লাইফস্টাইল Weight: ঢোকে ঢোকে ঝরবে মেদ…! ঝুলে পড়া পেট পুজোর আগেই টান টান! ডায়াবেটিস ছুমন্তর হবে ১ ঘরোয়া পানীয়েই! শুধু খাবার ‘সঠিক’ নিয়ম জানা মাস্ট Gallery August 29, 2024 Bangla Digital Desk জল পানের মতো চা পানও মানুষের প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে চা অনেক রোগের অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে কাজ করে, তো আবার কারও কাছে এটি অভ্যাসের মতো, চা না পান করে থাকতেই পারেন না। তাই তাঁদের জন্য এই পানীয়কে একটু নতুন পদ্ধতিতে খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, কিছু বিশেষ ধরনের চা পান করলে তা ওজন কমাতেও অনেক সাহায্য করতে পারে। আজ আমরা এমনই একটি চায়ের ব্যাপারে কথা বলব। আর সেই চা-টি হল জিরের চা। নাম শুনে হয়তো অনেকেই চমকাবেন, কিন্তু এর উপকারিতা অতুলনীয়। দেরাদুনের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. সিরাজ সিদ্দিকি Local 18-কে বলেন, জিরেকে কিউমিন সিডসও বলা হয়ে থাকে। এটি ফ্রি র্যাডিক্যালের একটি ভাল উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যালকালয়েড এবং ফেনল প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, এর মধ্যে থাকে বিপুল পরিমাণ আয়রনও। তাই যাঁরা রক্তাল্পতায় ভোগেন, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এটি খুবই উপকারী। গ্যাস ও অ্যাসিডিটির জন্যও জিরে খুবই উপকারী। ডা. সিরাজ সিদ্দিকি আরও বলেন, জিরের জল বা জিরে চা ওজন কমাতেও দারুণ সহায়ক। কিন্তু এর অবশ্য একটা সীমা রয়েছে। মাত্র কয়েক মাসের জন্যই তা ওজন কমাতে সক্ষম। এটি অতিরিক্ত সেবন করলে কিন্তু মুশকিল। কারণ তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। আবার যদি কারও ত্বকে ব্রণ কিংবা ফোঁড়ার-ফুসকুড়ির মতো সমস্যা থাকে, তাহলে জিরে চা ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা ম্যাজিকের মতো দূর করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। জিরে চা ডায়াবেটিস এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন – নিউরোপ্যাথি এবং রেটিনোপ্যাথির মতো সমস্যা উপশম করতেও কার্যকর। ডা. সিরাজ সিদ্দিকি জিরে চা বানানোর রেসিপিও শেয়ার করে নিয়েছেন। তাঁর কথায়, জিরে চা বানানো খুবই সহজ। ২৫০ মিলিলিটার বা এক কাপ জলে এক চামচ জিরে মিশিয়ে ফোটাতে হবে। যতক্ষণ না এটি অর্ধেকে নেমে আসছে, ততক্ষণ তা করে যেতে হবে। এরপর মিশ্রণটিকে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে সেবন করতে হবে। ভাল ফলাফলের জন্য এই পানীয় সকালে খেতে পারেন। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা আধ কাপ জিরে চা খেতে পারেন। কিন্তু সুস্থ-স্বাভাবিক ব্যক্তিরা দিনে চার বার আধ কাপ জিরে চা খেতে পারেন। তবে যাঁদের জিরে থেকে অ্যালার্জি আছে, তাঁদের এই পানীয় না সেবন করাই ভাল। আর যে কোনও রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা গর্ভবতী মহিলাদেরও এটির সেবন করা উচিত নয়। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।