Tag Archives: bardhaman news

Arrow Wounded Woman: ছুরি বা গুলি নয়… পারিবারিক বিবাদে জেরে ছোড়া তির লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়ে সোজা মীরার পাঁজরে! তুমুল হইচই এলাকায়

পূর্ব বর্ধমান: ছুরি নয়, গুলি নয়। তিরবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এক মহিলা। স্বভাবতই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে। ঘটনাটি অবাক করার মতোই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানা এলাকায়। তিরবিদ্ধ জখম এই মহিলার নাম মীরা দাস। জানা যায়, বছর ৪৭-এর আহত এই মহিলা রায়না থানার অন্তর্গত ফকিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জখম মহিলার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফকিরপুর গ্রামের একটি পারিবারিক অশান্তির জেরে তির ছোড়েন এক ব্যক্তি। সেই সময়, আহত মীরা দাস ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তার গায়ে এসে তির বিঁধে যায়।

আরও পড়ুন: বেড়ে চলেছে জিরার দাম! গত ১০ দিনেই আকাশছোঁয়া, মশলার মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত

পারিবারিক অশান্তির কারণে ফকিরপুর গ্রামেরই বাসিন্দা বলাই রুইদাস নামের এক ব্যক্তি তির ছোড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে। কিন্তু সেই তির পরিবারের কোনও সদস্যের গায়ে লাগে না। তির ছুড়লে, সেই তির এসে লাগে মীরা দাসের শরীরে। মীরা দাসের পাঁজরের কাছে তির বিঁধে গিয়েছে।

তড়িঘড়ি জখম মহিলাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় শেয়ারবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তিরবিদ্ধ অবস্থাতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় মীরা দাসকে। এখন জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bardhaman Zoo: কেউ খাচ্ছে তরমুজ, কেউ ORS ! গরমে বন্যপ্রাণীদের জন্য নানা ব্যবস্থা বন দফতরের

শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: কেউ খাচ্ছে তরমুজ। কেউ ওআরএস। কেউ কেউ আবার স্নান করছে পরম আনন্দে। এই জ্বালাপোড়া গরমে অতিষ্ঠ বর্ধমানের রমণাবাগান অভয়ারণ্যের পশুপাখিরা। তাদের সুস্থ রাখতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর।

তীব্র দাবদাহে নাজেহাল বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্যের জীবজন্তুরা। তাদের সুস্থ রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জল। সেই সঙ্গে থাকছে ফ্রুট জুস এবং ওআরএস। চিতাবাঘ, ভাল্লুককে ভাল করে স্নান করানো হচ্ছে। রয়েছে বড় ফ্যানের ব্যবস্থাও। এনক্লোজারের মাথায় রাখা হয়েছে খড়ের ছাউনি। খসখসি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ এনক্লোজার। কিছু সময় অন্তর জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোকে।

আরও পড়ুন– এটা ছাড়া উড়তেই পারবে না বিমান, এয়ারক্রাফ্টের পিছনের অংশকে কী বলে জানেন ?

কুমিরদের সুস্থ রাখতে পাম্প চালিয়ে জল ভরা হচ্ছে জলাশয়ে। সেইসঙ্গে চিকিৎসকরা নিয়মিত তাদের দেখভাল করছেন।চলতি গ্রীষ্মের তাপমাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। বেলা বাড়তেই গরম হওয়া বইছে। আগামী কয়েকদিন একই রকম দাবদাহ বজায় থাকবে বলে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বন্য প্রাণীদের উপর বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ।

বর্ধমান জেলা বন দফতরের অধীনে রয়েছে রমনাবাগান জুওলজিক্যাল পার্ক। এখানে চিতাবাঘ থেকে ভাল্লুক, হরিণ, কুমির, ময়ূর ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পাখি রয়েছে।

এই সমস্ত প্রাণীদের গরম থেকে স্বস্তি দিতে ইতিমধ্যেই বনকর্মীরা সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকছেন।

আরও পড়ুন– পরিচালকের কথায় গভীর রাতে হোটেলের ঘরে যাননি বলে একটি ছবির নায়িকা হওয়া ভাগ্যে জোটেনি ! ‘বিস্ফোরক’ তথ্য অভিনেত্রীর

জেলা বিভাগীয় অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধরী বলেন, এখন পানীয় জলের সঙ্গে গ্লুকন-ডি এবং ওআরএস দেওয়া হচ্ছে সমস্ত পশু পাখিদের। শরীরকে ঠান্ডা করতে সকাল সকাল চিতা বাঘের এনক্লোজারের বাইরে থেকে পাইপে করে জল দিয়ে স্নান করানো হচ্ছে ওদের। পশু পাখিদের ছাউনির খড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে রোদের প্রখর তাপে তারা কষ্ট না পায়। এনক্লোজারের ভিতরে স্প্রিঙ্কলার মেশিনের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখা হচ্ছে। অভয়ারণ্যের ভেতরে পুকুরগুলোয় এই গরমে জল শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই মোটর চালিয়ে পর্যাপ্ত জল ভরে দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। যাতে কুমিরদের কোনও সমস্যা না হয়।

ভাল্লুকের খাঁচায় বড় ফ্যান চালিয়ে ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে ভাল্লুকের প্রধান খাদ্য মধুর পরিমাণ কমিয়ে তরমুজ বেশি খাওয়ানো হচ্ছে। অন্যান্য পশুদের জন্যও খাদ্যতালিকায় ফলমূল ও শাক সবজির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সর্বক্ষণ সমস্ত পশু পাখিদের ওপর নজর রেখে চলেছেন বনকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত রমনাবাগান জু – এ সমস্ত বন্যপ্রাণী সুস্থ রয়েছে। গরমের উত্তাপ না কমা পর্যন্ত আগামী কিছুদিন তীক্ষ্ণ নজরদারি রাখা হবে পশুদের উপর।

Accident: চলন্ত গাড়িতেই আগুনে জ্বলে-পুড়ে সব শেষ! পুড়ে ছাই জীবন্ত মানুষ, ভোররাতে বর্ধমানে ভয়ঙ্কর ঘটনা

কাঁকসা: ভোররাতের রাস্তা তখন লরি, ডাম্পার আর ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের দখলে। নিজের তালেই আসছিল একটি ডাম্পার। কিন্তু হঠাৎ যে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা কেউ জানতেন না। ছোট্ট একটা দুর্ঘটনা। আর তাতে গাড়ির কেবিনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন গাড়ির সহকারী। যে ঘটনা দেখে সেখানে উপস্থিত অন্যান্যরা রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছেন।

কীহয়েছিল? স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, একটি ডাম্পার বীরভূমের দিক থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। সেই ডাম্পারটি কাঁকসার হাসপাতাল মোড়ের কাছে অন্য একটি গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। তার ফলে সঙ্গে সঙ্গে ওই ডাম্পারটিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। যার খেসারত দিতে হয়েছে গাড়ির খালাসীকে। প্রাণ বাঁচানোর বিন্দুমাত্র সুযোগ তিনি পাননি।

আরও পড়ুন: কোন ওয়েবসাইটে মাধ্যমিকের ফল দেখবেন? মার্কশিট হাতে পাবেন কখন? এক ক্লিকে জানুন

স্থানীয়রা বলছেন, ওই ডাম্পারটি সামনের গাড়িতে ধাক্কা মারা মাত্রই, গাড়ির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। আর মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন গ্রাস করে নেয় চালকের সমগ্র কেবিনটিকে। ভোররাতের রাস্তায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। আর সেই আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে গাড়ির খালাসির। যদিও কোনওক্রমে চালক গাড়ি থেকে নামতে পেরেছিলেন। যার ফলে তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: এই গরমে ডাল-ভাতই সেরা, মুগ-মুসুর ডাল মিশিয়ে খেলে কী হয়? কাদের জন্য ‘মহৌষধ’ হতে পারে জানুন

ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে ছুটে আসে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। ভোর চারটে নাগাদ এই দুর্ঘটনা হয়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় গাড়ি আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ওই ডাম্পার চালকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, রাতের রাস্তায় খালাসীর অপরিপক্ক হাতে এইভাবে গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। যার ফলে এমনভাবে দিতে হচ্ছে প্রাণের খেসারত।

নয়ন ঘোষ

Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডারে এখন ঢুকছে হাজার টাকা! ভোটের দিনে একী কাণ্ড ঘটালেন মহিলারা? বিরাট চমক

পূর্ব বর্ধমান: অসময়ে চাঁদা তুলে লক্ষ্মীর আরাধনা। সারা বছর দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা হয়ে থাকে। তবে সাধরণত প্রতিমা এনে লক্ষ্মী পুজো হতে দেখা যায় কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর সময়।এবার অসময়ে লক্ষ্মী প্রতিমা এনে পুজোর আনন্দে মেতে উঠলেন পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামের মহিলারা।পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের আষ্টে কুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ মেতে উঠলেন দেবী লক্ষীর আরাধনায়। মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই গ্রামে চাঁদা তুলে লক্ষ্মীপুজোর ব্যবস্থা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু এই লক্ষী পুজোর নেপথ্যে ঠিক কি কারণ রয়েছে জানেন ? রাজ্য সরকারের ঘোষণা মত বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা। আর সেই টাকা বাড়ার আনন্দে লক্ষ্মী আরাধনার ব্যবস্থা করেন আষ্টে কুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ।

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, “আমাদের সমাজে মায়েরা এগিয়ে থাকলে সবাই এগিয়ে থাকে। সরকার মায়েদের কথা ভেবে লক্ষ্মীর ভান্ডার ৫০০ টাকা থেকে হাজার টাকা করেছে। এতে আমাদের মহিলা সমাজ ভীষণভাবে আপ্লুত। পরিবারের কল্যাণের জন্য , এলাকার কল্যাণের জন্য মায়েরা, স্থানীয় মহিলারা নিজেরা চাঁদা তুলে এই পুজো করছে। ” লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধির আনন্দে আয়োজিত এই লক্ষ্মী পূজায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে গ্রামের মহিলারাও। রাজ্য সরকারেরএই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে এই আয়োজন বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর নয়! দিঘার খুব কাছে খুব সস্তায় এই নির্জন সমুদ্রে বেড়াতে যান! জানুন বিস্তারিত

লক্ষীর ভান্ডারের ব্যানার টাঙিয়ে, তার সামনে লক্ষ্মী প্রতিমা রেখে পুজোর আয়োজন করে গ্রামের মানুষেরা। পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের আষ্টে কুড়ি গ্রামে আয়োজিত এই লক্ষ্মীপুজো প্রসঙ্গে স্থানীয় এক মহিলা বলেন,  “আমরা লক্ষী ভান্ডার ৫০০ টাকা করে পেতাম কিন্তু এ মাস থেকে হাজার টাকা করে পাচ্ছি। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়ার জন্য আমরা খুবই আনন্দিত। এবং এই জন্যই আমরা মহিলারা মিলে চাঁদা তুলে এই লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেছি।”

আরও পড়ুন: দিঘা যাওয়া এবার আরও সহজ ও সস্তা! তিন জোড়া সামার স্পেশাল ট্রেন চালু! জানুন কখন কোথা থেকে ছাড়বে!

প্রসঙ্গত সরকারের ঘোষণা মত এপ্রিল মাস থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। যে সমস্ত উপভোক্তারা লক্ষ্মীর ভান্ডারে ৫০০ টাকা পেতেন, তাদের সেই ভাতা বেড়ে হয়েছে ১০০০ টাকা। অন্যদিকে যে সমস্ত মহিলারা ১০০০ টাকা করে ভাতা পেতেন, তাদের সেই ভাতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০০ টাকায়। আর যার জেরে খুশি হয়েই ধনদেবীর পুজোর আয়োজন করলো আষ্টে কুড়ি গ্রামের গ্রামবাসীরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Nil Sasthi 2024 : পায়ে হেঁটে নয়, দণ্ডি কেটে এই মন্দিরে ঢুকছেন শয়ে শয়ে ভক্ত! রেকর্ড ভিড় মন্দিরে!

নীল ষষ্ঠী উপলক্ষে আসানসোলের চন্দ্রচূড় শিব মন্দিরে রেকর্ড ভিড়। সকাল থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন। রাতভর চলবে পুজোপাঠ।
নীল ষষ্ঠী উপলক্ষে আসানসোলের চন্দ্রচূড় শিব মন্দিরে রেকর্ড ভিড়। সকাল থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন। রাতভর চলবে পুজোপাঠ।
নীল ষষ্ঠীর সময় চন্দ্রচূড় শিব মন্দিরে বহু ভক্তরা দণ্ডি কাটার মানত করেন। মনস্কামনা পূরণ হলে দণ্ডি কেটে মন্দিরে পৌঁছন পুণ্যার্থীরা। এবছর রেকর্ড সংখ্যক ভক্তরা দণ্ডী কেটে মন্দিরে এসেছেন।
নীল ষষ্ঠীর সময় চন্দ্রচূড় শিব মন্দিরে বহু ভক্তরা দণ্ডি কাটার মানত করেন। মনস্কামনা পূরণ হলে দণ্ডি কেটে মন্দিরে পৌঁছন পুণ্যার্থীরা। এবছর রেকর্ড সংখ্যক ভক্তরা দণ্ডী কেটে মন্দিরে এসেছেন।
নীল ষষ্ঠীর সকাল থেকেই পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে বহু ভক্তরা এসেছেন পুজো দিতে। শুধু আসানসোল নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়িয়ে ভিন জেলা এবং ভিন রাজ্য থেকেও এদিন ভক্তরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এবছরও তার অন্যথা হয়নি।
নীল ষষ্ঠীর সকাল থেকেই পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে বহু ভক্তরা এসেছেন পুজো দিতে। শুধু আসানসোল নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়িয়ে ভিন জেলা এবং ভিন রাজ্য থেকেও এদিন ভক্তরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এবছরও তার অন্যথা হয়নি।
নীল ষষ্ঠী উপলক্ষে চন্দ্রচূড় মন্দিরে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। এই শিব মন্দিরে শিবরাত্রি এবং শ্রাবণ সোমবারে বহু ভক্তদের ভিড় দেখা যায়। তবে চন্দ্রচূড় মন্দিরের নীল ষষ্ঠী ব্রত পালনে আয়োজন করা হয় সব থেকে বড় উৎসবের।
নীল ষষ্ঠী উপলক্ষে চন্দ্রচূড় মন্দিরে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। এই শিব মন্দিরে শিবরাত্রি এবং শ্রাবণ সোমবারে বহু ভক্তদের ভিড় দেখা যায়। তবে চন্দ্রচূড় মন্দিরের নীল ষষ্ঠী ব্রত পালনে আয়োজন করা হয় সব থেকে বড় উৎসবের।
রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হওয়ার জন্য মন্দিরে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ভক্তরা যাতে তাড়াতাড়ি পুজো দিতে পারেন, তার জন্য রয়েছেন একাধিক পুরোহিত। তবুও সকাল থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন রয়েছে এখানে।
রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হওয়ার জন্য মন্দিরে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ভক্তরা যাতে তাড়াতাড়ি পুজো দিতে পারেন, তার জন্য রয়েছেন একাধিক পুরোহিত। তবুও সকাল থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন রয়েছে এখানে।

Raksha-Kali Puja: অন্ধকারে হয় বিসর্জন! ফিরে তাকায় না কেউ! রক্ষাকালীর কাহিনি অবাক করবে!

পূর্ব বর্ধমান: পুজো হয় সাড়ম্বরে, তবে লোকচক্ষুর আড়ালে আলো ছাড়াই হয় প্রতিমার বিসর্জন। কৌশিকী অমাবস্যায় নয়, চৈত্র মাসের এই অমাবস্যায় উৎসবের আমেজ এই গ্রাম জুড়ে। মঙ্গলবার রক্ষকালী পুজোকে কেন্দ্র করে সেজে উঠল গোটা গ্রাম।কয়েক শতাব্দী ধরে নিজস্ব নিয়ম রীতি মেনে দেবী রক্ষকালীর আরাধনা হয়ে আসছে পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে। পুজোর রয়েছে এক আলাদা বৈশিষ্ট্যও।

পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি গ্রাম দেওয়াশীন। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২ ব্লকের অন্তর্গত এই গ্রাম জুড়ে বর্তমানে উৎসবের আমেজ। মঙ্গলবার রক্ষাকালী পুজো উপলক্ষে সেজে ওঠে গোটা দেওয়াশীন গ্রাম। পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামের প্রধান উৎসবই হল এই রক্ষাকালী পুজো।

চৈত্র মাসের অমাবস্যা তিথিতে হয় এই পুজোটি। গ্রামবাসীদের পাশে নিয়ে, বর্তমানে এই পুজো পরিচালনা করে দেওয়াশীন অগ্রগামী ক্লাব। গ্রামের এই পুজো প্রসঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তি সুশীল ব্যানার্জি জানান, “এটাই তাঁদের প্রধান পুজো । এই কটা দিন তাঁরা আনন্দের সঙ্গে কাটান। পুজোর আগে থেকে পুজো শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকে চরম ব্যস্ততা। পুজো দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ভিড় জমান বহু মানুষ। “

আরও পড়ুন: লাল না হলুদ তরমুজ খাবেন? ক্যানসারের যম এই ফল! জানুন

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে এক সময় নাকি ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল এই এলাকা। সেই সময় জৈনক সাধকের হাত ধরে এই পুজোর সূচনা হয়। পরবর্তীকালে সেই পুজোই হয়ে ওঠে গোটা গ্রামের অন্যতম প্রধান উৎসব। পূর্ব বর্ধমান জেলার দেওয়াশীন গ্রামের এই রক্ষাকালী পুজোকে ঘিরে আলোর মালায় সেজে ওঠে গ্রামের একাংশ। রকমারি জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যে হতেই শুরু হয় ভক্ত তথা স্থানীয় মানুষদের আনাগোনা।

আরও পড়ুন: যা চাইবেন তাই পাবেন! সুতোয় বেঁধে দিন হাতি-ঘোড়া! এই মন্দিরে ছুটছে বহু মানুষ

দেওয়াশীনের এই রক্ষাকালী পুজোর রয়েছে এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সাড়ম্বরে দেবীর পুজো হলেও, দেবী রক্ষাকালীর বিসর্জন হয় লোক চক্ষুর আড়ালে, আলো ছাড়াই।এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তিরা আরও জানান, “কোনও রকম বৈদ্যুতিক আলো, মশাল, লাইট ছাড়াই অন্ধকারে দেবী প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। এছাড়াও দেবী প্রতিমা পুকুরে বিসর্জন করার পর আর কেউ ঘুরে তাকায় না পুকুরের দিকে। এটাই নাকি পুজোর রীতি, যা পূর্ব পুরুষের আমল থেকে চলে আসছে।”

তবে প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গেলেও, রক্ষাকালী পুজোকে ঘিরে যে মেলা বসে, তা থাকে তিন থেকে চারদিন। কেবল মেলাই নয়, কালী পুজোকে ঘিরে বসে যাত্রার আসর। সব মিলিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের পরেও বর্তমানে উৎসবের রেশ গোটা গ্রাম জুড়ে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Holi 2024: রঙের উৎসবে ‘এই’ কারণেই দোল খেলে না বর্ধমানবাসী, জানলে অবাক হবেন

বর্ধমান: আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক বর্ধমান। সাড়া রাজ্য জুড়ে যখন দোল উৎসব পালিত হচ্ছে তখন তার ব্যতিক্রম বর্ধমান শহর। এই শহরে কেউ রং খেলে না আজ। প্রকৃতিতে রং লাগলেও এদিন রঙের ছোঁয়া থেকে দূরেই থাকেন এই শহরের সকলে। রাজ আমল থেকেই চলে আসছে এই প্রথা। বর্ধমানবাসী রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হয় পরদিন। আগামীকাল আবির রঙে রাঙা হবেন বাসিন্দারা। কেন জানেন?

বর্ধমান রাজাদের কুল দেবতা রাধামাধব জিউ, লক্ষ্মীনারায়ন জিউ। দোল পূর্ণিমায় তাঁদের পুজো হয়। তাঁদের পায়ে আবির দিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করা হয়। বর্ধমান শহরের সোনাপট্টি এলাকায় রয়েছে এই মন্দির। বহু প্রাচীন এই মন্দিরে সেই রীতি চলে আসছে আজও। পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরে পুজো হয়। দোল উৎসব পালিত হয় মন্দিরে । অনেকই এদিন মন্দিরে এই উৎসব দেখতে আসেন। বর্ধমানের মহারাজা মহাতাব চাঁদের মতে, এদিন দেব-দেবীর দোল উৎসব। দেবতাদের দোল উৎসব। তাই এদিন রং খেলত না রাজ পরিবার। তারা রং খেলতো পরদিন। সেই থেকেই দোল পূর্ণিমার পরদিন রং খেলে বর্ধমানবাসী।

আরও পড়ুন-   গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!

রাজা মহতাবচাঁদ মনে করতেন, দেবতাদের দোলের দিনে মানুষের দোল খেলা ঠিক নয় ৷ তিনি ঠিক করেন পরদিন দোল খেলবেন ৷ তাঁর ব্যক্তিগত চিন্তা এটা ৷ রাজবাড়িতে পূর্ণিমার পর দিন থেকে দোল খেলা শুরু হত ৷ রাজাকে দেখে রাজকর্মীরাও পরদিন দোল খেলা শুরু করেন ৷ এরপর বর্ধমান শহরবাসী এই প্রথা মানতে অরম্ভ করে।

রাজারা আর নেই। মন্দিরের দোলের সেই আড়ম্বর কমেছে অনেক আগেই। আজ সাদামাটা ভাবেই লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ রাধামাধব জিউ এর দোল হয়। তবুও সেই প্রথা বজায় রয়েছে পুরো মাত্রায়।আবির পিচকিরি বিক্রি হচ্ছে কয়েকদিন আগে থেকেই। তবে দোল পূর্ণিমায় আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকল শহর বর্ধমান। তবে আগামীকাল অর্থাৎ পূর্ণিমার পরদিন রঙের উৎসবে মেতে উঠবে এই শহর। আবিরে রঙে রঙিন হবে আট থেকে আশি সকলেই।

GATE Topper: বঙ্গসন্তানের জয়, GATE-এ প্রথম বর্ধমানের রাজা! গোটা দেশে অসামান্য সাফল্য

বর্ধমান: GATE-এ প্রথম স্থান দখল করলেন বর্ধমানের ছেলে রাজা মাঝি (ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকা পরীক্ষা,’গ্র্যাজুয়েট অ্যাপটিটিউট টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং’)। সর্বভারতীয় এই পরীক্ষায় রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করায় গর্বিত বর্ধমানবাসী, গোটা রাজ্য। প্রথমেই রাজার নাম প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বাসে ভাসল রাজার পরিবার।

শিক্ষকতা পেশাকে ভালবেসে প্রতিভাবান যুবক রাজা মাজি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় কাজের সুযোগ পেয়েও তা প্রত্যাখ্যান করেন। এমন এক শিক্ষক গেট পরীক্ষায় ভারতসেরা হওয়ায় আজ গর্বিত গোটা বাংলা। গর্বিত তাঁর পরিবার পরিজন ও ছাত্র ছাত্রীরা। তবে এত বড় সাফল্যের পরেও শিক্ষকতা পেশাকে আঁকড়ে ধরে থাকার সিদ্ধাতেই রাজা অবিচল রয়েছেন।

আরও পড়ুন: সন্দেশখালি ‘জিইয়ে’ রেখেই বসিরহাটে চমকে দিল বিজেপি! রেখার মতে, মোদিই আসলে মুখ

বর্ধমানের খালুইবিল মাঠ এলাকার বাসিন্দা রাজা মাঝি বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল থেকে ২০১০ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন রাজা। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে চাকরি করেন ৫ বছর। তবে প্রথম থেকেই শিক্ষকতার ইচ্ছা থাকায় ছেড়ে দেন কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি। এর পর বিষ্ণুপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দেন তিনি। এখানেই চাকরিরত অবস্থায় উচ্চশিক্ষার জন্য বসেন গেট পরীক্ষায়। সেখানেই সর্বোচ্চ সাফল্য পান তিনি।

আরও পড়ুন: এখনও অধরা ৪২ আসনে প্রার্থী-নাম, বাংলার কোন চারটি আসনে জট কাটল না পদ্মশিবিরের?

এই সাফল্যে রাজা মাঝি জানিয়েছেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করার পর চাকরি করার ইচ্ছা কোনওদিনই ছিল না। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে ৫ বছর চাকরি করার পরেও মনে হয়েছিল এই কাজ আমার জন্য নয়। শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষার জন্যেই আমি গেট পরীক্ষা দিয়েছি। তবে উচ্চশিক্ষা শেষ হওয়ার পর এই শিক্ষকতাতেই থাকব।’

Dilip Ghosh: মেদিনীপুর থেকে সোজা বর্ধমান-দুর্গাপুর, এই এক কারণেই নিজের সিট থেকে সরলেন দিলীপ ঘোষ!

কলকাতা: তিনি বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। নিন্দুকেরাও বলেন, তাঁর হাত ধরেই বাংলায় পায়ের তলার জমি শক্ত হয়েছে বিজেপির। সেই দিলীপ ঘোষকেই এবার তাঁর চিরচেনা আসন মেদিনীরপুর থেকে সরিয়ে দিল গেরুয়া শিবির। মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে তাঁকে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে পাঠানো হয়েছে। রবিবার রাতে পঞ্চম দফায় বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই দেখা যায়, দিলীপ ঘোষ আর মেদিনীপুরের প্রার্থী নন, তাঁর জায়গায় মেদিনীপুরে প্রার্থী করা হয়েছে অগ্নিমিত্রা পালকে। একইসঙ্গে বাংলার আরও ১৮টি কেন্দ্রে প্রর্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সকলের থেকে বেশি চর্চায় থেকেছে দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র বদল।

প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর থেকে যে দিলীপ ঘোষকে সরানো হতে পারে, সেই জল্পনা ছিলই। সেই মতোই বাংলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতিকে রাঢ়বঙ্গের কঠিন পিচে পাঠানো হল। সেখানে তাঁর প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপির টিকিটে দু’বারের প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ। এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন কীর্তি আজাদ।

আরও পড়ুন: রাতে ঘুরল খেলা! পরাস্ত এবিভিপি, JNU বামেদেরই! সব আসনের রংই লাল

বস্তুত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার পর থেকেই দিলীপ ঘোষের সক্রিয়তা কিছুটা কমছিল। এ রাজ্যে বিগত কয়েকটি নরেন্দ্র মোদির সফরেও দিলীপকে দেখা যায়নি তাঁর আশেপাশে। চলতি মাসের প্রথমে আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরের সভায় মোদির সভায় ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। পরে অবশ্য খানিকটা দলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছিলেন। কিন্তু বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় ২০ আসনের মধ্যে দিলীপ ঘোষের নাম না থাকা নিয়ে যথেষ্ট গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। তবে শেষমেশ তাঁকে টিকিট দিল গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু পছন্দের মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।

আরও পড়ুন: জল্পনাই সত্যি হল, তমলুকে বিজেপির হয়ে লড়বেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

কিন্তু কেন মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে পাঠানো হল দিলীপকে? বিজেপির অন্দরের একটি সূত্র বলছে, মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে এক মহিলা মুখকেই লড়াইতে নামাতে চাইছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই জুনের বিরুদ্ধে বেছে নেওয়া হল ডাকাবুকো বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে। আবার বর্ধমান-দুর্গাপুরে দিলীপকে পাঠানোর নেপথ্যে যুক্তি হল, আরএসএসের প্রচারক থাকাকালীন দিলীপ ঘোষ বর্ধমান-দুর্গাপুর অঞ্চলে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। গোটা এলাকা তাঁর চেনা। এই অঞ্চলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নাতীত। তাই বর্ধমান দুর্গাপুরে ভোটের বৈতরণী পেরতেই দিলীপকেই বাজি হিসেবে ধরল বিজেপি।

Success Story: পড়াশোনা করাতে পারেনি বাবা, বিয়ের পর ব্যবসা করে আজ সুপ্রতিষ্ঠিত, ৬০০ জন মহিলার অন্নসংস্থান করছেন ৬৫ বছরের ‘এই’ বৃদ্ধা

পূর্ব বর্ধমান: পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলেও পড়াশোনা করাতে পারেনি বাবা।বিবাহের ৪০ বছর পর ও নিপুণ হাতে ঠাকুরের মালা,সাজ ও বিয়ের টোপর বানিয়ে নিজের পরিবারের এবং প্রায় ৬০০ জন মহিলার অন্নসংস্থান করে চলেছেন ৬৫ বছর বয়সের মঞ্জু দেবী। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন বয়স কোনও বাধা নয়। ইচ্ছা থাকলেই স্বনির্ভর হওয়া যায়। তিনি মহিলা হওয়া সত্বেও থেমে থাকেননি। তিনি আজ নিজের পরিচয়ে পরিচিত।

পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা পৌরসভার বারুইপাড়ার নিবাসী মঞ্জু পাল। জানা যায় , ছোটবেলায় তার বাবা তাকে পড়াশোনা করাতে পারেননি। সেই থেকেই তার ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে নিজে কিছু করে দেখাবেন। সেরকমই মঞ্জু দেবী তার মনের জেদ ইচ্ছা ও চেষ্টাকে ব্যর্থ হতে দেননি, সংসার সামলে তিনি তার কর্মের পথে অবিচল রয়েছেন এখনও পর্যন্ত। তার নিপুণ হাতের তৈরি ঠাকুরের মালা, বিবাহের টোপর, ঠাকুরের চাঁদ মালা, ঠাকুরের সাজ বিভিন্ন জায়গায় তিনি পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি প্রমান করে দিয়েছেন মহিলারা ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই কাজ করতে পারেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল কিছু করার । তাই বিয়ের পর স্বামীর কাছে ভালভাবে কাজ শিখে আজও এগিয়ে চলেছেন। পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলেও করতে পারেননি। তাই এই পথটাকে বেছে নিতে হয়েছে।

আরও পড়ুন-        মাত্র ১৯-এ অকালে সব শেষ, লাস্ট পোস্টে কী লিখেছিলেন আমিরের অনস্ক্রিন কন্যা, ভাইরাল হতেই চোখে জল ভক্তদের

নিজে স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি তিনি বহু মহিলাকেও কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন।মঞ্জু দেবীর কাছে কাজ শিখে কাজ করে উপকৃত হয়েছেন অনেকেই। তবে শুধু মহিলারাই নয় ,বর্তমানে তিনি তার এই ব্যবসায় তার দুই ছেলেকেও নিযুক্ত করেছেন। এই প্রসঙ্গে মঞ্জু দেবীর এক ছেলে বলেন , মাকে নিয়ে অহংকার করেন তাঁরা। কারণ এই বয়সে সবাই ঘুরতে যায়, হরিনাম করে। কিন্তু তাঁর মা সবসময় ব্যবসা নিয়েই পড়ে থাকেন। এমনও দিন গিয়েছে তিনি মায়ের সঙ্গে ভোর পর্যন্ত কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন-         মহাশিবরাত্রিতে বিরল কাকতালীয় যোগ! সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে প্রসন্ন করুন শিবকে, রাতারাতি ‘ধনী’ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না…!

মঞ্জু দেবীর তৈরি বিভিন্ন জিনিস এখন ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তথা রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও। তার এবং তার কাছে কাজ করা অন্যান্য মহিলাদের তৈরি জিনিস এখন পৌঁছে যায় নদীয়া, হুগলি সহ আরও বেশ কিছু জেলায়। আর এভাবেই এই কাজ এগিয়ে চলেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বছর ৬৫ বছরের মঞ্জু পাল।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী