মালদহ: জলমগ্ন গোটা ভূতনির চর। বন্যা কবলিত এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা। গঙ্গা নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে ভূতনি বিস্তীর্ণ এলাকা। একাধিক জায়গায় ভেঙেছে কালভার্ট থেকে রাস্তা ফলে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন ভূতনির একাধিক গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের উপর উঁচু জায়গায়।
মালদহের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ভূতনির যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ফুলহার নদীর ওপর ব্রিজ। এবার বন্যার জলে ভূতনি অংশের ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তায় দীর্ঘ ফাটল দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। সংযোগকারী রাস্তার দুই ধারে প্রায় ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে এই ফাটল দেখা দিয়েছে।
যেকোনও মুহূর্তে রাস্তায় ধস নামার সম্ভাবনা। ভুতনি ব্রিজের সংযোগকারী এই রাস্তায় ধস নামলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ব্রিজে উঠতে পারবেন না ভুতনির বাসিন্দারা। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে গোটা ভূতনি। রাস্তার দুই ধারে বন্যার জল। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রেম কুমার মন্ডল বলেন, প্রায় ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে ফাটল। এই ব্রিজ ভেঙে গেলে ভুতনি শেষ হয়ে যাবে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী করা হচ্ছে এখনও আমরা জানিনা।
ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তার একাংশের ফাটল বেড়ে যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে অনুমান।স্থানীয়রা বলেন, ভূতনি ব্রিজের পাশের প্রবেশ করেছে গঙ্গা নদীর জল। যার ফলে সংযোগকারী রাস্তার নিচের মাটি নরম হয়ে এই বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এই রাস্তার একাংশ।এলাকা থেকে জল না কমলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
এদিকে গঙ্গা নদীর জল স্তর গত কয়েকদিন ধরে কমতে শুরু করেছে। তবে ভুতনির বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও বন্যার জল কমতে শুরু করেনি। বরং জলমগ্ন এলাকাগুলিতে এখনও জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। সংযোগকারী রাস্তার দুই ধারে জল কমে যাওয়ার পরেও ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তার দুই ধারে ফাটল নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন ভুতনিবাসী কারণ এই রাস্তা ভেঙে গেলে একেবারে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে গোটা এলাকা।
হরষিত সিংহ