অঙ্কিতা রানা ওরফে পদ্মাবতী

Bankura News: কাজের স্বার্থে নাম বদল! বাড়ির ছাদেই শুরু! প্রচুর লাভ ‘পদ্মাবতী’র, কী ভাবে জানেন

বাঁকুড়া: পদ্ম চাষ করে নাম তাঁর ‘পদ্মাবতী’। আসল নাম নয়। পোশাকি নাম। সামাজিক মাধ্যমে নাম। এক কথায় বলা চলে ডাক নাম। বাঁকুড়ার এই নারী পদ্ম চাষ করে তাক লাগিয়েছেন সমগ্র জেলাকে। আর সেই কারণেই পদ্মের পরিচিতিতে বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বাঁকুড়ার কানকাটার বাসিন্দা অঙ্কিতা রানা। বাড়ির ছাদে তিনি চাষ করেছেন ১৭০টি ভ্যারাইটির পদ্ম। এছাড়াও রয়েছে শাপলা।

ঘটনাচক্রে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছিলেন পদ্ম ফুলের চাষ। তখন থেকে অনুপ্রেরণা। তারপর নিজের ছাদে চারটে ফুল লাগিয়েছিলেন তিনি। এখন রয়েছে ১৭০টি পদ্ম। বাণিজ্যিকভাবেও বিক্রি করে থাকেন পদ্ম। প্রায় প্রতিটি নার্সারিতেই পৌঁছে যায় অঙ্কিতা রানা ওরফে পদ্মাবতীর পদ্ম। ১০০ থেকে দেড়শো টাকার মধ্যে তিনি বিক্রি করেন পদ্মগুলিকে। পদ্মের জন্য তার পরিচিতি এই কথাটা অকপটেই স্বীকার করেছেন তিনি। পোশাকি নামটাও তাঁর বেশ পছন্দ।

দু’রকম ভাবে পদ্ম চাষ করে থাকেন অঙ্কিতা রানা। পুরোটাই বাড়ির ছাদে। প্রথম পদ্ধতিতে তিন বছরের পুরনো মাটি নিয়ে, সেই মাটিতে খোল, ভার্মিকম্পোস্ট মিশিয়ে একটা মাটি প্রস্তুত করে করা হয়েছে পদ্ম চাষ। দ্বিতীয়ত লেয়ার পদ্ধতিতেও তিনি করেছেন এই ফুলের চাষ। তিন ইঞ্চি ভার্মি কম্পোস্টের উপর ছয় ইঞ্চি মাটি এবং খাবার হিসাবে ‘সি উইড’। এভাবেই যেন একটা পদ্মের বিপ্লব তৈরি করেছেন তার খোলা ছাদে। শুধু পদ্ম আর শাপলা। রয়েছে বড় বড় গামলা। এক একটি গামলা যেন এক একটি ইকোসিস্টেম অর্থাৎ বাস্তু তন্ত্র। গামলায় খেলা করছে ছোট ছোট মাছ। ফুটে রয়েছে পদ্ম এবং শাপলা।

আরও পড়ুন: ঠিক যেন সিনেমা! নিখোঁজ শিশুকে কয়েকঘণ্টায় উদ্ধার… পূর্ব বর্ধমানে বিরাট নজির পুলিশের

আরও পড়ুন: সাড়ম্বরে পালিত হল রাজা নরেন্দ্র লাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান

সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া ‘পদ্মাবতী’ নাম সম্পর্কে অঙ্কিতা জানান যে, তিনি পদ্মের জন্য বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছেন এবং সেটি যথেষ্ট উপভোগ করেন অঙ্কিতা। এক সময় শুরু করেছিলেন চারটি পদ্ম নিয়ে, আজ পৌঁছেছেন ১৭০-এ। বাঁকুড়ার প্রতিটি নার্সারিতে প্রায় পৌঁছে গিয়েছে অঙ্কিতার পদ্ম। এভাবেই পদ্ম চাষ করে আরো এগিয়ে যেতে চান তিনি।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়