা বলে সম্বোধন করা হয়। ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, গত ১৬ অগাস্ট ওই শিশুদের অভিভাবক ঘটনার কথা পুলিশে জানান। যদিও তার ১২ ঘণ্টা পর অর্থাৎ রাত প্রায় ৯টা নাগাদ পুলিশ এফআইআর নিয়েছিল। সেখানে লেখা হয়েছে যে, অভিযুক্ত ওই স্কুলে অ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করত। সে-ই যৌন অত্যাচার চালিয়েছে শিশু দুটির উপর। এরপর অবশ্য অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে পকসো-র আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার মুম্বইয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এমনকী, গাফিলতির অভিযোগে একাধিক পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ডও করেছেন। তবে এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্রের রাজ্য-রাজনীতি।