Bardhaman Murder: বিয়ের জন্য জমানো টাকা ফেরত দিচ্ছিল না..আর তাতেই খুন! বর্ধমানে আদিবাসী তরুণী হত্যাকাণ্ডে নয়া তথ্য

দক্ষিণবঙ্গ: বিয়ের জন্য টাকা জমাচ্ছিল অজয়। সেই টাকা রাখা ছিল প্রিয়াঙ্কার কাছে। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার পরিবার অজয়ের সঙ্গে তার বিয়ের প্রস্তাব মেনে নেয়নি। সে কারণে অজয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিল প্রিয়াঙ্কা। বিয়েতে অমতের কথা জানাতে টাকা ফেরত চায় অজয়। সেই টাকা না পেতেই শুরু হয় বচসা। তখনই রাগের মাথায় প্রিয়াঙ্কার গলায় ছুরি চালায় অজয়। একটানা জেরায় ভেঙে পড়ে একথা জানিয়েছে অজয়, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই।

নান্দুরে আদিবাসী তরুণীর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত অজয় টুডুকে শুক্রবার পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ধৃত অজয়কে বর্ধমান আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। গত ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের সন্ধ্যায় গলা কেটে খুন করা হয় তরুণী প্রিয়াঙ্কা হাঁসদাকে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই গলাকাটা মৃতদেহ পাওয়া যায় প্রিয়াঙ্কার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই, পুলিশ জানিয়েছে,প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের অবনতির কারণেই এই খুন।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে আলাপ থেকেই জমজমাট প্রেম, ফিরেছিলও একই ট্রেনে! তারপরে কেন মার্ডার? বর্ধমানে তরুণী খুনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে,দু’জনেই ব্যাঙ্গালোরে কাজ করত। ফেসবুকে আলাপ হয় তাদের। তা থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিয়ে ও সংসার চালানোর জন্য টাকা জমানো শুরু করে অজয়। সেই টাকা সে রাখতো প্রিয়াঙ্কার কাছেই। প্রায় চার লক্ষ টাকা সে প্রিয়াঙ্কার কাছে রেখেছিল বলে জেরায় অজয় পুলিশকে জানিয়েছে।

বিয়ে করার কথা ভেবেই ১২ অগাস্ট একই সাথেই রাজ্যে ফিরে আসে তারা। বাড়িতে বিয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানায় প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তাতে আপত্তি জানায়। সে অজয়কে জানায় সেকথা। পাশাপাশি সে অজয়কে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। তখন অজয় প্রিয়াঙ্কাকে তার কাছে গচ্ছিত টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে।

আরও পড়ুন: প্রয়োজনে পৌঁছে দেবে পরীক্ষার হ’লে…নবান্ন অভিযানের দিন নেট পরীক্ষার্থীদের অভয় দিল পুলিশ

কিন্তু প্রিয়াঙ্কার তরফ থেকে তেমন সদুত্তর মেলেনি। সেই টাকা ফেরত নিতেই প্রিয়াঙ্কার বাড়ির কাছে এসেছিল অজয়। সে প্রিয়াঙ্কাকে ফোন করে বাইরে আসতে বলে। প্রিয়াঙ্কা টাকা না নিয়ে খালি হাতে সেখানে যায়। তখন তাদের মধ্যে বচসা হয়। তার জেরেই অজয় প্রিয়াঙ্কার গলায় ধারাল অস্ত্র চালিয়ে দেয়।

এই টাকার ব্যাপারে তাঁরা কিছু জানেন কি না, তা জানতে প্রিয়াঙ্কার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ।