মায়াপুরের বিখ্যাত সম্পূর্ণ নিরামিষ বিরিয়ানি

Janmastami 2024: এই জন্মাষ্টমীতে চটজলদি রেঁধে ফেলুন নিরামিষ বিরিয়ানি! রেসিপি জানেন তো?

মায়াপুর: বিরিয়ানি খেতে মোটামুটি আমরা সকলেই পছন্দ করি। রাস্তাঘাটে বেরোলেই বর্তমানে দেখা যায় লাল সালু কাপড়ে মোড়া বড় হাঁড়ি। হাঁড়ির ঢাকনা খুললেই নাকে ঢোকে বিরিয়ানির সুস্বাদু গন্ধ। বিরিয়ানি প্রধানত একটি আমিষ খাবার হলেও বর্তমানে বিরিয়ানির চাহিদা এবং পরিচিতির কথা মাথায় রেখেই নিরামিষ ভোজিদের জন্যও সম্পূর্ণ নিরামিষভাবে বিরিয়ানি তৈরি করা যায়।

নিরামিষ বিরিয়ানির চল এখন ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানেও বিরিয়ানি এখন পাওয়া যায় যা সম্পূর্ণ নিরামিষ। তবে আমিষ বিরিয়ানি যতটা সহজলভ্য, তত পরিমাণে নিরামিষ বিরিয়ানির দোকান এখনও পর্যন্ত নেই। তবে নদিয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দিরের পাশেই পেঁয়াজ- রসুন ছাড়া সম্পূর্ণ নিরামিষ পদ্ধতিতে বিরিয়ানি তৈরি করছেন রত্নময় গোবিন্দ দাস ওরফে রানাদা। সম্পূর্ণ নিরামিষ পদ্ধতিতে তৈরি বিরিয়ানি খেতে দূর দূরান্ত থেকে বর্তমানে লোক আসছেন।

আজ তিনিই জানালেন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কীভাবে বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন পেঁয়াজ রসুন ছাড়া সম্পূর্ণ নিরামিষ বিরিয়ানি। তিনি জানান নিরামিষ বিরিয়ানি যে কেউ বাড়িতে বানাতে পারেন। দারুচিনি, লবঙ্গ, ছোট এলাচ, এগুলো দিয়ে সবার প্রথমে ফোড়ণ দিতে হবে। এরপর আদা মশলায় কষিয়ে নিয়ে বিরিয়ানির মশলা যোগ করতে হবে, কেউ চাইলে টমেটোও দিতে পারেন। এরপর সেখানে আপনি যোগ করতে পারেন অর্ধেক ভেজে রাখা সয়াবিন এবং পনির।

এরপর অর্ধেকের একটু বেশি সেদ্ধ করা বিরিয়ানির চাল সাধারণ বিরিয়ানির মতোই থরে থরে সাজাতে হবে। সাজানোর সময় দিতে হবে পরিমাণ মতো আতর ও কেওড়া জল। কেউ চাইলে ফুড কালার দিতে পারেন অথবা দুধের মধ্যে কেশর গুলে সেটিও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর হালকা আঁচে বিরিয়ানি দিতে হবে দমে। তাহলেই আপনার বিরিয়ানি রেডি। পোলাও কিংবা পুষ্পান্নর পাশাপাশি বর্তমানে সম্পূর্ণ নিরামিষ এই বিরিয়ানি প্রচলন ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। তাই এবার জন্মাষ্টমীর উপলক্ষে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন স্পেশাল নিরামিষ বিরিয়ানি।