*থাইরয়েড একটি সাধারণ অন্তঃস্রাবী ব্যাধি যা বিশ্বব্যাপী অনেক লোককে প্রভাবিত করে। থাইরয়েড গ্রন্থি ঘাড়ে অবস্থিত এবং হরমোন নিঃসরণ করে যা বিপাকীয় বৃদ্ধি, বিকাশকে নিয়ন্ত্রণ করে। ছোট-বড় বয়সের পার্থক্য ছাড়াই এখন সবাই এই থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। থাইরয়েড রোগ ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস, চুল পড়া, শুষ্ক ত্বক এবং মেজাজ পরিবর্তন সহ অনেক উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। সংগৃহীত ছবি।*ওয়ারঙ্গল-ভিত্তিক থাইরয়েড বিশেষজ্ঞ রাজেন্দ্র প্রসাদ রেড্ডি বলেছেন যে থাইরয়েড সমস্যা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অটোইমিউন রোগগুলি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে প্রায় দশ শতাংশ ঘটার সম্ভাবনা বেশি, কারণ তাঁদের শরীরে হরমোন ইস্ট্রোজেন উৎপন্ন হয়। সংগৃহীত ছবি।*থাইরয়েডের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, যেমন হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারথাইরয়েডিজম। কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যা থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি না করলে দেখা দেয়। সংগৃহীত ছবি।*ক্লান্তি, ওজন বেড়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, সব সময় ঠান্ডা লাগা, চুল পড়া, একাগ্রতা, দুর্বল স্মৃতি, শ্বাসকষ্ট, মহিলাদের গর্ভাবস্থায় সমস্যা, অনিয়মিত পিরিয়ড এসব এর উপসর্গ। সংগৃহীত ছবি।*যাঁরা এই উপসর্গগুলির সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে, একটি থাইরয়েড পরীক্ষা করানোর পরে ওষুধের যথাযথ ডোজ গ্রহণ করা উচিত। প্রতি তিন মাসে একবার মেডিকেল পরীক্ষা করা উচিত। সংগৃহীত ছবি।*এই থাইরয়েডের অতিরিক্ত উৎপাদন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ওষুধ সেবনে বিভিন্ন কারণে হাইপারথাইরয়েডিজম হয়। এই সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের হাত কাঁপা, শরীরের তাপমাত্রায় অসহিষ্ণুতা, হৃদস্পন্দনের গতি পরিবর্তন ইত্যাদি সমস্যা হয়। এর জন্য বিভিন্ন ট্যাবলেট পাওয়া যায়। সংগৃহীত ছবি।*জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গেও থাইরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মানসিক চাপ, ভারি ধূমপান এবং নিয়মিত উচ্চ মাত্রার ট্যাবলেট সেবনেও থাইরয়েড হতে পারে। সংগৃহীত ছবি।*ঠান্ডা পানীয় পান করলে হাইপোথাইরয়েডিজম হয় না। কিন্তু কোল্ড ড্রিঙ্কসে লিথিয়াম বেশি থাকলে থাইরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য যে পানীয় পান করা হচ্ছে, তাতে লিথিয়াম আছে কি না তা পরীক্ষা করা উচিত। সংগৃহীত ছবি।*আয়োডিনের পরিমাণ কম থাকে এমন লবণ খেলে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। সেজন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করা উচিত। বলা হয়, এ ধরনের সতর্কতা মেনে চললে থাইরয়েড এড়ানো যায়। সংগৃহীত ছবি।
