Tag Archives: Tripura CM Manik Saha

Tripura News: জাতীয় শিক্ষা নীতির সঠিক বাস্তবায়নে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা অপরিসীম, বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

আবীর ঘোষাল, আগরতলা: জাতীয় শিক্ষা নীতির সঠিক বাস্তবায়নে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা অপরিসীম। ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (জাতীয় শিক্ষা নীতি) শুধু ত্রিপুরায় বাস্তবায়িত হচ্ছে না, সারা দেশেই এই নীতি কার্যকর হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষা নীতি সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের ভালভাবে বোঝানোর দায়িত্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কারণ শিক্ষকরাই জাতির মেরুদণ্ড। রাজ্য শিক্ষা দফতর কর্তৃক সম্মাননা প্রাপ্ত সকল শিক্ষকদের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সম্বর্ধনা প্রদান করে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী  ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুন- জল বাড়ছে, ডিভিসিকেই দুষলেন সেচমন্ত্রী, ‘রাত জাগা কর্মসূচি’-র ডাক মানস ভুঁইয়ার

রাষ্ট্রনির্মাণের কাজে নিয়োজিত শিক্ষকদের সম্মানিত করা হয়। তবে এবছর শিক্ষক দিবস উদযাপন সমারোহে বিশেষ কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাই নিজের সরকারি বাসভবনে এবার শিক্ষকদের সম্মানিত করলেন তিনি।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, সুষ্ঠু ও নীতিনিষ্ঠ সমাজ নির্মাণে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অসামান্য অবদান রয়েছে। তাই তাঁদের সকলের প্রতি  আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করার পাশাপাশি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। জাতীয় শিক্ষা নীতি সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার গুরুদায়িত্বও তাঁদের। বিশেষ করে এবিষয়ে যাবতীয় নীতি নির্দেশিকা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করতে হবে। সমাজের বিশিষ্টজনদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন শিক্ষকগণ। সমাজকে সঠিক দিশা দেখাতে শিক্ষকদের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের উপরই নির্ভর করছে আগামী দিনের ভবিষ্যত। ছাত্রছাত্রীরা যাতে ভাল ফলাফল করতে পারে সেদিকে অবশ্য নজর রাখতে হবে।

আরও পড়ুন– প্রাইজ পোস্টিং! বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে বড় হুঁশিয়ারি শমীকের

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার খুবই আন্তরিক। শিক্ষা ক্ষেত্রে সবদিক দিয়ে উন্নত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য শূন্যপদগুলি পূরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে কাজ করেছে। এর পাশাপাশি সকলেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বন্যায় ত্রিপুরার তিনটি জেলা দক্ষিণ, গোমতী ও সিপাহীজলা জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় শিক্ষা দফতরেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। এর জন্য শিক্ষা দফতরকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’’

Tripura News: বাইরে থাকা ইঞ্জিনিয়ারদের রাজ্যে ফেরার আহ্বান,পরিকাঠামোয় বিশেষ জোড় মানিক সাহার

 আগরতলা: পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। তাই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা  জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব নিয়ে ত্রিপুরার উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও জানান, ‘‘সারা দেশের মধ্যে ত্রিপুরাকে একটা উল্লেখযোগ্য রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ইঞ্জিনিয়ারদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।’’ ইঞ্জিনিয়ার্স দিবস উপলক্ষে আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে এক সেমিনার ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত হয়ে সেই কথা বলেন মানিক সাহা।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিপাতের জের, ভেঙে পড়ল একাধিক বাড়ি, ডুবল সড়ক পথ, রাজ্য জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি৷ সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানিক সাহা বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় গতকাল দুজন বিখ্যাত ক্রিকেটার এসেছিলেন। প্রথমবার এই রাজ্যে এসে তাঁরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। ত্রিপুরা যে এমন একটা সুন্দর জায়গা হতে পারে, সেটা ওনারা ভাবতেই পারেননি। আমি তখন তাঁদের বললাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের ৬টি জাতীয় সড়ক দিয়েছেন। আরোও চারটি জাতীয় সড়ক হতে চলেছে।’’

আরও পড়ুন: উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ভাঙল আগের সমস্ত রেকর্ড, অটোমোবাইল আনলোডিং অপারেশনে উল্লেখযোগ্য

তিনি অঢেল রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারদের অঢেল প্রশংসা করেছেন৷  ত্রিপুরার বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শহরে প্রবেশ করে মাতাবাড়ি যাওয়ার রাস্তা- এই সবেতেই রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের স্পর্শ।

মানিক সাহা জানান গত উড়িষ্যার নির্বাচনে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ত্রিপুরাযর উন্নয়নের ঢালাও প্রশংসা করেছেন। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য।

মুখ্যমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে বলেন,  ‘‘প্রধানমন্ত্রীর উপর আমাদের অঢেল ভরসা দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এমনিই বলেন নি। আপনারা সেটা সম্ভব করে দেখিয়েছেন। এনআইটি থেকে শুরু করে পলিটেকনিক কলেজ বা বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে আপনাদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।’’

কেবল দেশে নয় বিদেশেও দেশ ও রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করছেন তাঁরা।          মানিক সাহা উদ্বোধনী বক্তব্যে আরও বলেন, ‘‘ইচ্ছা শক্তি থাকলে অনেক কিছু করা যায়। যে সরকারই থাকুক না কেন। সদিচ্ছা থাকলে যে কোনও কাজ আদায় করা যায়।’’

ত্রিপুরায় পলিটেকনিক কলেজে ড্রোন সেন্টার খোলা হয়েছে। তিনি জানান, ‘‘গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে আমাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে।’’

এবারে ত্রিপুরা বাজেটেও পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল সংখ্যক অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিকাঠামোর উন্নয়ন না হলে বিনিয়োগকারীরাও আসবেন না। সেই জন্যই এই উদ্যোগ৷

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ড. এম বিশ্বেশ্বরাইয়া দক্ষিণ ভারতে সেচ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধন করেছিলেন। এজন্য তাঁকে মানুষ স্মরণ করেন। স্বয়ংক্রিয় ওয়াটার ফ্লাড গেইটগুলির সিস্টেম ডিজাইন ও প্যাটার্ন করার ক্ষেত্রে ওনার অবদান আজকের দিনেও সবাই মনে রেখেছেন।

১৯০৩ সালে পুনের এক জলাধারে এই সিস্টেম স্থাপন করেছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে গোয়ালিয়র ও কর্ণাটকে এমন প্রকল্প রূপায়ণ করেছেন। তাঁর জন্য আজকে আমরা সুফল পাচ্ছি।

বিহারে গঙ্গা নদীর উপর মোকামা সেতু নির্মাণেও তাঁরই অবদান ছিল। এছাড়া তিরুমালা ও তিরুপতির মধ্যে সড়ক নির্মাণও তিনি করেছিলেন। তিনি আরও জানান, তাঁর সময়ে ব্যাঙ্গালোরে প্রেস ক্লাব ও ব্যাংকও স্থাপন হয়েছিল।

ত্রিপুরার যে ছেলেমেয়েরা রাজ্যের বাইরে আছেন, তাঁদের রাজ্যে ফিরে আসারও আহ্বান করেন মানিক সাহা।

Tripura News: ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার উপর গুরুত্ব দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা 

আবীর ঘোষাল, আগরতলা: ‘‘ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত একটি দেশ বা রাজ্যের উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি। কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের কোনও প্রকল্প বা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পঞ্চায়েত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পঞ্চায়েত আমাদের প্রধান ভিত্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বদা পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।’’ আগরতলার টাউন হলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুন- ২০২৪ সালে প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবথেকে ব্যয়বহুল শহর কোনগুলি? আর ওই তালিকায় ভারতের কোন শহর কত-তম স্থানে রয়েছে?

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘আমি সম্প্রতি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। সেখানে আমার সরকার ওয়েব পোর্টালের উপর একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করি, যেটা পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। প্রতি বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সদস্য এবং আধিকারিকগণ বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় যান এবং প্রতি সোমবার একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসকল সমস্যা দূর করতে অনলাইনে আপলোড করার জন্য একটি সভার আয়োজন করা হয়। পঞ্চায়েত আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ব্যবস্থার জন্য আমরা প্রশংসিত হয়েছি। বর্তমানে আমাদের ১১৬টি জেলা পরিষদ, ৪২৩টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৬,৩৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আমাদের সরকার সর্বদা স্বচ্ছতার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যা ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের কার্যকারিতায়র মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে থাকে।’’

আরও পড়ুন–  ‘আমি ক্লান্ত….’, দুই কন্যাকে এমন কেন বলেছিলেন অনিল? মালাইকা-অমৃতার সঙ্গে কথা বলেই কি মরণঝাঁপ দিয়েছিলেন তাঁদের বাবা?            

রাজ্যে স্বচ্ছ প্রশাসন সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল সদস্যদের কাজ করার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সমস্ত গ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এর প্রচারে পঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। উন্নয়নকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিতে হবে।

Tripura News: জনগণের সমস্যা সমাধানে ত্রিপুরায় শুরু ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ কর্মসূচি, প্রশাসনকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার পরামর্শ মানিক সাহার

আগরতলা: জনগণের সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ কর্মসূচি৷ এই কর্মসূচির ৩১তম পর্বে ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সমস্যা পীড়িত মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সরকারি বাসভবনে এসে তাঁদের নানাবিধ সমস্যার কথা তাঁর কাছে তুলে ধরেন।

তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই এসেছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তার আর্জি নিয়ে। সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী তৎক্ষনাৎ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: আন্দোলনের মধ্যেই অসুস্থ মহিলা পুলিশ কর্মীর চিকিৎসা জুনিয়র ডাক্তাদের, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগের পাল্টা ‘ভাইরাল’ পোস্ট

‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ কর্মসূচিতে পূর্ব প্রতাপগড়ের অনুপ ঘোষ তাঁর দুই বছরের শিশুকন্যার চিকিৎসা সংক্রান্ত আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর মেয়ে জন্মের পর থেকে পিওর রেড সেল অ্যাপলেসিয়া (পিআরসিএ) সংক্রান্ত রোগে ভুগছে।

আরও পড়ুন: এনআরআই-এর বাড়িতে গ্রেনেড হামলা, বিস্ফোরণের কেঁপে উঠল পাড়া, প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ

পেশায় দিনমজুর অনুপ ঘোষ তাঁর মেয়ের চিকিৎসার খরচ মেটাতে ও সংসার চালাতে খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ, ১২সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার আর্জি জানান।

মানিক সাহা অনুপ ঘোষের মেয়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখে সঙ্গে সঙ্গেই জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ শঙ্কর চক্রবর্তীকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে অনুপ ঘোষকে কিভাবে সহায়তা করা যেতে পারে সে বিষয়টি দেখার জন্য তিনি ত্রিপুরার সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের ডেপুটি কমিশনার অচিন্ত্য কিলিকদারকে নির্দেশ দেন।

ধলাই জেলার গন্ডাছড়ার চন্দন মজুমদারও তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তার আর্জি নিয়ে দেখা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। চন্দন মজুমদারের স্ত্রী গত দেড় বছর ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে ভুগছেন। পেশায় পত্রিকা হকার চন্দন মজুমদার আর্থিক অস্বচ্ছলতার দরুণ তার স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ ও সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন।

এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসেছিলেন প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আর্জি নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী অটল বিহারী রিজিওন্যাল ক্যান্সার সেন্টারের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ এস দেববর্মাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে পূর্ব যোগেন্দ্রনগরের ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধি যুবক প্রসেনজিৎ দাস তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রসেনজিৎ দাস বর্তমানে ডান পায়ে এলিফ্যানটিয়াসিস লিমফেডিমা (Elephantiasis Lymphedema) সংক্রান্ত জটিল রোগে ভুগছেন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সে তার সঠিক চিকিৎসাও করাতে পারছে না। মানিক সাহা জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ শঙ্কর চক্রবর্তীকে  এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

অভয়নগরের রুবি দেববর্মা তাঁর সমস্যা নিয়ে হাজির হন মূখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। রুবি দেববর্মা বিগত কয়েক বছর ধরে লিভার টিউমার জনিত কঠিন সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা পেতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন।

তাছাড়াও মানিক সাহার বাসভবনে আসা কবিরাজ টিলার সুব্রত দাস, চন্দ্রপুরের চন্দ্রিমা নন্দী মজুমদার, বনমালীপুরের মিতা সাহা, এস ডি ও চৌমুহনীর ঝুমুর সাহার মতো অনেকেই চিকিৎসায় সহায়তার আশ্বাস পেয়েছেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার সুরাহা করে দেওয়ার পাশাপাশি এই দিন মুখ্যমন্ত্রী জমি-সহ আইনী সংক্রান্ত বিষয় নিষ্পত্তিরও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড: প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের ডেপুটি কমিশনার অচিন্ত্য কিলিকদার, জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ শঙ্কর চক্রবর্তী, অটল বিহারী রিজিওন্যাল ক্যান্সার সেন্টারের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ এস দেববর্মা প্রমুখ।

Tripura News: আগরতলা ডেন্টাল কলেজে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম 3D প্রিন্টিং সলিউশন সেন্টারের উদ্বোধন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

আবীর ঘোষাল, আগরতলা: ত্রিপুরা সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে সে রাজ্যে একটি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলা। যা সরকারের জন্য একটি অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। এর পাশাপাশি রাজ্যে একটি হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।                           

আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজ এবং আইজিএম হাসপাতালে থ্রিডি প্রিন্টিং সলিউশন সেন্টারের (পিএম-ডিভাইন স্কিমের অধীনে) উদ্বোধন করে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। ন্যাশনাল ওরাল হেল্থ প্রোগ্রাম, ন্যাশনাল হেল্থ মিশন, ত্রিপুরার সহযোগিতায় এই প্রকল্প রূপায়ণ করা হয়।

আরও পড়ুন–  মৌসুমী অক্ষরেখা ফের সক্রিয় বাংলায়, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কোন কোন জেলায়? দেখে নিন           

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘খুবই আনন্দের দিন। আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজের টুপিতে আরেকটি পালক যুক্ত হল। এই কলেজে থ্রিডি প্রিন্টিং সলিউশন সেন্টারের উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিশন প্রতিফলিত হল। এর  জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা রাজ্যে একটি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এজন্য আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে রাজ্যে হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে কথা বলেছি। এই স্বপ্ন পূরণে আমাদের অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি আমরা রাজ্যে একটি এইমস- বা রিমস – এর মতো হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। রাজ্যের হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো এমন একটি বিষয় যা আমরা কখনই ভাবিনি।’’

আরও পড়ুন– রাশিফল ১১ সেপ্টেম্বর: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা এদিন আরও বলেন, ‘‘ডেন্টাল কলেজ আমাদের জন্য একটি স্বপ্নের প্রকল্প ছিল। আমরা এই প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। বিগত সরকারের আমলেও আজ থেকে ১০ বছর আগে আমরা এমন একটি কলেজ স্থাপনের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যখনই ভাল কিছু করার চেষ্টা করবেন সেখানে সবসময় নেতিবাচক কিছু মানসিকতার লোক এসে তাতে সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করবে। ডেন্টাল কলেজ চালু করার ক্ষেত্রেও আমরা নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছিলাম। বিজ্ঞান, বিশেষ করে দন্তচিকিৎসার ক্ষেত্র দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। এই ডেন্টাল কলেজের প্রথম ব্যাচ ভাল ফলাফল করে উত্তীর্ণ হলে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। এতে মনও ভালো হয়ে যায়। আমাদের উঁচু মানের ফ্যাকাল্টি থাকায় ছাত্রছাত্রীরাও ভাল নম্বর অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা চাই আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজ দেশের একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক। এই কলেজ সম্পর্কে সবার জানা উচিত। সেই সঙ্গে যুগের সঙ্গে টাল রেখে শিক্ষকদেরও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার গুরুত্ব রয়েছে।’’

মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন, ‘‘ত্রিপুরা হচ্ছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রথম রাজ্য যেখানে ডেন্টাল কলেজে একটি থ্রিডি প্রিন্টিং সলিউশন সেন্টার গড়ে উঠেছে। তিনি এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল প্রাপ্তি। সার্জারি, বোন গ্রাফটিং ও রক্তপাতবিহীন অপারেশন-সহ বিভিন্ন উন্নত প্রক্রিয়া সবই এখানে হচ্ছে। প্রতিদিন শতাধিক রোগী এই হাসপাতালে পরিষেবা নিতে আসেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ডেন্টাল কলেজের উদ্বোধন করেছেন এবং এর সুনাম বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব।’’

Tripura News: ফোকাস ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্সে, ক্রীড়াক্ষেত্রের আরও প্রসারে উদ্যোগী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা 

আবীর ঘোষাল, আগরতলা: ‘‘সব খেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে ফুটবল। বিশ্বব্যাপী ফুটবল খেলার জনপ্রিয়তাও সবচেয়ে বেশি।’’ বক্সনগর মিনি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় এমএলএ কাপ নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা এমনটাই বললেন সোমবার। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় রাজ্য বিপর্যস্ত। ত্রাণ সরবরাহ, পরিকাঠামো পুন:নির্মাণের পাশাপাশি মানুষকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যের মানুষের সহযোগিতায় স্বাভাবিক জীবন পুনরায় ফিরে আসবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন- বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে রাজ্যে, দক্ষিণের কয়েক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, উত্তরের আবহাওয়া কেমন?

শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে একাধিক সিন্থেটিক টার্ফ যুক্ত ফুটবল মাঠ, সুইমিং পুল, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও অন্যান্য ক্রীড়া পরিকাঠামোগত সুবিধা সংযুক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি আগরতলার ভোলাগিরি মাঠকে আন্তর্জাতিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন– রাশিফল ১০ সেপ্টেম্বর: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

উত্তর জেলার পানিসাগরস্থিত রিজিওনাল কলেজ অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন পরিসরে ‘খেলো ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে নব নির্মিত ডঃ অরুণাভ রায় সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “খেলাধুলোর রাজা যদি বলতে হয় তবে সেটা অ্যাথলেটিক্স।  অ্যাথলেটিক্সে খেলাধুলার বিভিন্ন ধরন থাকে। অলিম্পিকেও আমরা অ্যাথলেটিকসের দিকেই তাকিয়ে থাকি। এই সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক ট্র্যাকের মাধ্যমে আগামী দিনে অ্যাথলেটদের সুবিধা হবে।’’

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যে এখন বিভিন্ন সুবিধা হয়ে গেছে। খেলাধুলা, স্বাস্থ্য, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দিশায় এই সরকার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্প শুরু করে। আর সেই প্রকল্পের সুফল হিসেবে আজকের এই সিন্থেটিক অ্যাথলেটিক ট্র্যাক।’’

মানিক সাহা আরও বলেন, “মানুষের মধ্যে খেলাধুলাকে যাতে আরও জনপ্রিয় করে তোলা যায় তার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন আধুনিক ব্যবস্থাপনার উপর জোর দিয়েছে। এর মধ্যে সিন্থেটিক যুক্ত অনেকগুলি ফুটবল মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে রাজ্যে। সিন্থেটিক হকি মাঠ, সুইমিং পুল, অ্যাথলেটিক ট্র্যাক গড়ে তোলা হয়েছে। ওপেন জিম-সহ অনেকগুলি বহুমুখী ক্রীড়া ভবন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটা করা হবে। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে ওঠায় এখন ছেলেমেয়েদের অনেক সুবিধা হয়েছে এবং তারা উন্নতি করতে পারছে ৷’’

Manik Saha: ‘পুলিশকে ভয় পেতে হেলমেট নয়..’, ‘পথ নিরাপত্তা’ নিয়ে বিশেষ সতর্কীকরণ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

আগরতলা: দুর্ঘটনা রোধে গাড়ি চালানোর সময়ে অবশ্যই সিট বেল্ট বেঁধে রাখতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাড়ি চালানোর সময় সিট বেল্ট এবং বাইক, স্কুটি চালানোর সময়ে হেলমেট পরার বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে ট্রাফিক দফতরকে। সেই সঙ্গে পুলিশকে ভয় পেতে হেলমেট নয়, নিজেকে বাঁচানোর জন্য হেলমেট পরার পরামর্শ দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে পরিবহন দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কঠোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এদিন পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে রাজ্যে সড়ক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৬টি যানবাহন বিতরণ, সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংক্রান্ত পুস্তিকা প্রকাশ, সাধারণ ট্রাফিক বিধি/নির্দেশিকা সংক্রান্ত পুস্তিকা প্রকাশ, রাজ্য সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মধ্যে হেলমেট বিতরণ এবং জিরানিয়াস্থিত ইনস্টিটিউট অফ ড্রাইভিং ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ (আইডিটিআর) এ  (৩০ দিন মেয়াদী) মহিলাদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: কোন ‘গাছ’ লাগালে ঘরে ‘সাপ’ আসে বলুন তো…? সাবধান! এই ‘মিষ্টি’ গন্ধের ফুলগাছই চুম্বকের মতো টেনে আনে বিষধরদের!

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা মোকাবিলা করার জন্য সকলের মধ্যে মানবিক বোধ জাগ্রত হতে হবে। অনেক সময় এধরণের ঘটনার মুখোমুখি হলেও কাজের অজুহাতে আমরা এড়িয়ে যায়। কিন্তু দুর্ঘটনার পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিলে প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগটুকু হয়ে থাকে। তাই মানবিক বোধ সবার আসা উচিত।

এজন্য গণ জাগরণ হওয়া দরকার। সম্প্রতি ত্রিপুরার মানুষ বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ত্রিপুরা সরকারও সাধ্যমতো চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন: ঝেঁপে আসছে…! হাতে মাত্র দু’ঘণ্টা! বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টিপাত সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়! আবহাওয়ার মেগা আপডেট

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোথাও কোনও দুর্ঘটনা হলে মানবিকতা বোধ নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সেই সময় অনেকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। আবার অনেকে পাশ কাটিয়ে চলে যান। পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সারা দেশে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত দেড় লক্ষ লোকের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় ৫ লক্ষ লোক পঙ্গু হয়ে যান। প্রতি বছর যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে। দুর্ঘটনা রোধে আমাদের প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে। আমি নিজেও বহুদিন গাড়ি চালিয়েছি। মনে রাখতে হবে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সতর্কতার সঙ্গে যানবাহন চালালে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। দুর্ঘটনা রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর যেমন ট্রাফিক, পরিবহণ, পূর্ত, স্বাস্থ্য দফতর এক সঙ্গে কাজ করছে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার প্রবণতা অত্যধিক থাকে। এজন্য সচেতনতার বার্তা দিতে হবে। ট্রাফিকের নিয়ম কানুন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। যেখানে সেখানে যানবাহন পার্কিংয়ের কারণেও দুর্ঘটনার প্রবনতা থাকে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ত্রিপুরায় এখনও পর্যন্ত নথিভুক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৭,৮৭,২০৩টি। এরমধ্যে টু হুইলারের সংখ্যা ৫,৫৬’০০০টি। সবচেয়ে বেশি রয়েছে টু হুইলার যানবাহন। গত ৬ বছরে ত্রিপুরায় ৩,৩০৭টি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। এই সকল ঘটনায় ১,৩৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩,৭২৪ জন। অনেক সময় দেখা যায় বাইক বা স্কুটি চালানোর সময়ে অনেকে হেলমেট পরেন না এবং হেলমেটের সাইডে মোবাইল ঢুকিয়ে কথা বলতে বলতে যাচ্ছেন। তাই সতর্ক হতে হবে।

২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে গাড়ি চালানোর সময়ে অবশ্যই সিট বেল্ট বাঁধতে হবে। কিন্তু খুব কম মানুষই গাড়ি চালানোর সময়ে সিট বেল্ট পরিধান করেন। তাই আমি ট্রাফিক দফতরের উদ্দেশ্যে আহ্বান রাখছি যাতে কঠোরভাবে এই বিষয়টি নজর রাখা হয়। পুলিশকে ভয় পাওয়ার জন্য হেলমেট নয়। নিজেকে বাঁচানোর জন্য হেলমেট পরাবেন। হেলমেট থাকলে অনেক জীবন রক্ষা হয়। যুব সমাজের কাছে হেলমেট পরিধান করার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।

 

Manik Saha: ত্রিপুরা জুড়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে নজর, জানালেন মানিক সাহা

ত্রিপুরাঃ উনকোটি জেলার কৈলাশহরে রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের ৭৫ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বর্তমান রাজ্য সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে কোন ধরণের আপোষ করা হবে না। এই সরকার শুধু মুখে বলে না। কাজের নিরিখে বাস্তবায়ন করা সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য। কারণ কথার চাইতে কাজ করে দেখাই আসল। এই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে বর্তমান সরকার।’

আরও পড়ুনঃ রোজ ছোট্টো এক দুটো দানা! উপকার ভাবনাতীত! ঝপঝপ করে কমবে ওজন!শক্তি হবে লোহার মতো

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘রাজ্য সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। যে সকল ছাত্রী মহাবিদ্যালয়ে (জেনারেল কলেজ) পড়াশুনা করছে তাঁদের সমস্ত ধরণের ফি মকুব করে দেওয়া হয়েছে। সেটা ইতিমধ্যে লাগু করে দেওয়া হয়েছে। এতে উচ্চশিক্ষার প্রতি ছাত্রীদের আগ্রহ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও স্লোগান তুলেছেন। সেটা শুধু শ্লোগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে কাজ করে দেখাচ্ছি আমরা। মেয়েদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এজন্য চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ স্টল বরাদ্দ করা হচ্ছে। তাদের জন্য পিঙ্ক টয়লেট করার ব্যবস্থা হয়েছে।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র করে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সাব্রুমে ধম্মদীপা ইন্টারন্যশনাল বুদ্ধিস্ট ইউনিভার্সিটি খুব সহসাই শুরু হতে চলেছে। বর্তমানে পরিকাঠামো স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এই সংক্রান্ত বিল বিধানসভায়ও পাশ হয়েছে। টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি হচ্ছে রাজ্যে। আর্যভট্ট ইউনিভার্সিটি চালু করা হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যাতে জাতীয় শিক্ষা নীতি চালু হয় তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আমাদের কাছে এমবিবি ইউনিভার্সিটি আর ত্রিপুরা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি রয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মেডিকেল হাবের মতো উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরাতে একটি এডুকেশন হাব গড়ে তুলতে আগ্রহী এই সরকার। ত্রিপুরায় ডেন্টাল কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। যেটা কোনদিন ভাবা যায়নি। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সুফলে এটা সম্ভব হয়েছে।’

ডাঃ সাহা বলেন, ‘আপনারা জেনে খুশি হবেন গতকালই বিডিএস এর প্রথম ব্যাচের ফলাফল বেরিয়েছে। সরকারি ডেন্টাল কলেজের প্রথম ব্যাচ ইতিহাস হয়ে থাকবে। সারা জীবন তাঁদের মনে রাখা হবে। আমরা চায় রাজ্যে আরও মেডিক‍্যাল কলেজ হোক, ডেন্টাল কলেজ হোক, এডুকেশন হাব হোক।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশে ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (জাতীয় শিক্ষা নীতি) চালু করা সম্ভব হয়েছে। সেই দিশায় রাজ্যেও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে জাতীয় শিক্ষা নীতি লাগু হয়েছে। জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপএকৃত হবে ছাত্র সমাজ। এই সরকার ‘লক্ষ্য’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। মূলত, রাজ্যের শিক্ষিত যুবরা যাতে আইএএস, আইপিএস ইত্যাদি সর্বভারতীয় প্রশাসনিক পদে চাকরির জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষায় যাতে বসতে পারে সেজন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হলে তাদের ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।’

আরও পড়ুনঃ লখনউয়ে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল তিনতলা বিল্ডিং, এখনও পর্যন্ত মৃত আট, আটকে পড়া বাসিন্দার খোঁজে শুরু উদ্ধারকার্য

তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৯ জনকে এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দিব্যাঙ্গ, দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর কোর্সে পাঠরতদের প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা এবং উচ্চশিক্ষার অধীনে যারা ডিপ্লোমা কোর্সে পড়াশুনা করছে তাদের জন্য প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৩ জন দিব্যাঙ্গ, দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে।’

Tripura News: আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রের, বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর 

আবীর ঘোষাল, আগরতলা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৷ দিল্লি সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি এবং ত্রাণ কার্যের বিষয়ে এদিন একটি প্রতিবেদন পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কঠিন সময়ে ত্রিপুরাবাসীর প্রতি সব ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন– সন্দীপ ঘোষকে মদতের অভিযোগ, CBI-এর স্ক্যানারে এবার স্বাস্থ্য দফতর ‘ঘনিষ্ঠ’ তিন চিকিৎসক

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগের বন্যায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে ত্রিপুরা। কিছু ক্ষেত্রে এখনও চলছে ত্রাণকার্য। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩৩ জন।

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার নেতৃত্বে সর্বতভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বন্যা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের সর্বতোভাবে সহায়তা করেছেন। আমি নিজেও রাজ্যের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মনিটরিং করেছি। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করি। পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে রূপরেখা তৈরি করা হয়। পরে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গোটা বিষয় সম্পর্কে অবহিত করি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় চারটি হেলিকপ্টার, এনডিআরএফের অতিরিক্ত বাহিনী, রবার বোট-সহ আনুষাঙ্গিক যাবতীয় সাজসরঞ্জাম পাঠিয়েছেন তিনি। এসডিআরএফ থেকে শুরু করে ভলান্টিয়ার, আপদামিত্র-সহ সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে বন্যা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কাজ হয়েছে। এর পাশাপাশি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষও দুর্যোগ মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছেন। যেটা আগে আমরা প্রত্যক্ষ করিনি। মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে মানুষ সাধ্যমতো আর্থিক অনুদান প্রদান করছেন।’’

আরও পড়ুন– এবার নেতাজির পথে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর, কোন পদ্ধতি পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল বিরোধী দলনেতার?

ডাঃ সাহা এদিন আরও বলেন, যখনই কোনও সমস্যা আসে সবাই একসঙ্গে মিলে মোকাবিলা করার মতো উদাহরণ তৈরি করেছে ত্রিপুরা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে ত্রিপুরার পুনঃগঠনে কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী দিনে কেন্দ্রীয় দল রিপোর্ট দেওয়ার পর আরও অর্থ মঞ্জুর করা হবে।

Tripura News: ত্রিপুরায় রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ঘিরে ময়দানে বিজেপি

আবীর ঘোষাল, আগরতলা: উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে নিজেদের সংগঠনের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করতে চায় বিজেপি ৷ সাংগঠনিক প্রসারে, জনসংযোগ করার দিকে নজর আছে। পাশাপাশি তাদের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমেও যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে। লোকসভা ভোটে উত্তর-পূর্ব ভারতে ভাল ফল করেছে বিজেপি ৷ আগামী দিনে রাজ্য ভিত্তিক ভোটেও যাতে সেই ফল ধরে রাখা যায় তা নিয়ে এখন থেকে সচেষ্ট তারা। তাই বিজেপির সদস্যতা অভিযানকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালায় অংশ নিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

আরও পড়ুন– নতুন করে নিম্নচাপের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগরে ! আবহাওয়ার পরিবর্তন কবে থেকে হতে পারে? জেনে নিন

ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যতা অভিযান ২০২৪-কে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালায় অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। রাজধানীর মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এই কর্মশালায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত নেতৃত্ব ও কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে সম্বোধন করেন। আর এই সাংগঠনিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজ্যে আসেন ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন সাংসদ দুশ্যন্ত কুমার গৌতম।

সোশ্যাল মিডিয়ার এক বার্তায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, ‘‘আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যতা অভিযান-২০২৪ শুরু হতে চলেছে। আর এই কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে রাজ্যেও শুরু হয়েছে জোর সাংগঠনিক তৎপরতা।’’

আরও পড়ুন– চব্বিশে দুর্নীতি ইস্যুতে ডাহা ফেল, ছাব্বিশের জন্য কৌশল বদল! নয়া অস্ত্রে সফল হবে বঙ্গ বিজেপি?      

ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যতা অভিযানকে সর্বাত্মকভাবে সফল করে তুলতে বুধবার রাজধানীর মুক্তধারা হলে প্রদেশ বিজেপি আয়োজিত এক দিবসীয় কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দুশ্যন্ত কুমার গৌতম। এই কর্মশালায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, ত্রিপুরা রাজ্যের সংগঠন মহামন্ত্রী রবীন্দ্র রাজু-সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।