ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা

Manik Saha: রোজগার বন্ধ হওয়া নির্মাণ শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা 

ত্রিপুরাঃ বন্যা পরিস্থিতির সময়ে রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়া নির্মাণ শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এবার তাঁদের এককালীন সহায়তা হিসেবে ৪ (চার) হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় এই খবর দেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা।

আরও পড়ুনঃ পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের 

মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘গত ১৯ অগাষ্ট ২০২৪ থেকে সমগ্র রাজ্যে অতিভারি বর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যার কারণে অন্যান্য ত্রিপুরাবাসীর মতো রাজ্যের নির্মাণ শ্রমিকগণও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এতে প্রায় টানা ৮ দিন তাঁদের রুজি রোজগার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।’

তাঁদের এই শোচনীয় পরিস্থিতি থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ত্রিপুরা বিল্ডিং অ্যান্ড আদার কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড এর সেস ফান্ড থেকে যে সকল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে নথিভুক্ত নির্মাণ শ্রমিক রয়েছেন তাদেরকে এককালীন ৪০০০/- টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, সারারাজ্যে নথিভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা – ৪২,৯৮১ জন। তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭,১৯,২৪,০০০ টাকা। জেলা পর্যায়ে নথিভুক্ত নির্মাণ শ্রমিক রয়েছেন – পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা – ১৩, ১৪৮ জন, সিপাহীজলা জেলা – ৫,৮৯৯ জন, গোমতী জেলা – ৫,৬৯৮ জন, দক্ষিন ত্রিপুরা জেলা – ৪,১৩৩ জন, খোয়াই জেলা – ৪,৫২৯ জন, ধলাই জেলা – ৩,৫৯২ জন, উনকোটি জেলা – ৩,৮৬১ জন এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলা – ২,১২১ জন।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে জল নামতে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা কাজ করছেন নানা জায়গায়৷ এছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ দেওয়া ও খাবার দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে৷ ত্রিপুরা রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, কেন্দ্রের তরফে তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কেন্দ্র প্রয়োজনে আরও সাহায্য করবে। তবে পাহাড়ি এলাকায় পুনঃগঠনে সময় লাগবে।