কেঁচো থেকে তৈরি জৈবসার 

এই একটি জিনিসের উপরে দাঁড়িয়ে আছে গোটা গ্রামের অর্থনীতি! চাহিদাও বাড়ছে ব্যাপক হারে

মালদহ: কোন রাসায়নিক নয়, জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতেই শুরু করেছিলেন কেঁচো সার উৎপাদন। পাঁচ বিঘা জমিতে একাধিক চৌবাচ্চা তৈরি করে শুরু হয় সার উৎপাদন। বর্তমানে বছরে প্রায় তিনশো কুইন্ট্যাল জৈবসার উৎপাদন হচ্ছে। যেগুলি মালদহের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মালদহে উৎপাদিত এই জৈবসার মূলত আমবাগানে প্রয়োগ করা হচ্ছে। বাগানে আম শেষ হবার পরেই জৈব সার দেওয়া হয়। তাই এখন চাহিদা বাড়ছে এই জৈবসারের।মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতির বাসিন্দা সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে এই জৈবসার উৎপাদন করে আসছেন। সার উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিদেশ থেকে নিয়ে আসেন কেঁচো। আগাছা, ঘাস, কচুরিপানা এই সমস্ত দিয়ে চৌবাচ্চায় আস্তরণ তৈরি করেন। তারপর সেখানে কেঁচো ছেড়ে দেন। তারপর সেখানে কয়েকমাস পর তৈরি হয় সার।‌

আরও পড়ুন: নতুন চেক বইয়ের আবেদন করেছেন নাকি? খুব সাবধান ! যা হচ্ছে শুনলে চমকে যাবেন…

সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কুড়ি বছর ধরে আমি জৈব সার উৎপাদন করছি। মূলত এই সার আম বাগানে বেশি করে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে এই স্যার ব্যবহারে ঢুকে পড়েছেন সমস্ত কৃষকেরা। বছরে তিনবার উৎপাদন হচ্ছে সার। প্রায় তিন কুইন্টাল সার উৎপাদন করতে পারছি। সমস্তটাই মালদহ জেলায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: PPF-এ প্রতি মাসে ২০০০ টাকা রাখছেন ? দেখে নিন ম্যাচিউরিটির সময় কত টাকা পাবেন

বর্তমানে চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে এই জৈবসারের। তিনি দশটাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। বছরে তিনবার সার উৎপাদন হচ্ছে।‌ বর্তমানে সাধারণ কৃষকদের মধ্যে জৈব সার প্রয়োগের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চাহিদাও বাড়ছে এই জৈব সারের। বর্তমানে জৈব সার বিক্রি করেই লাভবান হচ্ছেন মালদহের এই উৎপাদনকারী কৃষক।নিজের সার উৎপাদনের পাশাপাশি জেলার অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও জৈব সার তৈরির পদ্ধতির প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সাইফুদ্দিন আহমেদ।

হরষিত সিংহ