সবজি জমিতে মহিলারা 

East Bardhaman News: চাষ থেকে শুরু করে সার তৈরি, এই এলাকার মহিলারা নিজেরাই করেন সব ! 

পূর্ব বর্ধমান, কেতুগ্রাম: মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছে রাজ্য সরকার। আর সেই প্রশিক্ষণ নিয়েই বিভিন্ন ধরনের কাজ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন রাজ্যের বহু মহিলা। পশু পালন, মাছ চাষ, মাশরুম চাষ সহ অন্যান্য কাজের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রামের নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলারাও। সেরকমই আনন্দধারা প্রকল্পের অধীনে, পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের প্রায় কয়েকশো মহিলাকে সবজিচাষে প্রশিক্ষণদেওয়া হয় । আর সেই প্রশিক্ষণনিয়ে চাষ শুরু করে সফল হয়েছেন মহিলারা। কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কোমরপুর গ্রামে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন মহিলা সবজিচাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন । বিভিন্ন ধরনের সবজিতারা চাষ করেন । মহিলা হয়ে সংসার সামলেও তাঁরা যেভাবে চাষের প্রতি নজর দেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

এই প্রসঙ্গে কোমরপুর গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হেড চিন্তা ঘোষ জানিয়েছেন,চাষ করে তাঁদের খুবই সুবিধা হয়। কারণ চাষের জন্য যে সার তাঁদের বাইরে থেকে কিনতে হতসেটা এখন আর কিনতে হচ্ছে না । নিজেরাই ঘরে সার তৈরি করেছেন এবং সেই সার দিয়েই চাষ করেন । চিন্তা দেবী জানিয়েছেন, “আমরা সবজি চাষ করি। তবে বর্ষার জন্য বন্ধ ছিল। বর্ষা মিটে গেল, আবার নতুন করে চাষ শুরু করব।”

আরও পড়ুন : বর্ষার সময় শুধু গাছ লাগালেই হবে না, অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়ম

তবে মহিলারা শুধু যে চাষ করছেন তা কিন্তু নয় । চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক সবই ওনারা নিজেরাই তৈরি করেন । এর ফলে চাষের খরচও অনেকটাই কম হয়।কোমরপুর গ্রামের চিন্তা ঘোষ, মানু মাঝি, কৃষ্ণা মাঝি, রেখা মাঝি সহ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অন্যান্য মহিলাদের সবজিচাষ দেখে উদ্যোগী হচ্ছেন অনেক সাধারণ মহিলাও।

আরও পড়ুন : জেলার পেয়ারা পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যে, ফলের দাম বাড়ায় লাভবান চাষিরা

সাধারণ মহিলাদের উদ্দেশ্যে চিন্তা ঘোষ বলেছেন, মেয়েরা কোনও অংশে পিছিয়ে নেই । মেয়েরা সব পারে। তাঁর ইচ্ছা ওনার মত সকল মহিলা এই চাষের প্রতি এগিয়ে আসুক । থেমে না থেকে স্বনির্ভর হয়ে সকলেই এগিয়ে চলুক।চাষের কারণে বেশ কিছু টাকা উপার্জনও করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁরা চাষের সবজিবাড়িতেও খান, আবার স্থানীয় বাজারে নিয়ে গিয়ে নিজেরাই বিক্রি করেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

আগামী দিনে সরকারী সহায়তা পেলে ওনারা এই চাষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী