'নবান্ন অভিযান' ঘিরে শহরময় উত্তেজনা

Nabanna Abhijan: পাঁচতারা হোটেলে গোপন বৈঠক, হাতে CCTV ফুটেজ! নবান্ন অভিযানের অনুমতি দিল না পুলিশ

কলকাতা: নবান্ন অভিযানের নামে ভিড়ে মিশে গিয়ে হিংসা ছড়াতে পারে দুষ্কৃতীরা৷ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার একই আশঙ্কা প্রকাশ করা হল রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে৷ নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এডিজি সাউথ বেঙ্গলের দাবি, ‘দুপুরে আমরা জানাই দুটো সংগঠন কেউ আমাদের তথ্য দেয়নি। তারপর একটি মেল এসেছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে। যে তারা একটা প্রোগ্রাম করবে। একটা ইন্টিমেশন দিয়েছে। তাই তাদের প্রোগ্রামের অনুমতি দেয়নি। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে আমাদের প্রেস কনফারেন্সের পর চিঠি দিয়েছে। তাদেরও অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।’

অনুমতি না দেওয়ার পিছনে পুলিশের দাবি, ‘এক, কাল ইউজিসি নেট পরীক্ষা আছে। দুই, খুব কম সময়ের মধ্যে তারা জানিয়েছে। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছি অন্য কোনও এলাকায় তারা মিছিল করলে আইন মেনে সুপ্রিম কোর্ট মেনে করলে আমরা ব্যবস্থা করব। আমরা দুপুরে বলেছিলাম এক ছাত্র নেতা এক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছে। আমরা বলছি সকাল ১১. ২৫ নাগাদ ২৫ তারিখ এক পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এর এক নেতা হায়াত রিজেন্সি-তে দেখা করতে গিয়েছিলেন। দুদিন আগে দেখা করতে যাওয়াটা অত্যন্ত রহস্যজনক। ব্যাপারটির মধ্যে রহস্য আছে। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। একটু আগেও সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নাম বলব না।’

আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ, প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায়! আবহাওয়ার বড় খবর

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে নির্দিষ্ট ইনপুট আছে গন্ডগোল হবে। তাই পুলিশ সব ব্যবস্থা নেবে। Hyatt হোটেল-এ মিটিং হয়েছিল। ২৫ তারিখ দুপুর ১১.২৫ নাগাদ হয়েছে মিটিং। সিসিটিভি ফুটেজ আছে।’ রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ কুমার ভর্মাও দাবি করেছেন, আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নামে নবান্ন অভিযানের যে পৃথক কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে, তার কোনওটির জন্যই পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি৷ সাধারণ মানুষ যাতে এই অশান্তির ফাঁদে পা না দেন, সেই অনুরোধও করেছেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা সহ রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা৷

আরও পড়ুন: হাসপাতালে কীভাবে চলত বর্জ্য-দেহ বিক্রি? সন্দীপের সঙ্গে যোগ কাদের? ‘সব’ তথ্য পেল CBI

চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সুপ্রতিম সরকার বলেন, বলা হচ্ছে এই সংগঠন এবং কর্মসূচি অরাজনৈতিক৷ কিন্ত আমাদের কাছে খবর আছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের এক নেতারা শহরের পাঁচ তারা হোটেলে একজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ একজন ছাত্রনেতা কী উদ্দেশ্যে পাঁচ তারা হোটেলে গিয়ে রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন, ওই বৈঠকে বেআইনি কিছু হয়েছে কি না তার তথ্যপ্রমাণ আমরা সংগ্রহ করছি এবং সময়মতো আদালতে পেশ করব৷ পাশাপাশি, ফেসবুকে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পেজ থেকে এবিভিপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে ফলো করা হয়, সেই দাবি করেও সংগঠনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ওই পুলিশ কর্তা৷
শুধু তাই নয়, বার বার পুলিশের পক্ষ থেকে ওই দুই সংগঠনকেই জমায়েতের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি বলেই পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে৷

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়