Supreme Court on RG Kar Case: ময়নাতদন্তের ৫ ঘণ্টা পরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু! এত দেরি কেন? অফিসার ডেকে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল আরজি কর মামলার শুনানি৷ এদিন আদালতে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই৷ রাজ্য এবং সিবিআই উভয়ের তরফেই স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় এদিন৷ অভিযুক্তের মেডিক্যাল রিপোর্টও দেখতে চান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়৷ অন্যদিকে, সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা এদিন সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ তোলেন, দুর্ঘটনাস্থল ‘অল্টার্ড’ অবস্থায় মিলেছে৷

সলিসিটর জেনারেল জানান, চিকিৎসক ছাত্রীর দেহ পুড়িয়ে ফেলার পরে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হলেও ঘটনাস্থলের কোনও ভিডিওগ্রাফি করা হয়নি৷ চিকিৎসকদের তরফে আইনজীবী জানান, ছাত্রছাত্রীদের তরফে চাপ দেওয়ার পরে ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হয়৷ যদিও রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল এদিন বারবার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন, রাজ্যের কাছে টাইমলাইন রয়েছে, অর্থাৎ, কখন ময়নাতদন্ত, কখন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু, কী ঘটনাক্রম, তা বিস্তারিত তথ্য নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য৷

কিন্তু, তার পরেও উদ্বেগপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি৷ বলেন, ‘‘খুবই চিন্তার বিষয় একটা মিস্টার সিব্বাল, জিডি (জেনারেল ডায়েরি) এন্ট্রি হয়েছিল সকাল ১০টা ১০মিনিটে। তারপর রাত ১১টা ৪৫শের পর ক্রাইম সিন সিল করা হল?’’ যদিও এটি সঠিক তথ্য নয় বলে জানান কপিল সিব্বাল৷ তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, ‘‘সন্ধ্যা ৬টা ১০ থেকে ৭টা ১০-এর মধ্যে ময়নাতদন্ত হয়েছে৷ রাত ১টা ৪৫মিনিট নাগাদ আনন্যাচারাল ডেথের (ইউডি) কেস রেজিস্টার্ড হয়৷ ’’

কিন্তু, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের বিচারপতি পাদ্রিওয়াল সিব্বালকে প্রশ্ন করেন, তাঁদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, সেখানে ইউডি (আনন্যাচরাল ডেথ) কেস ১১টা ৩০ মিনিটে রুজু করা হয় বলে জানা গিয়েছে৷ এর আগে, এর আগে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাও আদালতকে জানিয়েছিলেন, আগে জিডি রেজিস্টার্ড হয়েছিল। রাত ১১টা ৩০শে ইউডি কেস রেজিস্টার্ড হয়। রাত ১১টা ৪৫শে এফআইআর রেজিস্টার্ড হয়।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, ইনকোয়েস্ট বলছে ১০টা ১০শে ইউডি রেজিস্টার্ড হয়৷

সলিসিটার জেনারেল পাল্টা জানান, নির্যাতিতার বাবা জোর করায় এফআইআর করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করেননি৷

ইউডি কেস রেজিস্টার করা নিয়ে এই বিভ্রান্তি দূর করতে তাই পরবর্তী শুনানির দিন পুলিশ আধিকারিককে আদালতে তলব করেন বিচারপতি পাদ্রিওয়াল৷

বিচারপতি বলেন, ‘‘আমার ৩০ বছরের জীবনে এমন কেস ডায়েরি দেখিনি৷’’ যিনি এই ক্রম সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সঠিক ভাবে আদালতকে জানাতে পারবেন, পরবর্তী শুনানির দিন তেমন কোনও আধিকারিককে আদালতে উপস্থিত রাখার জন্য রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে নির্দেশ দেন তিনি৷

বিচারপতি পাদ্রিওয়ালা বলেন, ‘‘পরের দিন সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত থাকতে হবে, কলকাতা পুলিশের যে দক্ষ অফিসার পুরো ঘটনাক্রম আদালতকে বুঝিয়ে বলতে পারবেন৷’’

তবে, তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে সিবিআই তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা-ও এদিন আদালতে জানতে চান রাজ্যের তরফের আইনজীবী কপিল সিব্বাল৷ সব শেষে আদালতের কাছে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল জানান, ‘‘আমরা জানতে চাই গত ১ সপ্তাহে সিবিআই কী তদন্ত করল৷’’